খেজুরের রসের সুস্বাদু পায়েস || ১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
হ্যালো বন্ধুরা, ♥️
"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয় আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই খুব ভালো এবং সুস্থ আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও খুব ভালোই আছি। আমার বাংলা ব্লগে আজকে আমি আপনাদের সাথে আরো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আমার আজকে রেসিপিটি হচ্ছে খেজুরের রসের সুস্বাদু পায়েস।
হয়তোবা আপনারা ভাবতে পারেন এই সময় খেজুরের রস কোথায় পেলাম। আসলে আমি খেজুরের রসটা চুলায় জ্বাল দিয়ে একটু লাল করে নিয়েছিলাম। তারপর ঠান্ডা করে বোতল ভরে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম। সেটা আজকে নামিয়ে এই খেজুরের রসের পায়েস তৈরি করেছি। কারণ খেজুরের রসের পায়েস খেতে আমার খুবই ভালো লাগে তাই আমি এভাবে খেজুরের রস সংরক্ষণ করে রাখি। পরে রান্না করে খাওয়ার জন্য। এই খেজুরের রসের পায়েস খেতে আমার আমার বাচ্চারা খুব পছন্দ করে তাই আমি মাঝেমধ্যে খেজুরের রসের পায়েস রান্না করি। তাই আজকে আমি আমার খেজুরের রসের পায়েস রান্নার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তাহলে দেখুন আমার রেসিপির প্রত্যেকটি ধাপ। আশা করছি আমার রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরন সমুহ:
- খেজুরের রস
- পোলাওর চাউল
- তরল দুধ
- কিসমিস
- তেজপাতা
- লবণ
- এলাচ
ধাপ - ১
- প্রথমে আমি খেজুরের রস আরো ঘন করার জন্য একটি পাতিলে পরিমাণমতো খেজুরের রস দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। তারপর অনেকক্ষণ চুলায় জ্বাল করে নিলাম। তারপর খেজুরের রস একটু ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে।
ধাপ - ২
- তারপর আমি পোলাওর চাউল গুলো ভালো করে ধুয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে বসিয়ে দিলাম। তারপর এর মধ্যে এলাচ, তেজপাতা দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩
- কিছুক্ষণ পর দেখলাম পানি শুকিয়ে চাউলগুলো সিদ্ধ হয়ে এসেছে। তারপর আগে থেকে ঘন করে রাখা তরল দুধ গুলো এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। এবং পরিমান মত লবন দিয়ে ভালো করে নেড়ে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৪
- তারপর এগুলো জ্বাল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে দুধ টা একটু ঘন করে নিলাম।
ধাপ - ৫
- এরপর এগুলোর মধ্যে আস্তে আস্তে করে খেজুরের রসটা দিয়ে দিলাম। এবার ভাল করে নেড়ে চেড়ে আরো কিছুক্ষণ চুলায় বসিয়ে রাখলাম।
ধাপ - ৬
- কিছুক্ষণ পর দেখলাম খেজুরের রসের পায়েস টা ঘন হয়ে এসেছে। তারপর চুলা বন্ধ করে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। এইভাবে খুব সহজে তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু খেজুরের রসের পায়েস।
ধাপ - ৭
- এরপর আমি পায়েস ঠান্ডা করে একটি বাটিতে ঢেলে নিলাম।
শেষ ধাপ
- এরপর উপরে কিসমিস দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করলাম মজাদার খেজুরের রসের সুস্বাদু পায়েস। এটি ঠান্ডা করে খেতে খুবই মজাদার ও সুস্বাদু লাগে।
আমি আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
খেজুরের রসে সুস্বাদু পায়েস রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। শুভকামনা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার জন্য জন্য শুভকামনা রইল।
খেজুরের রসের সুস্বাদু পায়েস রেসিপি দেখে যেন নিজেকে কন্ট্রোল করা যায় না। আসলে আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করি তাই এই খেজুরের রসের পায়েস খাওয়ার প্রতি একটু বেশি ইচ্ছা জেগেছে। লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু 🥰
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। এরকম এই খেজুরের রস দিয়ে পায়েস অনেকদিনের খাওয়া হয় না। তবে যখন গ্রামে থাকতাম তখন কিন্তু খুবই খেতাম। এই পায়েস দেখে আমার খুবই লোভ লেগে যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পায়েস রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি উৎসাহমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু এই সকালবেলায় এত সুন্দর একটি খাবার দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন। প্রথমেই আমার মনে যে প্রশ্নটা জেগে ছিল তা হচ্ছে এই সময়ে আপনি খেজুরের রস কোথায় পেলেন। পরে দেখলাম আপনি নিজেই উত্তরটি দিয়ে দিয়েছেন। সংরক্ষণের জন্য খুব ভালো একটি পদ্ধতি জানলাম আজকে। সেই সঙ্গে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য ।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার কখনো খাওয়া হয়নি খেজুরের রসের সুস্বাদু পায়েস। কিন্তু খেতে ইচ্ছা করে ভিষাণ। আপু আপনার সুস্বাদু খেজুরের পায়েস দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করতেছে। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে খেজুরের পায়েস তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার মতো করে আমিও একদিন বাসায় ট্রাই করবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু অসাধারণ ও অনেক লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। খেজুরের রসের পায়েস কতদিন খাইনা। মনে হচ্ছে এখনই গিয়ে খেয়ে আসি। প্রত্যেকটা ধাপ ছিল অসাধারণ ভাবে তৈরি করা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আসলে আমার কাছেও খেজুরের পায়েস খুবই ভালো লাগে কিন্তু কখনো নিজে তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই ট্রাই করবো।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অসময় খেজুরের রসের পায়েস দেখে অনেক ভাললাগলো। খেজুরের রস খেতে আমি অনেক ভালোবাসি এটি অনেক চমৎকার একটি জিনিস সেই সাথে খেজুরের রসের পায়েস ও আমার অনেক প্রিয় আপনি এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
খেজুরের রসের পায়েস অসাধারণ দেখতে লাগছে আপু।খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।জিভে জল চলে এসেছে।আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অসাধারণ অনেক সুন্দর হয়েছে দেখে জিভে জল চলে এলো। খেজুরের রস দিয়ে কখনো পায়েস খাওয়া হয়নি। এই প্রথম খেজুর রস দিয়ে পায়েস রান্নার রেসিপি দেখলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।