গ্রামের এসব আইসক্রিম ওয়ালার কাছ থেকে শৈশবে আইসক্রিম খাওয়ার মজার স্মৃতি।

in Steem For Traditionlast year

সোমবার ,
তারিখ -১৪ আগষ্ট ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ মাটির তৈরি সরা নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

IMG-20230813-WA0004.jpg
আইসক্রিম ওয়ালার কিছু ছবি ধারণ
শৈশবে আইসক্রিম খাওয়ার মজার স্মৃতিঃ

শৈশবকাল আসলেই অনেক আনন্দময় একটি সময়।এই শৈশবকালে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে যেগুলো কখনো ভোলার নয়। শৈশবের হাসি 😀,কান্না সবকিছুতেই আমাদের স্মৃতি লুকিয়ে আছে।ছোটবেলায় আমার একটি খাবার অভ্যাস ছিল। যদি কোনো খাবারের দোকান গ্রামে আসত তাহলে আমি ঐ খাবার ওয়ালার পিছন পিছন ঘুরতাম।আর যতখন না যেত খেতেই থাকতাম।একবার খাবার কিনে দেওয়ার পর খাবার শেষ হয়ে গেলে আমি আবার আম্মুর কাছে গিয়ে খাবার নেওয়ার জন্য বায়না করতাম। এইভাবে একজন দোকানদারের কাছেই পাঁচ -ছয় বার খাবার কিনে খেতাম।আর এর জন্য যে শুধু আম্মুর কাছে বকুনি খেয়েছি তা কিন্তু নয় মারও খেয়েছি অনেকবার। কিন্তু শৈশবের এই দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। এরকমই একটি স্মৃতি হলো গ্রামের আইসক্রিম ওয়ালার কাছে আইসক্রিম কিনে খাওয়া ও এর দোকানের পিছনে ছুটা।

IMG-20230813-WA0005.jpg

আমরা ছোটবেলায় এইরকম আইসক্রিম ওয়ালার কাছে আইসক্রিম কিনে খাইনি এমন লোক খুব কমেই মিলবে।সেসময় নারিকেল ও দুধের আইসক্রিম পাওয়া যেত। খাটো ও লম্বাকৃতির একধরনের আইসক্রিম সেসময় পাওয়া যেত।১ টাকায় আমরা নারিকেলের আইসক্রিম কিনে খেতাম। দুধের তৈরি আইসক্রিম ৫ টাকা করে নিত। ছোটবেলায় চাল দিয়ে আইসক্রিম কিনে খেয়েছি। আমার একটুতেই ঠান্ডা লেগে যেত আর গলার ব্যাথা শুরু হতো।তাই আম্মু আমাকে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য টাকা দিতে চাইতো না।এইজন্য আমি পলিথিনের মধ্যে লুকিয়ে চাল নিয়ে গিয়ে আইসক্রিম খেতাম।আম্নুর কাছে অনেকবার ধরা ও পড়েছি।আইসক্রিম ওয়ালার আইসক্রিম শেষ হয়ে গেলে ওনার কাছ থেকে বরফ নিয়ে সেগুলো দিয়ে অনেক খেলেছি।

IMG-20230813-WA0003.jpg

এখন গ্রামের এসব আইসক্রিম ওয়ালার কাছে নারিকেল ও দুধ ছাড়াও দই, আম,লিচু ইত্যাদি বিভিন্ন ফ্লেভারের আইসক্রিম পাওয়া যায় ।এসব আইসক্রিমে উপরে বিভিন্ন কালারের রং দিয়ে আর্কষনীয় করে তোলে। এরা একটি বাক্সে করে আইসক্রিম বিক্রি করে থাকেন।আগে ঘন্টার টিং টিং শব্দে মানুষ আইসক্রিম ওয়ালা এসেছে বুঝতে পারলেও এখন অনেকেই ঘন্টার পরিবর্তে মাইক দিয়েও প্রচারণা করে থাকে।

IMG-20230813-WA0007.jpg

গরমের সময় এসব আইসক্রিম ওয়ালাকে গ্রামে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখা যায়। আমাদের গ্রামে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি আইসক্রিমের দোকান আসে। তবে কয়েকদিন আগে প্রচন্ড রোদ আর গরমের কারনে আমাদের গ্রামে আমি তিনটির ও বেশি আইসক্রিমের দোকান আসতে দেখেছি।গ্রামের এসব আইসক্রিমের দোকান থেকে আমি নারিকেলের আইসক্রিমেই বেশি কিনে খাই কারণ নারিকেলের আইসক্রিম আমার অনেক পছন্দের। তবে নারিকেলর আইসক্রিমে কেন জানি আর আগের মতো স্বাদ খুঁজে পাই না

