খুবই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু রেসিপি-"কচুর পাতা ভাজি রেসিপি চিংড়ি মাছ দিয়ে" 10% payout to @shy-fox
প্রারম্ভিকা
আজ আপনাদের সামনে ভীষণ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু অতি পরিচিত একটি রেসিপি" কচুর পাতা ভাজি রেসিপি" শেয়ার করবো। কচুর পাতা রেসিপিও খুবই জনপ্রিয় একটি রেসিপি। সকলের পাতে পড়ার মত রেসিপি। তার কারণ খুবই দরিদ্র পরিবার ,যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তারাও এই রেসিপিটি অতি সহজে খেতে পারে । কেনো জানেন ?-যাদের বাড়িতে কচু শাক নেই ,তারাও যেকোনো জায়গা থেকে কচু শাক সংগ্রহ করতে পারে।
কচুর পাতার সন্ধান
◆কচু শাক অনেক ডোবা নালা একটু স্যাঁতসেঁতে জায়গা আজাবা ভাবে কচু শাক হয়ে থাকে।এছাড়াও বাড়ির আশেপাশে পতিত জমিতেই এই শাক বেশি পাওয়া যায়।এই কারণে ধনী থেকে অতি দরিদ্রদের সকলেই এই শাক খুব সহজে সংগ্রহ করে খেতে পারে ।
কিন্তু আমি যে কচুর পাতা রান্না করেছি ,এই কচুর পাতা সংগ্রহ করতে হলে আপনাকে এই কচুর মুখী চাষ করতে হয়। আমার বাবা কচুর মুখী চাষ করেছে। এই কচু গাছের গোড়ায় কচুর মুখী হবে। এই মুখী গুলোও বাজারে বিক্রি হয়। এই মুখী গুলোদিয়ে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করা যায়। আমাদের বাড়ির সবজি বাগান থেকে কচুর পাতা সংগ্রহ করেছি। কচুর গাছের গোড়ায় কয়েক মাস পর যখন কচুর মুখী তুলব তখন কচুর মুখীর রেসিপি তৈরি করে আপনাদের কাছে শেয়ার করবো।
দুঃসময়ের বেঁচে থাকার খাবার
◆খুব দুঃখের সাথে আমাকে বলতে হচ্ছে যখন দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়,এমনকি অতি মহামারির সময় এই কচু শাক পাতা রাজসিক খাবার হয়ে ওঠে। কেনো বলবো?- তাঁরই জ্বলন্ত উদাহরন হলো ভয়ানক অতি মহামারি মরণ ব্যাধি
করোনা ভাইরাস
। বেশ কয়েক মাস আগে করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবার কারণে মানুষের জীবন হানি ও মানুষের নিত্য দিনের জীবন যাপন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। সেই দুঃখের সময়ে লাখো মানুষ কাজ হারিয়ে ঘর বন্দি জীবন যাপন করে। এমনকি খাবার পর্যন্ত খেতে পারছে না কিছু মানুষ।ওই রকম পরিস্থিতিতে এক শ্রেণীর মানুষ যারা খুবই দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করে ।তাঁরা কি করলো কচুর পাতা সংগ্রহ করে খেতে লাগলো। মিডিয়া টিভি চ্যানেলে সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো যা সকলের অবগত। তাই এই রকম সহজ লভ্য একটি রেসিপি কিন্তু ভীষণ পুষ্টিকর রেসিপি আজ আপনাদের সামনে শেয়ার করছি।
আমাদের কচু শাক বাগানের ছবি
যখন আমি কচু শাক সংগ্রহ করছি
সংগ্রহ করা কচু শাকের পাতাগুলি
উপকরণ
400 গ্রাম কচুর
200 গ্রাম ভাজি চিংড়ি মাছ
5 টি কাঁচা লংকা
2 টেবিল চামচ লবন
2 টেবিল চামচ হলুদ
1 টি বড় পেঁয়াজ
2 টি রসুন
4 গ্রাম পাঁচ ফোড়ন
30 গ্রাম সরিষার তেল
প্রয়োজন মত জল
ধাপ 1
প্রথমে আমি আমার সবজি বাগান থেকে কচুর পাতা সংগ্রহ করার পর বটি দিয়ে কচুর পাতা গুলি কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেবো। তারপর আমি পরিস্কার জল দিয়ে কচুর পাতা ধুয়ে নেবো।
ধাপ 2
এবার আমি কাঁচা লংকা, পেঁয়াজ এবং রসুন ও কুঁচি কুঁচি করে বটি দিয়ে কেটে নেবো।
ধাপ 3
আমি আমাদের মাটির তৈরির উনুনের উপর কড়াই রাখবো। কিছু সময় কড়াই গরম করে নেবো। তারপর সরিষার তেল দেবো। সরিষার তেলের পেঁয়াজ ,রসুন এবং পাঁচ ফোড়ন দিয়ে ভেজে নেবো এই উপাদান গুলি।
ধাপ 4
এবার আমি কচুর পাতা গুলি পেঁয়াজ ,রসুন ভাজার মধ্যে দেবো। তারপর হলুদ ,লবন এবং কাঁচা লংকা দেবো। এবার আমি কচুর পাতা 7-8 মিনিট ভেজে নেবো।
ধাপ 5
কচুর পাতা কিছু সময় ভেজে নেবার পর ভাজা চিংড়ি মাছ ভাজা কচুর পাতার সাথে মিশিয়ে দেবো। তারপর 14-15 মিনিট কচুর পাতা ভেজে নিলাম। এভাবেই সুস্বাদু কচুর পাতা চিংড়ি দিয়ে রান্না করেছিলাম।
