বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্তে //১০%প্রিয় @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা
প্রথমেই সবাইকে আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও বর্তমানে মহান আল্লাহ তায়ালা রহমতে ভালো আছি। কয়েকদিন যাবত আমি খুব অসুস্থ ছিলাম।তাই আপনাদের মাঝ থেকে অনেক দিন যাবত দুরে ছিলাম।বর্তমানে আমি পুরোপুরি সুস্থ তাই আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম।
রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি
আজকে আমি বন্ধুদের সাথে( রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি) ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্তের কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।আশা করি আমার ঘুরে বেড়ানোর কিছু কথা আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলো বন্ধুরা যেনে আশা যাক বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্তোঃ
দিনটি ছিল ২৬ জানুয়ারি। আমার যতদুর মনে পড়ে সেদিন আমি ঘুম থেকে নয়টার দিক উঠি। উঠার পর আমি ব্রাশ হাতপ নিয়ে একটু হোস্টল এর বাইরে এসে ব্রাশ করার পাশাপাশি একটু হাটাহাটি করে শারীরিক ব্যায়াম করতে শুরু করি।তারপর কিছু সময় পড় আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশ রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নেই। ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে আমার ফোনটি হাতে নিয়ে দেখি আমার বন্ধু সৈকত বেশ অনেক কয়েকবার কল দিয়েছে।তখন আমি তা দেখে সৈকতকে কল দিলাম এবং কল দিয়ে বললাম কেন আমায় কল দিছিলি।প্রথমে আমার উপর রাগ হয়ে সে গালি দিতে থাকে। যাই হোক এর মাঝে ওর সাথে অনেক কথা হয় তারপর সৈকত বলে চল রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরতে যাই।তা আমার ও কোনো কাজ না থাকায় যাওয়ার জন্য রাজি হলাম।তারপর সৈকত বললো ১১ টার দিক চলে আয় লালবাগ।তাই আমি বেশি দেরি না তারাতারি করে রেডি হয়ে লালবাগে চলে আসলাম সৈকত এর কাছে।
- লালবাগে সৈকত এর কাছে আসার পর আমরা দুজনে মিলে একটি অটোরিকশা ভাড়া করলাম।তারপর আমরা রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। লালবাগ থেকে রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি যেতে ১৫ মিনিট এর মতো সময় লাগে অটোরিকশায় করে যেতে। অটোরিকশাতে থাকা অবস্থায় বললাম সৈকতকে আমরা শুধু কি দুজনেই জমিদার বাড়ি ঘুরতে যাব।তখন সৈকত বলে দুজন দাড়িয়ে আছে আমাদের জন্য।
জমিদার বাড়ির প্রধান গেট
তারপর আমরা কিছু সময়ের মধ্যেই রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ির প্রধান ও একমাত্র গেট এর কাছে এসে পৌন্ছায়। তারপর আমরা অটোরিকশা থেকে নামি।নামার পর সৈকত আমাকে ওর দুজন বন্ধুর সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর আমরা চারটি টিকিট কেটে রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি দেখার জন্য গেটের ভিতরে প্রবেশ করি।
জমিদার বাড়ি ডুকার প্রবেশ পথ
প্রবেশ করে প্রথমেই দেখতে পারি একটি লম্বা রাস্তা এবং রাস্তাটি দুপাশে সারিবদ্ধ গাছ দিয়ে সাজানো। তবে সেদিন অনেক কুয়াশা পড়তেছিল তাই ভালো ভাবে ছবি তুলা যাইতেছিলোনা।তবু ও আমি কোনো রকম ভাবে রাস্তাটির ছবি তুলি।তারপর আমরা কিছু দুর হাটার পর দেখতে পারি জমিরদার বাড়ি।দুর থেকে জমিদার বাড়িটি দেখতে খুবেই সুন্দর লাগতেছিল।তখন আমি জমিদার বাড়িটির একটি ছবি তুলি।তবে কুয়াশার মাঝে জমিদার বাড়িটি সাদা রঙ্গের হওয়ায় তেমনটা ভালো আসতেছিল না। তবুও অনেক কষ্ট করে ছবি তুলি।তারপর আমরা জমিদার বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করি।
জমিদার বাড়ি
প্রবেশ করার পর আমি কয়েকটি জমিদার বাড়ির কয়েকটি ছবি তুলি জমিদার বাড়ির সামনের দিক থেকে।সেখানে লক্ষ্য করি আমার মতো অনেকেই জমিদার বাড়ির ছবি তুলতেছে।জমিদার বাড়ি দেখতে যে এতো সুন্দর হয়তো না গেলে উপভোগ করতে পেতাম না।তারপর আমরা বন্ধুরা মিলে কিছু সময় জমিদার বাড়ির চার পাশে ঘুরে বেড়াতে লাগি।
জমিদার বাড়ির ফুল বাগান
