আত্মসংযম আছে?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা সব সময় সংযম নিয়ে কথা বলি। তবে সেটা অন্যের সংযম নিয়ে। অর্থাৎ সবসময় অন্যকে জ্ঞান দিতে যেহেতু আমরা বরাবর অনেক বেশি পছন্দ করি। সেক্ষেত্রে আসলে অন্যকে সবসময় এটাই শেখাতে পছন্দ করি যে, মানুষের সংযম থাকা উচিত কিংবা মানুষ এর ধৈর্য ধারণ করা উচিত, মানুষ এর চাহিদা কমানো উচিত এবং চাহিদা যতো কম থাকে, ততোই ভালো। এই ব্যাপারগুলোই আমরা সব সময় অন্যকে শিক্ষা দিয়ে থাকি এবং আসলে অন্যকে শিক্ষা দিতেই বোধহয় আমরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। এটা আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে হয়তো স্বীকার করতে চাই না। কিন্তু বাঙালি জাতির অনেক পছন্দের একটি কাজ হলো, অন্যকে সংযম শেখানো।
যেমন বর্তমানে যেহেতু রোজার মাস চলছে। একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখবেন যে, সকলেই যেনো আমাদেরকে জ্ঞান দিতে একেবারে উঠে পরে লেগেছে এবং সংযম কেনো, সংযম কি। এই ব্যাপারগুলো আমাদেরকে শেখানোর জন্য যেনো মানুষ এর সময়ের কোনো কমতি নেই। কিন্তু আমরা মানুষের সংযোগ নিয়ে চিন্তা করলেও আত্মসংযোগ নিয়ে যেনো আমরা খুব বেশি উদাসীন। কারন আমরা এটা মোটেও আসলে খেয়াল করতে চাই না যে, আমাদের নিজেরা কতোটা সংযত রয়েছে। কারণ অন্যকে সংযত হতে বলার আগে নিজের সংযত হওয়াটা অনেক বেশি জরুরী। কিন্তু এদিকেই আমাদের কোনো নজর নেই বললেই চলে।
কারণ এটা আমরা সকলেই জানি যে, আমরা কি করছি। কারণ একটা চোর যখন আসলে চুরি করে এবং পরবর্তীতে সে যদি ধরা নাও খায়। তাও কিন্তু সে জানে যে সে চুরি করছে। ঠিক একইভাবে আমরা খুব ভালো করেই জানি আমরা কি পাপ করছি কিংবা কোথায় আমাদের একটু সংযত হওয়া উচিত। তাই জানা সত্ত্বেও আসলে আমরা আত্মসংযোগ ব্যাপারটিতে মোটেও বিশ্বাসই হই না। অর্থাৎ আমরা নিজেকে নিজেরা আসলে সে সম্পর্কে মোটেও আবদ্ধ রাখতে পারি না। অর্থাৎ আমাদের নিজেদের যে সংযত হওয়া উচিত। সেটা আমরা মোটেও মানি না। যেটা আমাদের সর্বপ্রথম মানা উচিত। কারণ আত্মসংযম হলো সবচেয়ে বড় বিষয়। কারন আমরা যদি আসলে নিজেকে সংযত করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের চারপাশটাও আমাদের মনের মতোন সুন্দর হয়ে উঠছে।