কচুর পাতার 5 টি উপকারিতা
●বর্তমানে সারবিষ যুক্ত ভেজাল খাবার খাওয়ার দরুন মানুষের নানাবিধ রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে। যার মধ্যে একটা রোগ হলো "রক্ত স্বল্পতা".। রক্ত স্বল্পতা দূর করতে আমাদের শরীরে প্রচুর আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কচু শাক পাতায় প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। যা আমাদের দেহের রক্ত স্বল্পতা দূর করতে বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
●আমাদের দেহে নানা ধরণের ভিটামিন অভাব দেখা দেয় নানা কারণে। ভিটামিন "এ" এর অভাবে আমাদের রাতকানা রোগ হয় সবাই জানে।তাই আমাদের রাতকানা রোগ দূর করতে কচু শাক বেশি বেশি খেতে হবে। এ ছাড়াও আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতেও আমাদের নিত্য দিন কচু শাক খেতে খুবই উপকারী।
●যাদের শরীরে ডায়াবেটিস আছে। তারা নিঃসন্দেহে কচু শাক খেতে পারেন। কারণ কচু শাক পাতায় চিনির পরিমান কম রয়েছে ।সুতরাং আপনাদের শরীর কেও সুস্থ রাখতে কচু শাক খাবেন।
●আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। বিশেষ করে গরমের সময় এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।আমাদের পানির ঘাটতি দূর করতে কচু শাক খাওয়া সকলের উচিত। এমনকি আমাদের দেহের হাড় কে মজবুত রাখতে কচু শাকের জুড়ি নেই।কারণ কচু শাকে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রণ থাকে।
●তাই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশি বেশি কচু শাক পাতা খেতে হবে। কচু শাকের মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পায়। এছাড়া ও দাঁতের বিশেষ উপকার করে থাকে। এক কথায় কচু শাকের উপকারীতা বলে শেষ করা যাবে না।
উপসংহার
কচু শাক ভাজি রেসিপি একদম ঘরোয়া একটি রেসিপি। খুবই সহজ একটি রেসিপি। কচু শাক ভাজি রেসিপি খুব পুষ্টিকর রেসিপি। আপনারা বাড়িতে অতি সহজে বানাতে পারবেন। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে শাক পাতার ভূমিকা অপরিসীম। তাদের মধ্যে কচুর পাতার ভূমিকাও অসামান্য।
@simaroy এর আসল পরিচয়
@simaroy এর স্টিমিট কমিউনিটিতে স্টিমিট নাম প্রথমে আমার মায়ের নাম অনুসারে আমি আমার ইউজার নাম দেয়। সেই জন্য আমার স্টিমিট একোউন্ট নাম @simaroy
ডিভাইস | রেডমি নোট 10 প্র ম্যাক্স |
---|
লোকেশন | খাড়গ্রাম |
---|
ফটোগ্রাফার | @simaroy , @green015 |
---|
রেসিপি ম্যাকার | @simaroy |
---|
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|
■আমার পরিচয়■
নাম -সিদ্ধার্থ রায়
পেশা -পড়াশুনা ( বর্তমানে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে MA পাঠ্যরত ছাত্র)
গ্রাম -খাড়গ্রাম পালসিট
থানা -মেমারী
জেলা -বর্ধমান
রাজ্য- পশ্চিম বঙ্গ
দেশ -ইন্ডিয়া
নাগরিক - ভারতীয়
রেগার্ডস | @simaroy |
---|
খুবই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু রেসিপি-"কচুর পাতা ভাজি রেসিপি চিংড়ি মাছ দিয়ে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর করেছে। আমি কচুশাক বেশি পছন্দ করি আর চিংড়ি মাছ দিয়ে রেসিপি সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀
লিমন ভাইয়া অনেক অনেক খুশি হলাম আপনার মন্তব্য। আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই ভাই, রান্না অসাধারণ হয়েছে। কচু ও চিংড়ি মাছ, উভয়ে আমার প্রিয়।
ভাইয়া অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মত আমারও খুব প্রিয় রেসিপি।
এই শাক যে খাবে তার আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ উপাদানের ঘাটতি হবেনা কখনও।
আর চমৎকার রেসিপি 👨🍳
অসাধারণ উপস্থাপনা।💜
