গ্লাস কাপ মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার মজাদার রেসিপি।
♥️ হ্যালো বন্ধুরা ♥️
"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয় আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই খুব ভালো এবং সুস্থ আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও খুব ভালোই আছি । আমি রান্না করতে খুব পছন্দ করি। তাই আমার বাংলা ব্লগে আজকে ও আমি আপনাদের সাথে আরো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।
আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে গ্লাস কাপ মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার মজাদার রেসিপি। থানকুনি পাতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। এটি একটি ঔষধি পাতা। এই থানকুনি পাতা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এই পাতার অনেক রকম নাম আছে যেমন থানকুনি, আদামনি, আদাগুনগুনি, তিতুরা, টেরা, মানামানি, মানকি, থুলকুড়ি, ঢোলামনি, নামে ডাকা হয়। এই থানকুনি পাতা বিভিন্ন রকম ভাবে খাওয়া যায় রান্না করে, ভর্তা করে এবং পাতার রস বের করে। তবে আমার কাছে মাছ দিয়ে এভাবে রান্না করে খেতে ভালোই লাগে। থানকুনি পাতা এই রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু, আমার কাছে তো গরম গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনারা এভাবে তৈরি করে খেলে বুঝতে পারবেন এইটা কতটা মজাদার।
আর এই রেসিপিটি খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায়। আজকে আমি আমার রেসিপিটির প্রত্যেকটি ধাপ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এটা খেতে আসলেই খুব সুস্বাদু। আশা করছি আমার রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরন সমুহ:
- থানকুনি পাতা
- গ্লাস কাপ মাছ
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচের গুঁড়া
- জিরা গুড়া
- রসুন বাটা
- লবণ
- তেল
ধাপ - ১
- প্রথমে আমি চুলায় একটি পাতিল বসালাম। তারপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।
ধাপ - ২
- আজ কাঁচা মরিচগুলো ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে পরিমাণ মতো হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, রসুন বাটা, জিরা গুঁড়া, লবণ দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে মসলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম। তারপর এরমধ্যে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে পানিটা বলক আসার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।
ধাপ - ৩
- এরপর পানিটা বলক আসলে এর মধ্যে কেটে রাখা থানকুনি পাতাগুলো দিয়ে নেড়ে চেড়ে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪
- কিছুক্ষণ পর ঢাকনা উঠিয়ে দেখলাম থানকুনি পাতাগুলো কষানো হয়ে গেছে। তারপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পানিটা বলক আসার জন্য অপেক্ষা করলাম।
ধাপ - ৫
- তারপর পানিটা বলক আসলে এর মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে প্রায় ১০ মিনিটের মত অপেক্ষা করলাম।
ধাপ - ৬
- ১০ মিনিট পর ঢাকনা উঠিয়ে দেখলাম তরকারিটা প্রায় হয়ে গেছে। তারপর চুলা বন্ধ করে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল গ্লাস কাপ মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার মজাদার রেসিপি।
শেষ ধাপ
- এরপর আমি একটি প্লেটে নিয়ে সুন্দর করে গরম গরম পরিবেশন করলাম। এই রেসিপিটি গরম ভাত দিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।
আমি আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
আপু থানকুনি পাতার ভর্তা খাওয়া যায় জানি।কিন্তু মাছ দিয়েও যে রান্না করা হয় জানতাম না।পাতাটা বেশ পুরু ও খসখসে।আপনি গ্লাস কার্প মাছ দিয়ে রান্না করলেন খেতে বেশ মজার হয়েছে দেখে বুঝতে পারছি।বেশ উপকারী পাতা এটা।ধন্যবাদ আপনাকে মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
থানকুনি পাতা আমি অনেকভাবে ভর্তা করে খেয়েছি। কিন্তু কখনও এভাবে মাছ দিয়ে রান্না করে খাইনি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজা হবে। অনেক ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
থানকুনি পাতার রস খেয়েছি তবে থানকুনি পাতা গ্লাস কাপ মাছ দিয়ে এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। থানকুনি পাতা যে মাছ দিয়েও এত সুন্দর ভাবে রান্না করা যায় তা জানা ছিল না। এই রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ইউনিক এবং খুবই সুস্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
থানকুনি পাতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরম ভাতের সাথে লেবু দিয়ে থানকুনি পাতার ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে মাছ দিয়ে এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমার পাশে থাকার জন্য। আশা করি এভাবেই আর সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমার পাশে থাকবেন।
থানকুনি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। থানকুনি পাতা দিয়ে ভর্তা তৈরি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে গ্লাস কাপ মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুব অসাধারণ। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
গ্লাস কাপ মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার রেসিপিটি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি কারন আমি এর আগে কখনো থানকুনি পাতা দিয়ে গ্লাস কাপ মাছ খাইনি। আপনি বেশি ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে। খুবই সুন্দর ভাবে ছাড়তে ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
গ্লাস কাপ মাছের রেসিপি দেখে যেন সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে থানকুঠি পাতা দিয়ে এই রেসিপি পরিবেশন করলেন। রেসিপি দেখে যেন খেতে ইচ্ছা করছে।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব খুশি হলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গ্লাস কাপ মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার মজাদার রেসিপি। আপনি শেয়ার করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। সত্যি রেসিপি তৈরি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু থানকুনি পাতা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আজকে আপনি গ্লাস কাপ মাছ দিয়ে থানকুনি রেসিপি করেছেন। তবে আপু এই পাতাগুলোকে আমরা এদিকে আধুনি পাতা বলে থাকি। যাইহোক আপনার এই রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
মূল্যবান মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।