ক্যামেরার চোখে এ বছরের বৈশাখী মেলা (প্রথম পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আজ পহেলা বৈশাখ। চারিদিকে খুশির আমেজ। যদিও আমি এই পহেলা বৈশাখের উৎসবে যোগ দেইনি। কারণ বিগত বেশ কিছু বছর যাবত পহেলা বৈশাখের এই দিনটিতে আমি কোন কিছুই করি না। একটা সময় ছিলো যখন পহেলা বৈশাখের দিনটা বেশ চমৎকারভাবে উদযাপন করতাম। যাইহোক প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে আমাদের শহরে একটা মেলা শুরু হয়। যেটাকে বলা হয় বৈশাখী মেলা। বৈশাখী মেলা কখনো সাত দিন স্থায়ী হয় আবার কখনো পনেরো দিন। আজ সন্ধ্যার পরে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলাম সেই মেলায়। আপনাদের সাথে এখন সেই মেলার কিছু ছবি শেয়ার করবো।

IMG_20240414_192220.jpg

প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় আজকে মেলার স্থলে পৌঁছে দেখি সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করা হয় গান গাওয়া হয় কবিতা আবৃত্তি করা হয় মেলায় আগত দর্শণার্থীরা এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টা খুবই উপভোগ করে আমরা পৌঁছে দেখি যে মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে তার সামনে প্রচুর মানুষের ভিড়

IMG_20240414_192705.jpg

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ওখানে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণ পরে মেলার অন্যান্য স্টল গুলোতে ঘুরতে শুরু করলাম। ছবিটাতে আপনারা যে স্টলটি দেখতে পাচ্ছেন এটা আমাদের সকলেরই খুবই পরিচিত একটা স্টল। বাংলাদেশের এখন সমস্ত মেলায় এই ধরনের স্টল আপনি দেখতে পাবেন। তবে আমার কাছে এই ধরনের স্টল মোটেও ভালো লাগে না। অবশ্য বাচ্চাকাচ্চাদের কথা চিন্তা করলে বিষয়টা কিছুটা আলাদা। তারা আবার এই ধরনের স্টল খুবই পছন্দ করে।

IMG_20240414_192504.jpg

আমাদের শহরের এই বৈশাখী মেলাটা অনুষ্ঠিত হয় খুবই অল্প জায়গায়। তবে অল্প জায়গায় ছোট্ট পরিসরে আয়োজন হলেও সেখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। ছবিটা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন কি পরিমান মানুষ সেখানে এসেছে। যদিও আজকে প্রথম দিন হওয়ায় তুলনামূলক লোক কিছুটা কম এসেছে সেখানে। কাল থেকে হয়তো এই মেলায় ভিড় আরো অনেক বেশি বাড়বে। কারণ শহরের অনেকেই এখনো জানে না মেলাটা শুরু হয়েছে।

IMG_20240414_192358.jpg

IMG_20240414_192110.jpg

উপরের ছবি দুটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি গোল্লা আইসক্রিমের স্টল। আরেকটি মাটির তৈরি খেলবার স্টল। প্রচন্ড গরম পড়ায় এই আইসক্রিমওয়ালার বেশ ভালই বেচাকেনা হচ্ছিলো। আমাদের শহরে আগে এই ধরনের আইসক্রিমওয়ালা দেখতে পাওয়া যেতো না। তবে বর্তমানে দেখছি সব মেলায় এরা উপস্থিত হয়। আর মাটির খেলনার স্টলটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এই স্টল গুলো না থাকলে আমার কাছে এটাকে বৈশাখী মেলা বলে মনেই হোতো না। কারন আমার কাছে মনে হয় বৈশাখের সাথে মাটির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বৈশাখী মেলা গ্রাম বাংলার মেলা। এই মেলাতে মাটির তৈরি, কাঠের তৈরি জিনিসপত্র না পাওয়া গেলে মেলাটাকে আসলে পরিপূর্ণ বলে মনে হয় না।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65775.16
ETH 2664.91
USDT 1.00
SBD 2.87