Better Life with Steem|| The Diary Game||13 September 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
আজকে আমার সকাল হয় ১১:২৮ এর দিকে। ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয় নাই। ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু নাস্তা করি। নাস্তা করে সামনে গিয়ে বসে। বাইরে বের হতে চেয়েছিলাম কিন্তু বৃষ্টির জন্য ঘর বন্দী হয়ে রইলাম। এমনও বৃষ্টি যা থামার কোন নাম ছিল না। তো সামনে বসে বেশ অনেকটা সময় ফোন টিপতে থাকি।
আম্মু ডাক দেয় দিয়ে বলে আপনার জন্য কিছু চকলেট আছে। আমি বললাম কই পাইসো এই চকলেট। বলল আপনি তো নবাব তাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আপনার বাবা সকালে বাজার করে এনেছে তখন নিয়ে এসেছে। আমি বললাম ও আচ্ছা তাহলে দাও খাই। তো এই চকলেট আমরা তিন ভাই বোনই খেতে খুব পছন্দ করি। তো খুব মজা করে চকলেট গুলো খেলাম।
তারপর বেশ অনেকটা সময় ব্যালকনিতে গিয়ে বসে থাকি। বৃষ্টি দেখতে থাকি আর ফোন থেকে গান শুনি আর কবুতর দেখি। বেশ অনেকটা সময় এভাবে পার করে দেই । তো এভাবেই সুন্দর কেটে যায় আমার সকালটা।
অল্প কিছুক্ষণের পরেই আজান দিয়ে দেয় কারণ আজকে শুক্রবার জুম্মার নামাজ আছে। তাই তাড়াতাড়ি আজান হয়। আমি আজান শুনে গোসল করতে চলে গেলাম তখন হালকা হালকা বৃষ্টি কমেছে। তো গোসল করে সুন্দরভাবে পরি পাটি হয়ে চলে গেলাম মসজিদে।
মসজিদে গিয়ে সবার সাথে খুব সুন্দর ভাবে সালাত আদায় করার জন্য বসি। ইমাম হুজুরের ওয়াজ নসিহত শুনি বেশ অনেকটা সময়। অনেক তাড়াতাড়ি মসজিদে গিয়ে পৌঁছাইলাম আমি। তাই বেশ অনেকটা সময় ইমাম হুজুরের ওয়াজ নসিয়ত শুনতে পারি। তো সবার সাথে খুব সুন্দর ভাবে সালাত আদায় করে মসজিদ থেকে বের হলাম।
মসজিদ থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে একটু সামনে গিয়ে বসি। তখন আমাকে আমার খালামণি ডাক দেয়। তো তার কাছে গিয়ে তার ফোনে এমবি ভরে দেই আমি।
তারপর সেখান ঘরে এসে জামা কাপড় পড়ে বাড়ি থেকে বের হই। বাড়ি থেকে বের হয়ে খালাতো ভাইকে কল দিয়ে বের করি বাড়ি থেকে। তো দুজনে হাঁটতে হাঁটতে বেশ অনেকটা দূর চলে যায়। বেশ অনেকটা সময় হাঁটাহাঁটি করি দুজনে রাস্তায়। ভালই লাগে হাটাহাটি করতে।
তারপর এসে ক্যারাম বোর্ড খেলতে বসে যাই। বেশ ভালো লাগলো সবার সাথে ক্রাম বোর্ড খেলে। আজকে বৃষ্টির জন্য কেউ ফুটবল খেলতে আসেনি। এমনিতে বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু বৃষ্টিতে ফুটবল খেললে বেশিরভাগ মানুষেরই জ্বর উঠে যায়। তাই কেউই খেলতে আসল না আজ ফুটবল। তো ক্রাম বোর্ড খেলতেও খারাপ লাগলো না ভালই লাগলো।
তো ক্রাম বোর্ড খেলা শেষ করে সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে আসি। বাড়িতে এসে বেশ অনেকটা সময় ফোন নিয়ে বসে থাকি। তারপর আমাকে হালকা কিছু নাস্তা খেতে দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যেই আমরা এই পেজু ও পুরি কিনে আনি বাহির থেকে। আজকে আমাদের ঘরেই পেজ তৈরি করা হলো। আমাদের ঘরে সহজ থাকেই কারণ যেকোনো ভাজাপোড়া জিনিস সস দিয়ে খেতে পছন্দ করি তাই সহজ আমাদের ঘরে থাকে। তো খুব মজা করে খাবার খেলাম।
আজকে আমাদের অনলাইনে টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিল। সময় মতো ক্লাসে অংশগ্রহণ করি। খুব সুন্দর ভাবে সবার সাথে ক্লাস করি। বিভিন্ন কিছু জানতে পারি ক্লাসের মাধ্যমে। বেশ ভালোই লাগলো সবার সাথে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পেরে। বেশ অনেকটা সময় পরে আমাদের ক্লাস শেষ হয়। তারপর সেখানে বসে বসেই আমি পোস্ট লিখতে শুরু করে দেই। অল্প কিছুক্ষণ পরেই আমার পোস্ট লেখা শেষ হয়ে যায়।
বৃষ্টির দিনে আমাদের ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হয় কিন্তু দীর্ঘ সময় ঘরবন্দি হয়ে থাকবে কারই ভালো লাগেনা।। কবুতরগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয় এছাড়াও চকলেট খেয়েছেন ছোট বাচ্চাদের।। সব মিলিয়ে সুন্দরভাবে দিনটি পার করেছেন।।
জি ভাই ঘরবন্দি হয়ে থাকাটা খুব কষ্টকর বিশেষ করে যারা ঘরের মধ্যে বেশিক্ষণ না থাকে তাদের জন্য তো খুবই বিরক্তকর হওয়ার পরে। তাই একটু কবুতরের সাথে সময় কাটাতে হয়। এমনিতে কবুতর লালন পালন করতাম একসময় অনেক। আগের মত এখন আর তেমন কোন কিছুই করা হয় না।
যে সকল মানুষের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে তারা ঘরের ভিতরে বন্দী থাকতে খুব কষ্টবোধ করে, বৃষ্টির কারনে বাধ্য হয়ে ঘরের ভিতরে থাকতে হয়, কিন্তু বৃষ্টি হলে একটা সুবিধা আছে ভালো ঘুম হয়, আমরা সারাদিনি কার্যক্রম দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।