মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কিছুটা মুহূর্ত।

"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

সবাইকে জানাই স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে লাখ লাখ মানুষ তাদের তাজা রক্ত দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা আমাদের জন্য ছিনিয়ে এনেছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ৯ মাস যুদ্ধের পর আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি আর আমরা বাংলায় কথা বলতে পারছি স্বাধীনভাবে। তাদের এই অর্জিত স্বাধীনতাকে রক্ষা করার প্রচেষ্টায় এই দিবসগুলো প্রতিবছর খুব সুন্দরভাবে পালন করা হয়। যারা তাদের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদেরকে এই স্বাধীনতা দিয়ে গেছে তাদের জন্য রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমার আজকের পোস্টটি হচ্ছে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে ৫৩ তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ক্রিয়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কিছুটা মুহূর্ত।

আসলে আজকে সকালে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে ৫৩ তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান খুব সুন্দরভাবে পালন করা হয়েছিল। আসলে প্রত্যেক বছরই এই অনুষ্ঠানটি খুব সুন্দর ভাবে পালন করা হয়। তাই স্কুল থেকে বলা হয়েছে সকাল সাড়ে ছয়টায় উপস্থিত থাকার জন্য। তাই আমি আমার মেয়েকে নিয়ে একটু সকাল সকালই যেতে হয়েছে। তাই সকাল ছয়টায় আমরা স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। স্কুলে গিয়ে দেখলাম খুব সুন্দর করে একটি স্টেজ সাজানো হয়েছে এবং সবার খুব সুন্দর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে । মাঠের মাঝখানে একটি বাঁশ দিয়ে উপরের দিকে খুব সুন্দর বেলুন আর ছোট কাগজের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে দেখতে সত্যি খুব সুন্দর লাগছিল। আসলে বাচ্চারা এই অনুষ্ঠানগুলো খুবই উপভোগ করে। আর স্কুলের এই অনুষ্ঠানগুলো দেখতে আমারও খুব ভালোই লাগে। এসব অনুষ্ঠানগুলো দেখলে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় কারণ আমিও স্কুলে এই অনুষ্ঠানগুলো তো সবসময় অংশগ্রহণ করতাম।

---

---

---

আসলে প্রধান অতিথি আসতে একটু সময় লাগছে তাই মেয়ে বলল একটু চারপাশে ঘোরাঘুরি করবে। তখন আমরা একটু হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির পাশে খুব সুন্দর একটি ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়েছে। সেখানে মেয়েকে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নিলাম।

---

---

তারপর আমরা চলে গেলাম ধান গবেষণার পার্কে সেখানে গিয়ে মেয়ে কিছুক্ষণ দোলনায় দোল খেল। এরপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে আসলাম স্কুলের মাঠে।

---

---

আসলে আজকের অনুষ্ঠানটা হচ্ছে ধান গবেষণার মাঠে তাই স্কুলটা একদম ফাঁকা। দূর থেকে স্কুল টা দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। তাই আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম।

---

---

তারপর দেখলাম আস্তে আস্তে প্রধান অতিথিরা সবাই চলে আসলো। তারপর প্রধান অতিথিকে ক্যাপ এবং বেচ পরিয়ে বরণ করল। এরপর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করল প্রধান অতিথি।

---

তারপর প্রধান অতিথিদের হাতে কিছু পায়রা তুলে দিল। শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করল প্রধান অতিথি।

এরপর প্রধান অতিথিদের হাতে তুলে দিল অনেকগুলো বেলুন। এরপর বেলুন গুলো আকাশের দিকে উড়িয়ে দিল। একসাথে এতগুলো বেলুন উঠছে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল তাই আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। একবার প্রধান অতিথিরা তাদের জায়গায় আসন গ্রহণ করল। তারপর শুরু হল ক্রিয়া প্রতিযোগিতা। রোজা রেখে এতক্ষণ আর স্কুলে থাকতে পারলাম না। কারণ আমার মেয়েও রোজা রেখেছে আর আসলে সকাল সকাল স্কুলে আসার জন্য ভোর বেলা ঘুমাতে পারিনি তাই ওর কাছে খুব খারাপ লাগছে। আর আমার মেয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করেনি তাই আমরা চলে আসলাম। পুরো অনুষ্ঠানটা উপভোগ করতে পারলাম না। যতটুকু উপভোগ করলাম তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

এই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর ভুল মানুষ মাত্রই হয় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সুস্থ এবং ভালো থাকবেন।

ফটোগ্রাফার : @sshifa

ডিভাইস নেম:- গ্যালাক্সি A10s

গুগল ম্যাপ লোকেশন : XCR5+8V Gazipur