যমুনা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে বেশ কিছু নদী বয়ে গেছে। এই নদীগুলোর মধ্যে যমুনা নদী অন্যতম। মূল যমুনা নদী থেকে এই নদী আকারে ছোট। একে যমুনা নদীর শাখা নদীও বলা হয়। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে আমি বন্ধুদের সাথে ফুলবাড়ি ঘুরতে গিয়েছিলাম। যমুনা নদী ফুলবাড়ির মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে।
আমরা ফুলবাড়ির একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। দুপুরের খাবার খাওয়া শেষে আমরা ফুলবাড়ির একটি পথ ধরে পার্বতীপুরের দিকে আসছিলাম। পথিমধ্যে আমরা একটি ব্রীজের কাছে দাঁড়াই আমড়া খাওয়ার জন্য। সেই ব্রীজটিই যমুনা নদীর উপর অবস্থিত ছিল। যাই হোক বন্ধুরা এদিকে আমড়া কিনছিল আর আমি ব্রীজের উপর গিয়ে নদী দেখছিলাম।
অপরূপ সুন্দর এই নদীটি যে আসলে যমুনা নদী তা বুঝতে পেরেছি গুগল ম্যাপ দেখে। বাচ্চারা নদীতে গোসল করছিল। আবার কিছু লোক জাল দিয়ে মাছ ধরছিল। এই দৃশ্যগুলো অনেকদিন পর উপভোগ করলাম। ব্রীজের উপর বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল মনোমুগ্ধকর।
নদীর পাড়ে গাছের ছায়া দেখে বেশ ভাল লাগছিল। এখানে বন্ধুরা মিলে একসাথে বসে গল্প করলে দারুণ একটা আড্ডা জমবে। নদীর পানিতে গাছের প্রতিবিম্ব দেখতেও বেশ ভাল লাগছিল। এরকম পরিবেশে সময় কাটালে যে কারো মন ভাল হয়ে যাবে আশা করি। আমরা অনেক সময় জীবনের নানা ব্যস্ততায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি। তখন আমাদের শরীর এবং মনকে চাঙ্গা করার জন্য এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো প্রয়োজন। আর সকল ক্লান্তি ভুলে নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশে আমরা সময়কে উপভোগ করতে পারি ।
নদীর প্রাকৃতি পরিবেশ আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। নদীর শীতল হাওয়া আমাদের মন এবং শরীরকে সতেজ করে তোলে। আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। আর তাই নদী আমাদের পরিবেশের ঐতিহ্যগত রূপ। নদী ছাড়া বাংলার পরিবেশকে আলাদাভাবে কল্পনা করা যায় না। বরং বাংলার রূপ-বৈচিত্র্যকে কল্পনার মত সুন্দর করে তুলেছে জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য নদী। যুগে যুগে তাই অনেক লেখক আর কবি বাংলাদেশের নদীর প্রেমে পড়েছেন আর নদী নিয়ে রচনা করেছেন অসংখ্য ছড়া, গান আর কাব্য। ফুলবাড়ি হয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর বেশ কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি ছবিগুলো আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। ধন্যবাদ, সবাইকে।
ক্যামেরা ডিভাইস | স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা |
---|---|
লোকেশন | GX42+C5X Phulbari |
আমার জানামতে এই নদীটিকে ছোট যমুনা নদী বলা হয়। দিনাজপুর ফুলবাড়ীর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের সময় এই নদীটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমি এক বইয়ে পড়েছিলাম। যাইহোক নদীর প্রকৃতি আমাদের সবাইকে ভালো লাগে। নদীটি সম্পর্কে দারুন লিখেছেন আপনি ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এই নদীটি আমাদের এলাকার পাশ দিয়েও বয়ে গিয়েছে। এই নদীটির মূল নাম ছোট যমুনা নদী। ফুলবাড়িতে নদীটির পাশের পরিবেশ খুবই সুন্দর লাগছে। আশেপাশে পরিবেশ খুবই মনোরম।আমরা আগে প্রায়ই এই নদীর পাশে ঘুরতে যেতাম। আপনি অনেক সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি আপনার অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের আনাচে-কানাচে নদ নদী রয়েছে। সৌন্দর্যমন্ডিত নদী হচ্ছে যমুনা নদী। আপনি যমুনা নদীর শাখার খুবই সুন্দর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। ফুলবাড়ী থেকেও যে যমুনা নদীর শাখা রয়েছে সেটি শুনে খুবই ভালো লাগলো।
জি ভাই ঠিক বলেছেন, নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আমার বাড়ির পাশে যমুনা নদীর শাখা রয়েছে। কখনো মন খারাপ থাকলে নদীর ধারে গিয়ে বসে থাকতাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত, মানুষ বিভিন্ন কারণে, জীবনের বিভিন্ন ধাপে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরে। নদীর পাড়ে বসলে যে কোন মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। ফুলবাড়ি হয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর ছবিগুলো সুন্দর তুলেছেন এবং প্রতিটি ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি নদীর পাড়ের চিত্র তুলে ধরেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী দিয়ে যে যমুনা নদীর শাখা ছোট যমুনা নদী বয়ে গেছে সেটা আমি জানতাম না। আপনার পোস্টের মাধ্যমেই এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি আমার জানা হলো। আপনি ঠিক বলেছেন,যেকোনো নদীর ধারেই অন্যরকম এক মানসিক স্বস্তি পাওয়া যায়। আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। যমুনা নদীর শাখা এই ছোট যমুনা নদীটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের এই দেশ নদীমাতৃক দেশ৷ আমাদের দেশের অসংখ্য নদ-নদী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো যমুনা নদী। মুল যমুনা নদী বেয়ে শাখা যুমনা নদী আমাদের যশাই ভিতর দিয়ে ফুলবাড়ি দিয়ে বয়ে চলেছে।
এই নদীটির শাখা আমার বাড়ির কাছে দিয়েই অতিবাহিত হয়েছে৷ এই নদীর তীরে আমি বেশ কয়েকটি দোকান দেখতে পেয়েছি। নদীর তীরে আমড়ার দোকানটি অনেক সুন্দর ছিলো ভাইয়া। আসলেই ভাই নদীর তীরে বসে থাকলে মন ভালো হয়ে যায়। আপনার ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া, নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ মানসিক চাপ কমাতে দিতে সাহায্য করে। এবং বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশে। এবং আমাদের দেশে যদি কোন বড় ধরনের বন্যা হয় তাহলে এই নদীর মাধ্যমে আমরা এই বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাই। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
নদীর পারে বিকেলে বসে গল্প করার মজাই অন্যরকম। তাছাড়া নদীর পারে যে প্রকৃতির ঠান্ডা হাওয়া সেটা আজ মাধ্যমে শরীরের মন অনেকটাই ভালো হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন ভাই। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।