মেয়ের স্কুলে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের কিছুটা মুহূর্ত
♥️ হ্যালো বন্ধুরা ♥️ |
---|
"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমার আজকের পোস্টটি হচ্ছে মেয়ের স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের কিছুটা মুহূর্ত।
আসলে গতকাল আমার মেয়ের স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস খুব সুন্দরভাবে পালন করা হয়েছিল।আসলে প্রত্যেক বছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবস খুব সুন্দর ভাবে পালন করা হয়। তাই আমার মেয়েকে নিয়ে আমার একটু সকাল সকালই যেতে হয়েছে। তাই সকাল সাড়ে ছয়টায় আমরা স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। স্কুলে গিয়ে দেখলাম খুব সুন্দর করে একটি স্টেজ সাজানো হয়েছে এবং গার্ডিয়ানদের খুব সুন্দর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে । আসলে বাচ্চারা এই অনুষ্ঠানগুলো খুবই উপভোগ করে। আর স্কুলের এই অনুষ্ঠানগুলো দেখতে আমারও খুব ভালোই লাগে।
আমরা যখন পৌঁছালাম তখন দেখলাম এখনো অনুষ্ঠান শুরু হয়নি তাই আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম। তারপর আস্তে আস্তে অতিথি এবং সব ছাত্রছাত্রী এবং গার্ডিয়ানরা চলে এসেছে এবং খুব সুন্দর করে সবাই সবার জায়গায় বসে পড়েছে এবং ছাত্রছাত্রীরা খুব সুন্দর ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়।
অনুষ্ঠান শুরুতেই প্রথমে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হলো, তারপর গীতা পাঠ, তারপর শপথ এবং এরপর খুব সুন্দর ভাবে হারমোনিয়াম বাজিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলো।
তারপর দেখলাম অনেক বেলুন নিয়ে একটি লোক দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমেই একঝাঁক বেলুন প্রধান অথিতি হাতে দেওয়া হল। তারপর একে একে সবগুলো বাচ্চার হাতে বেলুন দিয়ে দিল স্কুলের স্যার ম্যাডামরা। সবার হাতে বেলুনগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।
তারপর প্রথমে প্রধান অতিথি তার হাতের বেলুনগুলো ছেড়ে দিল আকাশের দিকে। তারপর বাচ্চারা তাদের হাতে সবগুলো বেলুন ছেড়ে দিলাম। একসাথে আকাশে এতগুলো বেলুন দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল আর আমি খুব সুন্দর করে কিছু ছবি তুলে নিলাম। আসলে প্রথমে বেলুন ছেড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হলো।
তারপর শুরু হলো কেক কাটার পালা প্রথমেই প্রধান অতিথি সবচেয়ে বড় কেকটি কাটলো। তারপর হলো বাচ্চাদের পালা প্রত্যেকটা লাইনের সামনে একটি করে কেক এবং দুই প্যাকেট মিষ্টি একটি বেঞ্চের উপর রাখা হলো। তারপর স্যাররা প্রত্যেকটা লাইনের কেকগুলো বাচ্চাদের সাথে একসাথে কাটলো। এরপর সবাই একসাথে কেক খেয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উদযাপন করলো। খুব সুন্দর করে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট আসলে অনেকটা দূর থেকে ছবিগুলো তুলেছি তাই ছবিগুলো এতটা স্পষ্ট হয়নি তবে আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর ভুল মানুষ মাত্রই হয় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সুস্থ এবং ভালো থাকবেন।
ফটোগ্রাফার : @sshifa
ডিভাইস নেম:- গ্যালাক্সি A10s
গুগল ম্যাপ লোকেশন : XCR5+8V Gazipur
♥️ আমার পোস্টটি দেখা এবং পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ♥️ |
---|
এখন প্রতিটি স্কুলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস একযোগে উদযাপন করা হয়। আর এই অনুষ্ঠানগুলো বেশ সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি করে কেক কাটার মাধ্যমে আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। আমার অর্ধাঙ্গিনীর প্রাইমারি স্কুলেও এরকম অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। তবে আমি যাইনি বলে সে বিষয়ে কোনো পোস্ট উপস্থাপন করতে পারেনি। যাই হোক আপু, আপনার মেয়ের স্কুলে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে কাটানো সময়টুকু সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর গঠনমূলক একটি মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আশা করি এভাবেই সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকবেন। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আপনার মেয়ের স্কুলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছেন এবং সেখানে গিয়ে সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া অনুষ্ঠান টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম জেনে খুব ভালো লাগছে যে আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মেয়ের স্কুলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ।স্কুল কর্তৃক বড়সড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গার্ডিয়ানদের বসার সুব্যবস্থা, এবং কেক কাটা শেষে সবাইকে কেক দেওয়া ব্যাপারটাকে ভালোই লেগেছে। আকাশে বেলুন উড়ানো দেখে খুবই সুন্দর লাগছে।
সত্যি যখন সবাই একসাথে আকাশে বেলুনগুলো ওরা ছিল তখন খুবই সুন্দর লাগছিল। তাই কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাল ছিলো বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন। এই উপলক্ষে স্কুলে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন ছিলো।বাচ্চারা অনেক মজা করেছে।মুক্ত আকাশে বেলুন গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে।ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ
চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আশা করি এভাবে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আপনার মেয়ের স্কুলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আসলে স্কুলের এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলো হলে বাচ্চারা অনেক মজা করে।বেশ ভালই লাগলো আমার কাছে। গার্জিয়ানদের বসার ব্যবস্থা এবং কেক কাটার বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি খুব সুন্দর একটি অনুষ্ঠান করেছিল দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
প্রত্যেকটা স্কুলে এই দিনটি খুবই ভালোভাবে উদযাপন করা হয়েছে। আপনার মেয়ের স্কুলে তো দেখছি অন্য রকম ভাবে এই দিনটি উদযাপন করা হয়েছে। প্রত্যেকটা লাইনে একটি করে কেক ছিল এই দৃশ্যটা আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। আপনি দেখছি বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন মেয়ের স্কুলে গিয়ে। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।
জ্বি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। আমার মেয়ের স্কুলের অনুষ্ঠানটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
শেখ মুজিবুর এর জন্মদিন উপলক্ষে এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আপনার মেয়ের স্কুলে দেখছি অনেক বড় একটা অনুষ্ঠান হয়েছে। স্কুলে এরকম অনুষ্ঠানগুলো করলে বাচ্চাদের কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারছি আয়োজনটা অনেক বড় এবং সুন্দর ছিল। ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার আজকের পোস্ট পড়ে। ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করলেন তাহলে।
জি আপু ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানটি দেখে আমারও খুবই ভালো লেগেছিল আর বাচ্চাদের কাছে তো ভালো লাগবেই। আপনি এত চমৎকার মন্তব্য দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।
আপনার মেয়ের স্কুলে দেখছি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে অনেক আয়োজন করেছিল। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আমরাও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলাম , কিন্তু আপনার মেয়ের স্কুলের গ্রহণ করা পদক্ষেপ গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
প্রতিবছরই আমাদের জাতির পিতার জন্মদিনের উৎসব অনেক সুন্দর করে পালন করা হয়। স্কুলের অনুষ্টানের আপনি যে সুন্দর করে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে তো অনেক ভালো লেগেছে আপু। বাচ্চাদের কে এমন সুন্দর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করানো অনেক ভালো তাহলে তাদের মেধাবিকাশ ঘটবে এবং দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।