অতিভক্তি অপ্রয়োজনীয়
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
জীবনের কর্ম ক্ষেত্রে বলি বা জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রেই বলি। সব সময় কিন্তু মানুষদের সাথে কাজ করা হয়। অর্থাৎ অবশ্যই যেহেতু গরু, ছাগল নই একজন মানুষ। সেহেতু মানুষদের সাথেই কাজ করবো, হাহাহা। যাই হোক একটু মজা করলাম। আসলে মানুষজনকে নিয়ে কাজ করতে করতে কিংবা একটা জায়গায় কাজ করতে করতে একটা সময় আমি রিয়েলাইজ করলাম যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা কেনো যেনো অনেক বেশি অতি ভক্তি দেখিয়ে ফেলি, যেটার প্রয়োজন নেই।
অর্থাৎ আমরা যদি শুধুমাত্র আমাদের কাজটাই করি। তাহলে কিন্তু সেখানে আর অতি ভক্তির কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরা সেটা করি না। অর্থাৎ আমরা কি করি? আমরা সবসময় কাজের বাইরে গিয়ে অতিভক্তি দেখানোর চেষ্টা করি এবং এই চেষ্টাটার জন্য আমাদের কাজ নষ্ট নয়।
তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো, অনেকে ভাবে যে নিজের কাজ নষ্ট করে হয়তো অতিভক্তি করে কোনো লাভ রয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে যদি আমরা লাভ লোকসান এসবের হিসেব করতে যাই। তাহলে দেখতে পাই যে, আসলে অতি ভক্তি করে শুধুমাত্র ক্ষতি হয়েছে। অর্থাৎ যদি কাজের প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ আমরা দিতাম। তাহলে আমাদের আরো বেশি সফলতা আসতো।
কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো, আমরা সব সময় সবকিছু সহজেই পেয়ে যেতে চাই এবং সবকিছু সহজে পেয়ে যেতে চাই। এই কারণেই আমরা অতি ভক্তির মতোন শর্টকাট রাস্তা বেছে নেই। আর যে রাস্তা কখনোই আমাদেরকে সফলতার দিকে নিয়ে যায় না। এটা আমরা যতো তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবো, ততো তাড়াতাড়ি আমাদের জন্য ভালো। কারণ অতি ভক্তি করে শুধুমাত্র কিছুটা সময়ের জন্য হয়তো আমাদের কর্মক্ষেত্রে প্রিয় পাত্র হওয়া যায়। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ থাকে না।