বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : NIKON D5600
ক্যামেরা লেংথ : 78 mm
লোকেশন : উত্তর ২৪ পরগনা ,ভারত।
আসলে পদ্ম ফুলন এমন একটা ফুল যে ফুলকে আমাদের হিন্দু ধর্মে অন্যতম একটা স্থান দেওয়া হয়। অর্থাৎ যত বড় বড় পূজা হয় সেইসব পূজাতে এই পদ্মফুল যদি না থাকে তাহলে সেসব পূজা কখনো ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন হয় না। তাইতো পদ্মফুলের চাহিদা আমাদের এখানে অনেক বেশি। আসলে এই পদ্ম ফুলের চাষ যে সব জমিতে করা হয় সেসব জমিতে আমি একবার ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে এই পদ্ম ফুলের জমিতে যখন একসাথে সকল পদ্ম ফুটে যায় তখন সে দৃশ্য সত্যিই দেখার মত। এছাড়াও এই পদ্ম ফুলের যখন বীজ পরিভুষ্ট হলে এই বীজ বাজরে বিক্রয় করা হয়। কারণ এই পদ্ম ফুলের বীজ খেতে অনেকটা বাদামের মত হয়ে থাকে।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : NIKON D5600
ক্যামেরা লেংথ : 78 mm
লোকেশন : উত্তর ২৪ পরগনা ,ভারত।
রজনীগন্ধা হলে এমন একটা ফুল যে ফুলের গন্ধ আমাদের পাগল করে দেয়। আসলে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এর রজনীগন্ধা ফুল উপহার হিসেবে দিয়ে থাকি। আসলে এই রজনীগন্ধার ফুল যদি আমাদের ঘরের কোন একটা জায়গা রাখা হয় তাহলে পুরো ঘরটা রজনীগন্ধা ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা করে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে সেই অনুষ্ঠান ভবন সাজানো হয়। আসলে আমরা আমাদের পূজা-কর্মে এই রজনীগন্ধা ফুলের মালা দিয়ে ঠাকুরকে সাজাই। আসলে এই রজনীগন্ধা ফুল বাগানের পাশ দিয়ে যদি আমরা হেঁটে যাই তাহলে গন্ধে টের পাবো যে আমরা রজনীগন্ধা ফুলের বাগানের পাশ দিয়ে।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : NIKON D5600
ক্যামেরা লেংথ : 78 mm
লোকেশন : উত্তর ২৪ পরগনা ,ভারত।
আসলে এই ফুলটি আমাদের সব জায়গাতে দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল এই ফুলটির নাম আমার জানা নেই। ছোটবেলায় যখন এই ফুল গাছে বীজ আসতো তখন আমরা সেই বীজে দুই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দেয়ার সাথে সাথে বীজটি ফেটে যেত। আর এই জন্য এই ফুলটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগতো। বিশেষ করে এই ফুলটি আমাদের চারিপাশে থাকলেও কখনো আমরা এই ফুলটির নাম জিজ্ঞাসা করিনি। আর এই ফুল গাছ যদি কোন এক জায়গায় হয় তাহলে সেই ফুল গাছের বীজগুলো অটোমেটিক ফেটে গিয়ে অনেক দূর ছড়িয়ে যায় এবং সেই স্থানে এই ফুলের বাগান গড়ে ওঠে। ফুলটির নাম যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে কমেন্ট অবশ্যই জানাবেন।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : NIKON D5600
ক্যামেরা লেংথ : 78 mm
লোকেশন : উত্তর ২৪ পরগনা ,ভারত।
আর এই ফুলটি দেখামাত্র আপনারা সবাই চিনে গেছেন যে এটি হল সেই নীলকণ্ঠ ফুল। আর এই ফুলটি আমরা আমাদের সব জায়গাতে দেখতে পাই। আসলে বাঙালি হিন্দু পরিবারে তাদের পূজাতে এই ফুল ব্যবহার করা হয়। আসলে আমাদের দেবতা অর্থাৎ মহাদেব তার কন্ঠে বিষ ধারণ করার ফলে তার গলার রঙ নীল রঙের হয়ে যায়। আর সেখান থেকে এই ফুলটির নামও কিন্তু সেই নীলকন্ঠ ফুল। অর্থাৎ মহাদেবের নাম অনুসারে এই ফুলটির নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আমরা এই ফুলটি আমাদের বিভিন্ন পূজাতে ব্যবহার করে থাকি। আর এই ফুলটির কোন গন্ধ নেই। কিন্তু গন্ধ না থাকলেও এই ফুলটি যখন গাছে ফোটে তখন সত্যিই আমাদের মনটা আনন্দের নেচে ওঠে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। পদ্ম ফুলগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বাকি প্রত্যেকটা ফুল সত্যি অসাধারণ লাগছে দেখতে। ফুল পবিত্র জিনিস এবং এটা সৌন্দর্যের প্রতীক। নীলকন্ঠ ফুলের ফটোগ্রাফি গুলোও দারুন ছিল। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল। আপনি অত্যন্ত সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রথমেই আমরা দেখতে পেলাম পদ্মফুল এবং দেখতে বেশ দারুন লাগে। ওটাকে আমরা শাপলা ফুল বলে থাকি। সর্বোপরি আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের পাশাপাশি অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন।তৃতীয় ফুলটি হচ্ছে রজনীগন্ধা।সব মিলিয়ে দারুন ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ণনা দিয়েছেন।
খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ফুলের। পদ্ম ফুল, রজনীগন্ধা এবং ওই দুইট ফুল ও খুব সুন্দর লাগছে। সব মিলিয়ে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপনা করেছেন। সেই সাথে ফটোগ্রাফির কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনাও করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ওয়াও! অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ। ফটোগ্রাফির অ্যাঙ্গেলগুলোও দারুন ছিল। পদ্ম ফুলের ফটোগ্রাফিটি দেখে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।