নারীর নিরাপত্তা
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
একটা সমাজকে তখনই আদর্শ সমাজ বলা চলে। যখন সেই সমাজে পুরুষের পাশাপাশি একটি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। কিন্তু আমাদের ভাগ্যটাই এতো খারাপ যে, আমাদের সমাজের সব কিছু ভালো হয়। আমাদের সমাজের সব রকম উন্নতি আমরা দেখতে পারি। শুধুমাত্র একটা উন্নতি ছাড়া, সেটা হচ্ছে নারীর নিরাপত্তা।যেটা আমরা কখনোই দিতে পারি না এবং এই ব্যাপারটিতে আমরা অসম্ভব রকমের ব্যর্থ এবং আরো হাস্যকর ব্যাপার হলো, আমরা ব্যর্থ কিন্তু তা আমরা স্বীকার করতে চাই না।
নারীকে নিরাপত্তা দেওয়া একটি সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের মধ্যে একটি। কারণ একটা মানুষের যেমন কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। ঠিক তেমনটাই পুরুষের যেমন কিছু দুর্বলতা রয়েছে। ঠিক তেমনটাই নারীদের ও কিছু দুর্বলতা রয়েছে। নারীদের বিশেষ একটি দুর্বলতা হলো। তারা শারীরিক শক্তির দিক দিয়ে পুরুষদের তুলনায় কিছুটা দুর্বল। এখন এটা নিয়ে আমি তর্কে যেতে চাই না। কারণ অনেকেই তর্কের খাতিরা বলবে যে, নারীরা চাইলেই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। হ্যাঁ, একেবারেই তো সঠিক। কিন্তু সব সময় পারে না। কারণ সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই তাদের কে শারীরিক দিক দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু আমাদের সমাজে বড় বড় দালানকোটা হচ্ছে, ভালো ভালো ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে, বড় বড় ব্রিজ থেকে শুরু করে সবকিছুই হচ্ছে। শুধুমাত্র যেটা হচ্ছে না, সেটা হচ্ছে নারীর নিরাপত্তা। কারণ একটা নারী এখন চাইলেই রাস্তায় বের হতে পারে না রাতের অন্ধকারে। তাকে ভয়ে থাকতে হয় যেকোনো হায়েনার দল যে কোনো মুহূর্তে তার উপরে ঝাঁপিয়ে পরতে পারে। আর যতোক্ষণ পর্যন্ত একটি সমাজে একটি মেয়ের মনে এই ভয় থাকবে। আমি ততক্ষণ পর্যন্ত এটা মানতে নারাজ যে, ওই সমাজে ওই নারীর নিরাপত্তা রয়েছে। নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কিন্তু কারো অতিরিক্ত দায়িত্বের মধ্যে পরে না এটা প্রয়োজনীয় এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মৌলিক অধিকার।