তারপর আমরা জমিদার বাড়িটি কিছু সময় পরিদর্শন করার পর জমিদার বাড়ির ফুল বাগানের দিকে যাই।জমিদার বাড়ির ফুলের বাগানটি অনেক বড় একটি বাগান ছিল।আমি এতো বড় ফুলের বাগান কখনো দেখি নি। আর শীতকাল হওয়ায় বাগানটিতে ফুলে ভরে উটেছে।দেখেই যেন চোখ জুড়িয়ে যেতে লাগে।যেদিকে দেখি শুধু ফুল আর ফুল। কতটা মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি সৌন্দর্য ফুটে উঠেছিল আমি তা বলে বুঝাতে পাড়বো না।তাই আমি দেরি না করে আমার ফোন দিয়ে বেশ কয়েটি ছবি তুলি ফুল এবং ফুলের বাগানটির।
বন্ধুদের সাথে খাওয়ার সময়
- তারপর আমরা ফুলের বাগান থেকে বের হয়ে জমিদার বাড়ির দিকে আবার ফিরে আসি। ফিরে আসার পর আমরা কিছু সময় ঘুরাঘুরি করে জমিদার বাড়ি থেকে বের হয়ে আসি।জমিদার বাড়ি থেকে বের হয়ে আমরা একটি হোটেল এ যাই চার বন্ধুমিলে চিকেন বিরিয়ানি খেতে। তারপর আমরা খাওয়া শেষ করে চারবন্ধু মিলে কিছু সময় গল্প করে সবাই সবার গন্তব্যে দিকে চলে যাই।।
সবাইকে আবারো আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে আজকের মতো এখানেই আমার বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্তের কথা শেষ করতেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সবাইকে।
বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর মজাই অন্যরকম । তাজহাট জমিদার বাড়ি বাড়ি কখনো দেখা হয়নি । আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম বাড়িটি। দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে দেখে বোঝাই যাচ্ছে এটা যে একটা জমিদার বাড়ি ছিল । সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
জমিদার বাড়িটি আসলেই সুন্দর। আপনি বেশ সুন্দর করে আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ছবিগুলো বেশ সুন্দর তুলেছেন। ছবির নিচে আপনি উৎস লিখেছেন। ওটা হবে লোকেশন কোড। আর এই ধরনের পোস্টে চেষ্টা করবেন ক্যামেরা ডিটেইলস দেয়ার। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।পরবর্তীতে অবশ্যই ক্যামেরার ডিটেইলস দেওয়ার চেষ্টা করবো।
অনেকদিন পর রংপুর তাজহাট জমিদারবাড়ি ছবি দেখলাম। আমি যখন রংপুরে ছিলাম তখন এখানে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। খুব সুন্দর পরিবেশটা। এত গাছপালা যে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এবং জমিদারবাড়ির সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
হুম আপু জমিদার বাড়ির ভিতরের পরিবেশটা অনেক সুন্দর । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
রংপুরের তাজহাট জমিদারবাড়ি কখনো যাওয়া হয়নি। অনেক দিন থেকে যাব যাব বলে চিন্তা করতেছি কিন্তু সময় পাই তো পাইতেছিনা। আপনার পোস্ট দেখে ভাবতেছি খুব তাড়াতাড়ি যাব। আপনি যে ভাবে বর্ণনা করেছেন তাতে যাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হলো। আর আপনারা সেখানে অনেক আনন্দ করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাদের আনন্দময় মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই। রংপুর আসলে অবশ্যই দেখা করার চেষ্টা করবেন আপনাকে তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরতে নিয়ে যাব।
বন্ধুদের সাথে ঘোরার মুহুর্ত গুলো সব সময় অসাধারন হয়ে থাকে। বন্ধুদের সাথে ঘোরা মানে অনেক ভালো কিছু সময় পার করা। আপনারা জমিদার বাড়িতে গিয়ে অনেক মজা করেছেন। ছবি গুলা সুন্দর ছিলো। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
হুম ভাই জমিদার বাড়িতে অনেক মজা করেছি। জমিদার বাড়ির পরিবেশটা খুবেই মনোমুগ্ধকর। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমার থাকার জন্য।
বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্ত সম্পর্কে সুন্দর আলোচনা করেছেন। পোস্টটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর একটি সময় পার করেছেন। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
রংপুরের তাজহাট অনেক সুন্দর একটি জায়গা। যদিও বা আমার খুব নিকটতম একটি জায়গা তারপরও আমার কখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে আমি বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে গল্প শুনেছি এবং অনেক ছবি দেখেছি এই জায়গাটির। ধন্যবাদ এবং আপনার আগামীর জন্য শুভকামনা রইল।
তাহলে ভাই আসিয়েন।আপনাকে রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাবো।অনকে সুন্দর একটি জায়গা।গেলেই মন ভালো হয়ে যায়।আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা ভালোবাসা রইল।