"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আর আমার আজকের পোস্টটি হচ্ছে মেয়ের স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিছুটা সময় কাটানোর মুহূর্ত। আসলে গত ২০ শে মার্চ আমার মেয়ের স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল। আসলে স্কুলের এই অনুষ্ঠানগুলো দেখতে আমার খুব ভালোই লাগে। তাই আমি এই সব অনুষ্ঠানগুলোতে সব সময় আমার মেয়ের সাথে এটেন্ড করি। অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে সুন্দর সাড়ে ছয়টায় রওনা দিলাম স্কুলের উদ্দেশ্যে।

স্কুল থেকে আমাদেরকে খুব সুন্দর একটি কার্ড দিয়ে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আর স্যাররা বলে দিয়েছিল কার্ডটি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কার্ডটি দেখতে খুবই সুন্দর তাই আমি কার্ডের একটি ছবি তুলে নিলাম। তারপর আমরা স্কুলে গিয়ে দেখলাম ধান গবেষণার ভিতরে খুব সুন্দর করে লাইটিং করা হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো অন্ধকারে লাইটিং গুলো দেখতে তারপর আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম। অনুষ্ঠানটি হয় ধান গবেষণার অডিটোরিয়ামে।

এরপর আমরা অডিটরিয়ামের সামনে চলে গেলাম। ধান গবেষণার অডিটরিয়ামটি খুবই সুন্দর আমার এর আগে কখনো যাওয়া হয়নি। অডিটোরিয়ামের ভেতরে ঢুকতেই প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব সুন্দর একটি ছবি দেওয়া। ছবিটির দুই পাশে আমার ছেলে মেয়েকে দাঁড় করিয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম।

অডিটরিয়াম টা ছিল অনেক বড় আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং খুবই সুন্দর। আগে প্রেমের ভেতরে ঢুকতেই পাশে খুব সুন্দর বসার ব্যবস্থা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। তাই আমি অডিটরিয়ামটার কিছু ছবি তুলে নিলাম।

এরপর যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছে সেখানে গিয়ে দেখলাম অনুষ্ঠান প্রায় শুরু হয়ে গেছে। কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে। তারপর গিয়ে বসে পড়লাম কিছুক্ষণ পর কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্বোধন অনুষ্ঠান শেষে হয়ে গেল। তারপর প্রধান অতিথি এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিছুক্ষণ বক্তৃতা দিলেন। তারপর শুরু হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

খুব সুন্দর সুন্দর নিত্য পরিবেশন করছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা দেখে সত্যি খুব ভালো লাগছিল। আমার মেয়ে আবার নাচ গান পারে না তাই ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। বাচ্চারা একের পর এক খুব সুন্দর সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করছে অসম্ভব ভালো লাগছে দেখতে।

এরপর বাচ্চারা খুব সুন্দর দলীয় গান পরিবেশন করল। তারপর ষষ্ঠ শ্রেণীর একটি মেয়ে খুব সুন্দর একটি রবীন্দ্র সংগীত গাইলো। রবীন্দ্র সংগীত আমার খুবই পছন্দের তাই গানটি শুনতে খুবই ভালো লেগেছে আর মেয়েটির কন্ঠ ছিল খুব সুন্দর।

এরপর আরো কিছু ছেলে মেয়ে মিলে খুব সুন্দর একটি যাত্রাপালা করল। যাত্রাপালাটি ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে। আমার কাছে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। দেখতে দেখতে প্রায় অনেকটা সময় কেটে গেল। ঘড়িতে দেখলাম প্রায় রাত সাড়ে নয়টা বাজে। তারপর আমি আর বেশি সময় ছিলাম না। আমি আমার ছেলে মেয়েকে নিয়ে চলে আসলাম পুরো অনুষ্ঠান টা দেখে শেষ করতে পারলাম না।

এরপর আসার সময় পুরো হল রুমটার একটি ছবি তুলে নিয়ে আসলাম। কারণ অডিটরিয়ামের হল রুমটা খুবই সুন্দর।

এই ছিল আমার আজকের পোস্ট আসলে অনেকটা দূর থেকে ছবিগুলো তুলেছি তাই ছবিগুলো এতটা স্পষ্ট হয়নি। তবে আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর ভুল মানুষ মাত্রই হয় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সুস্থ এবং ভালো থাকবেন।

ফটোগ্রাফার : @sshifa

ডিভাইস নেম:- গ্যালাক্সি A10s

গুগল ম্যাপ লোকেশন : XCR5+8V Gazipur