আমাদের গ্রামের একজন ফেরিওয়ালার দোকানে চুড়ি ও হিজাব পিনের কিছু ফটোগ্রাফি।
শুক্রবার ,
তারিখ -০৪ আগষ্ট ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি আমাদের গ্রামের একজন ফেরিওয়ালার দোকানে চুড়ি ও হিজাব পিনের কিছু ফটোগ্রাফি। নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
প্রতি শুক্রবার আমাদের গ্রামে একজন ফেরিওয়ালা আসে। উনি মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি করেন।যেমন-সিটিগোল্ডের দুল,মালা চুড়ি,মাথায় দেওয়ার ব্যান্ড,লিপস্টিক,মেকআপ,কাজল, টিপ,হিজাব পিন ইত্যাদি। ছোট থেকে বড় সকল বয়সী মেয়েদের জিনিস তিনি বিক্রি করেন। তিনি ভ্যানে করে এসব জিনিস বিক্রি করেন।
আজকে বিকেলবেলা তিনি আসলে আমি ও আমার ছোট চাচিসহ যাই ওনার দোকানে।উনি খুব কম লাভে এসব পন্য বিক্রি করে থাকেন।আর এজন্যই ওনার দোকানে অনেক ভিড় হয়। মেয়েরা তাদের পছন্দের অনেক জিনিসই এই দোকান থেকে ক্রয় করে থাকেন। এই দোকানে গিয়ে আমি কিছু চুড়ি ও হিজাব পিন পছন্দ করি এবং এগুলোর কিছু ফটোগ্রাফি করি।
প্রাচীনকাল থেকেই নারীদের সাজসজ্জার একটি পছন্দের সামগ্রী হলো চুড়ি।চুড়ি পড়তে আমার ও বেশ ভালো লাগে।মাঝে মাঝেই আমি আম্মুর শাড়ি পড়ি এবং এগুলো শাড়ির কালারের সাথে মিল রেখে দুহাতেই চুড়ি পড়ি।নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে চুড়ির কোনো জুড়ি নেই।চুড়ি যেন নারীর সেই সুন্দর হাতকে আরো সাজিয়ে তোলে।আগেরকার দিনে নতুন বউয়ের হাতে শোনা যেত চড়ির রিনিঝিনি শব্দ। বিয়ের পর ও স্বামীর মঙ্গলের জন্য দুই হাতেই স্ত্রীর চুড়ি পরা ছিল বাধ্যতামূলক। তবে এখনকার মতো স্টোন কিংবা সিটিগোল্ডর বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের চুড়ি ছিল না। সে সময় নারীরা রেশমি কাঁচের চুড়ি পরতো। রেশমি চুড়ি ছাড়া বিয়ের কনে যেন অসম্পূর্ণ থেকে যেত।রেশমি চুড়ির কদর কমে গেলেও এখনো পয়েলা বৈশাখে অনেক মেয়েকেই শাড়ির সাথে মিল রেখে রেশমি কাঁচের চুড়ি পরতে দেখা যায়।
এখনকার মেয়েরা কাপড়ের কালারের সাথে মিল রেখে একহাতেই চুড়ি পড়তে বেশি পছন্দ করে। তাই আমি আমার মেজ বোনের জন্য নীল স্টোনের একটি চুড়ি পছন্দ করলাম। ওনার কাছে দাম জানতে চাইলে উনি বলেন ৫০টাকা ১ পিস।কিন্তু আমি তাকে ৩৫ টাকা দিতে চাই।অনেক দরাদরির পর আমি চুড়িটি ৪০টাকা দিয়ে কিনলাম।
আধুনিক যুগে এখন বিভিন্ন ডিজাইনের বোরকা দেখে মনে হয় যেন তারা পর্দার জন্য নয় বরং স্টাইল হিসেবেই বোরকা বা হিজাব পড়ে।হিজাবের জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের পিন ব্যবহার করে থাকে।হিজাবের কালারের সাথে মিল রেখে তারা এসব পিন ব্যবহার করে।আমাদের গ্রামের ফেরিওয়ালা মামার দোকানে দেখলাম বিভিন্ন ডিজাইনের হিজাব পিন। এসব হিজাব পিনগুলো থেকে আমি আমার মেজ বোনের জন্য একটি পিন নিলাম।আমি ওর হিজাবের সাথে মিল রেখে সবুজ কালারের পিনটি কিনলাম। ৬ আগস্ট ওর জন্মদিন তাই ওকে উপহার দেওয়ার জন্য আমি এই হিজাব পিন ও চুড়িটি কিনলাম।
আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
মোবাইল | Tecno 9t spark |
---|---|
ক্যামেরা | ৩৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্টের ধরণ | চুড়ি ও হিজাব পিনের ফটোগ্রাফি। |
লোকেশন | চিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া। |