IMG-20230813-WA0001.jpg

IMG-20230813-WA0006.jpg

আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।

মোবাইলের তথ্য সংরক্ষণঃ
মোবাইলTecno 9t spark
ক্যামেরা৩৮ মেগাপিক্সেল
পোস্টের ধরণশৈশবে আইসক্রিম খাওয়ার অনুভূতি।
লোকেশনচিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া।
3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ,
@siza

Sort:  
Loading...
 last year 
ছোটবেলায় এমন আইসক্রিম খাওয়ার স্মৃতি সবারই রয়েছে। সবরই শৈশবের বিশেষ কিছু স্মৃতি থাকে।তার মধ্যে এই স্মৃতিটি অন্যতম।তখন এই আইসক্রিম গুলোর দাম ১ টাকা বা ২ টাকা ছিল।এখন এগুলোর দাম বেড়ে ৫ টাকা হয়েছে। আমি ছোটবেলায় এই আইসক্রিম গুলো খুবই খেতাম।আপনার মত অনেক সময় চাল দিয়েও আইসক্রিম খেয়েছি।সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
 last year 

আপনি অনেক সুন্দর একটা স্মৃতি নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু।আমরা কম বেশি সবাই এইরকম ছোট বেলায় আইসক্রিম খেতাম।আগে ১ টাকা শুরু করে ৫ টাকা পর্যন্ত আইসক্রিম ছিল। বর্তমান এখন সব গুলোর দাম বেশি।তবে আগের দিনের মত এখনকার আইসক্রিম হয় না। এখন সব আইসক্রিমে রং ব্যবহার করে। আপনি আপনার সুন্দরময় স্মৃতি ও অনুভূতি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

শৈশবে আমি যে আইসক্রিমওয়ালার কাছ থেকে নিয়মিত আইসক্রিম খেতাম তিনি টিনের তৈরি একটি বাক্স কাঁধে বহন করে আইসক্রিম নিয়ে আসতেন আমাদের গ্রামে। আপনি যে আইসক্রিমওয়ালার ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আমি গ্রামে গেলে এখনো তাদের কাছ থেকে আইসক্রিম কিনে খাই। যদিও আইসক্রিমের মান তেমন একটা ভালো থাকে না কিন্তু সেই আইসক্রিম খেয়ে শৈশবে ফিরে যাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আসলেই ছোটবেলার একটি স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আপু। আগে যখন গ্রামে আইসক্রিমওয়ালা ঢুকতো পিছনে পিছনে ছোট বাচ্চারা সবাই দৌড়াইতাম। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল আইসক্রিম খাওয়ার থেকে আইসক্রিম ওয়ালার কাছ থেকে বরফ নেয়ার সিরিয়াল বেশি ছিল। এখনো গ্রামের অলিতে-গলিতে এরকম আইসক্রিমওয়ালা আইসক্রিম বিক্রি করে বেড়ায়। আমাদের শৈশবের মতো এখনকার বাচ্চারা আর এদের পিছনে দৌড়ায় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

শৈশবের স্মৃতি গুলো অনেক মজাদার হয়ে থাকে।আগে যখন আইসক্রিম ওয়ালা আসতো তখন আমি তাদের কাছ থেকে বরফ নিয়ে খেতাম। তখন কেন জানি সবাই এই বরফ নিতো। অনেক ভালো লিখেছেন আর ছবি গুলো ও সুন্দর হয়েছে।।শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

 last year 

গ্রামের আইসক্রিম বিক্রেতার কাছ থেকে, অনেক আইসক্রিম কিনেছি, ধান দিয়ে এবং সুপারি দিয়ে আইসক্রিম কিনে খেতাম, তখন আইসক্রিম ১টাকা করে দাম ছিলো, আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year (edited)

টাকা না দিলে চাল দিয়ে আইসক্রিম কিনে আমিও খাইতাম। বাক্সের শব্দে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে জাইতাম। কিন্তু আপনি একজন দোকান ওয়ালার কাছে ৫-৬ বার করে খেলে তো ঠান্ডা লাগারেই কথা। নারিকেলের আইসক্রিম আমারও অনেক প্রিয় ছিলো। এখন আর নারিকেল তারা দেয় না সেই জন্য আগের স্বাদ খুজে পাওয়া যায় না।

 last year 

শৈশবের স্মৃতিগুলো সবারই যেনো একইরকম। আমিও শৈশবে একটা দোকান থেকে কয়েকবার খাবার নিয়ে খেয়েছি। এর জন্য প্রতিনিয়ত বকা খাইতাম সাথে মারও ফ্রি ছিলো। আপনার শৈশবের অনেক সুন্দর একটি স্মৃতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 74993.05
ETH 2818.21
USDT 1.00
SBD 2.50