দাদা প্রথমেই আপনার মন্তব্য আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। অনেক অনেক উৎসাহ ও পেলাম। দারুন গঠনমূলক অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো ভাইয়া।
আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর হয়েছে।রেসিপি টিও খুবই নতুন লাগলো ,আমি কখনো খাই নি।মনে হচ্ছে ভালোই লাগবে।ছবি গুলি খুব চকচকে সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। আপনার সবসময় সার্বিক সুস্থতা কামনা করি। আপনার সুন্দর মন্তব্য আমি মনের দিক থেকে অনেক উৎসাহ ও উদ্দীপনা পেলাম। আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ছবি দেখেই আমার জিভে জল চলে আসলো। কচুপাতা চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না আমার ফেভারিট। তাছাড়া কচুপাতায় প্রচুর পরিমাণ আয়রন ও ভিটামিন আছে বিশেষ করে চোখের জন্য নাকি খুব ভালো।
আমারও আপনার মত অনেক কচুর পাতা অনেক প্রিয়। চিংড়ি দিয়ে ভাজি করায় স্বাদ বেশি হয়েছে। আপনি ঠিক বলেছেন প্রচুর আয়রণ ও ভিটামিন কচুর পাতায় রয়েছে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপিগুলো উপস্থাপনাটা আমার খুবই ভালো লাগে। আমার নিজের কাছে কচুর শাকটা অনেক প্রিয়। আমি বাসায় থাকলে এটার বেশি ঘোন্ট করে খেতাম। তবে দেখছি আপনাদের নিজস্ব অনেক সবজি খেতও আছে। এটা বেশ ভালো লাগল। শুভ কামনা রইল।
রাসেল ভাই আপনার মন্তব্য আমি অনেক বেশি উৎসাহ পেলাম। আমার ও প্রিয় রেসিপি আপনার মত। হা আমাদের নিজস্ব সবজি ক্ষেত আছে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
কচুপাতায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। কচুরপাতা ভাজি সাথে চিংড়ি মাছ অসাধারণ হয়েছে রেসিপি টা দাদা।
ইমন ভাই একদম ঠিক বলেছেন। সত্যিই সুস্বাদু হয়েছিলো। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। অনেক উৎসাহ পেলাম।
🙂🙂
দাদা অতীব লোভনীয় সুন্দর দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে।সত্যি এই রেসিপিটা আমি নতুন দেখলাম।আগে আমি আমার মায়ের হাতে কচুর শাক ঘন্ট খেয়েছি।তবে চিংড়ি দিয়ে এটা কখুনো খাইনাই। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর রেসিপিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা দাদা
ভাই অনেক অনেক খুশি হয়েছি আপনার মন্তব্য। চিংড়ি দিয়ে খেয়ে দেখবেন খুবই সুস্বাদু লাগবে। অনেক ধন্যবাদ ভাই ।শুভেচ্ছা ও রইলো
দাদা আপনাদের মতো আমাদের ক্ষেতেও কচু চাষ হতো একসময়।বর্ষায় পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে পরে আর চাষ করা হয় না।আর কচুর শাক শরীরের জন্য খুবই ভালো।শহরের লোকেরা গ্রাম থেকে কচুর শাক নিয়ে খাই।আপনার রেসিপিটা সু্স্বাদু হয়েছে দাদা।
হা। ভাই ।আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। এমনকি খুব সুন্দর গঠন মুলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ছিল দুর্দান্ত এবং অসাধারণ। আপনি শুধু কচু শাক এর রেসিপি টা দেখান নাই তারই সাথে আপনি কিভাবে কচুর শাক সংগ্রহ করেছেন তা তুলে ধরেছেন। নিম্ন মধ্যম পরিবারের গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরেই এই কচু শাক খেয়ে থাকে। এর প্রধান কারণ গ্রামে কচুশাক দুষ্প্রাপ্য নয়। কচুর শাক খেলে আয়রন এর চাহিদা পূরণ করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার রেসিপি এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুব পছন্দ হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন গ্রামে খুব সহজেই কচু শাক সংগ্রহ করা যায়। আপনার মন্তব্য টি আমার কাছে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ পেয়েছি। মনের দিক থেকে খুব খুশি হয়েছি। আপনার এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যর জন্য আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।