ধন্যবাদ,
@siza
বর্তমানে নারীদের সাজসজ্জার এই জিনিসগুলো তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। নারীদের সাজ সজ্জার জন্য ব্যবহৃত জিনিসগুলো নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বিভিন্ন রকম একটি পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মেয়েদের জন্য গ্রামে আসা মনিহারির দোকান গুলোই ভালো। কারন ছেলেরা কিনে আসলে পছন্দ হতে চায় না। তাই গ্রামের দোকান গুলো থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কিনতে পারে। জেনে ভালো লাগলো যে উনি অল্প লাবে জিনিস বিক্রি করে থাকে। প্রথমের চুড়ি গুলো অনেক সুন্দর। শাড়ির সাথে ভালো মানাবে।
ভাবির জন্য কিনে রাখেন ভাইয়া।
হইলে কিনে দিবো🙂।
একদম সত্যি কথা বলেছেন আপু, এখন তো বোরকা স্টাইলের জন্য ব্যবহার করে পর্দার জন্য না, এছাড়াও আপনি ফেরিওয়ালা জিনিস নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন, সব কিছুই সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামগঞ্জের ফেরিওয়ালা মেয়েদের এক কসমেটিকের দোকান, গ্রাম গঞ্জে এরা ঘুরে ঘুরে মেয়েদের রেশমি চুড়ি চুলের খোপা ইত্যাদি বিক্রি করে । আপনি অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু, ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রাম গঞ্জে আগেরকার দিনে মহিলা বিক্রেতারা চুড়ি,দুল,ফিতা ও বুরুজ সহ হরেক রকমের মেয়েদের পন্য সামগ্রি বিক্রি করেছিলেন। এখন আর আগের মতো তেমন মহিলা ফেরিওয়ালা চোখে খুবই পড়ে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমাদের এলাকায় একসময় এরকম ফেরিওয়ালা দের দেখা যেত। বর্তমানে অনেক কম দেখা যায়। এসব ফেরিওয়ালারা মহিলাদের সাজসজ্জার বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র বিক্রয় করে থাকে।ফটোগ্রাফি গুলো ভালো হয়েছে। শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/siza37854890783/status/1687715864093884416?t=XIueiJIsA3MvP6zHCHI1Ag&s=19
বাহ্ খুব সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনি।আমাদের গ্রামেও এইরকম কিছু কিছু ফেরিওয়ালা আসে।মেয়ের সব থেকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাই চুড়ির মধ্যে।আপনার বোনের জন্য যেই চুড়িটা নিয়েছেন এটা আমারো খুব ভালো লাগছে।আপনার চয়েস আছে।আপনারা প্রতিটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া
বর্তমানের মেয়েরা যে পরিমাণ সাজগোজ পছন্দ করে তাতে এগুলো তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।আমি শুধু চুড়ি কিনি।কিন্তু ব্যবহার করি না।হিজাব পিনগুলো কাজে লাগে। দ্বিতীয় ছবির চুড়িগুলো সুন্দর। এরকম একজন কসমেটিক ওয়ালা আমাদের এলাকায়ও আসেন।আমি প্রায়ই জিনিসপত্র কিনে থাকি। সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রামে এ ধরনের ফেরিওয়ালাদের বেশি দেখা যায়, ওদের নিজস্ব কোন দোকান এবং পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায়, স্বল্প পুঁজি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘরে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য বিক্রি করে থাকেন। খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।