গরমে মন শীতল করা রেসিপি: ডাবের পুডিং
আমি @siddiqua ,বাংলাদেশ থেকে আমার বাংলা ব্লগে যুক্ত হয়েছি।আজ আমি হাজির হয়েছে একটা ভিন্ন ধর্মী রেসিপি পোস্ট নিয়ে ,আর সেটি হচ্ছে ডাবের পুডিং ।
অনেকদিন ধরেই ভাবছি ডাবের পুডিং বানাবো তবে বাজারে গেলে সাথে করে বোতল নিতে মনে থাকে না যে ডাব কেটে পানি বোতলে নিয়ে আসবো ,যাই হোক আজ কোনো কাজ ছিলো না তাই ডাব কিনে বানিয়ে নিলাম মজাদার পুডিং।
এই রেসিপিটি খুব সহজেই কম উপকরণ দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যায় ।আর এই আবহাওয়া তে খেতে বেশ ভালো লাগে ।ইদানিং খুব বাজে একটা আবহাওয়া ফ্যান অন করলে শীত করে আবার অফ করলে গরম লাগে ।আর বাহিরে গেলে কেমন জানি একটা অস্থিরতা অনুভব হয় ।এমন আবহাওয়া তে ফ্রিজে রাখা এই পুডিং খেলে মনে শান্তি ফিরে আসে আমার যা মনে হয় ।
ডাবের পুডিং বানাতে যে সব উপকরণ লেগেছে তা নিন্মরূপ:
নং | উপকরণ এর নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
০১ | ডাব | ১টি |
০২ | চিনি | ২ টেবিল চামচ |
০৩ | আগার আগার | দেড় চামচ |
আগার আগার ই এই রেসিপিটি বানানোর মূল উপাদান যা ছাড়া জমাট বাঁধবে না।
প্রথম ধাপ
আমি ডাব থেকে শাস ছাড়িয়ে নিয়েছি ,এবং শাস গুলো ফালি ফালি করে কেটে নিয়েছি ।
আরো অনেক শাস হয়ে ছিলো তবে আমি কাটতে কাটতে খেয়ে ফেলেছি।
দ্বিতীয় ধাপ
আমি একটি পাতিল নিয়েছি এবং তাতে একটি ছাঁকনির সাহায্যে ডাবের পানি ছেকে পাতিলে নিয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার ডাবের পানিতে দুই টেবিল চামচ চিনি এবং দের চামচ আগার আগার পাউডার দিয়ে দিয়েছি।
এই দুইটি মিশ্রন এখন ভালো করে ডাবের পানির সাথে মিশিয়ে চুলায় কিছুক্ষন হিট দিবো।
চতুর্থ ধাপ
হিট হয়ে গেলে মিশ্রণটি একটা বাটিতে ঢেলে নিবো ,এবং সাথে সাথেই ফালি করা কচি শাস গুলো দিয়ে দিবো ,এবং ফ্যানের নীচে ৩০মিনিট রেখে দিবো জমাট বাধা অব্দি।
৩০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর তৈরি হয়ে গেল আমার মজাদার ডাবের পুডিং।
এর পর কিউব করে কেটে ,কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে পরিবারের সবাই মিলে তৃপ্তি করে খেয়ে নিলাম ডাবের পুডিং।
আজকের রেসিপিটি কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন ।
🌼ধন্যবাদ🌼
সত্যি ইউনিক একটি রেসিপি দেখলাম অল্প খরচে স্বল্প সময়ে এভাবে যে ডাবের পুডিং বানানো যায় আগে কখনো বুঝিনি।
তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে মজাদারই হবে।।
সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন পোস্টটি শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
শুধু দেখে না ,আসলেই খুবই মজা ,একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন কেমন মজা ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আবহাওয়ার এই বাসে অবস্থার কথা আর বলিয়েন না আপু যাই করছি না কেন তার বিপরীত হয়ে যাচ্ছে। ফ্যান না চালালে গরমে থাকা যাচ্ছে না আর ফ্যান চালালেই ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে।
গরমে মনকে শীতল রাখার জন্য খুবই চমৎকার একটা ডাবের পুডিং তৈরি করার পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। আসলে ডাব দিয়ে যে পুডিং তৈরি করা যায় এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না।
এখন তো জানলেন ,একদিন ট্রাই করে দেখবেন ,আসলেই অনেক মজা।ধন্যবাদ আপনাকে।
পুডিং এর নাম শুনেছি, কিন্তু কখনো দেখিনি। এই প্রথমবার ডাবের পুডিং দেখলাম। দুদিন আগেই গাছের ডাব বিক্রি করা হল আর বাড়ির জন্য কয়েকটা ডাব পারা হয়েছিল। সেই ডাবের একটাতে ভালো শাঁস হয়েছিল। বাড়ির সবাই মিলে সেই শাস খেলাম। আগে জানলে সেই ডাবের শাঁস দিয়ে পুডিং বানাতে পারতাম। এ এক অন্যরকম খাবার।
খুবই সুস্বাধু পুডিং।নেক্সট টাইম ডাব পারলে বানিয়ে খাবেন ,বেশ মজা।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আইডিয়াটা সত্যিই অনেক ইউনিট ছিল এবং আপনি অনেক চমৎকারভাবেই পুডিং তৈরি করেছেন যাইহোক আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ,ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রচুর গরমের মধ্যে ডাবের পানি খেলে যে কি ভালো লাগে তা বলে বোঝানোর মত না। মনে হয় যে ভিতরটা সাথে সাথে শীতল হয়ে গেছে। কিন্তু এখন ডাবের দাম প্রচুর পরিমানে বেড়ে গেছে। তাদের এই পুডিং অনেকজনকে তৈরি করতে দেখেছি তবে এখন পর্যন্ত আমি তৈরি করিনি। এবং আমার ডাবের পুডিং খাওয়া হয়নি। বেশ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে। এটি সত্যিই গরমের তৃষ্ণা শীতল করে দেওয়ার মতো একটি রেসিপি।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যে উৎসাহ আরো বেড়ে গেলো। ঠিকই বলেছেন ডাবের দাম প্রায় আকাশ ছোঁয়া।তবে এই গরমে ডাব খেতে খুবই ভালো লাগে ,বাসায় পুডিং বানিয়ে দেখবেন বেশ মজা।
আমিও বাসায় এর আগে ডাবের পুডিং খেয়েছি। ডাবের পুডিং খেতে ভীষণ মজা লাগে। অল্প উপকরণেই খুব সহজে এই পুডিং বানানো যায়। গরমের ভিতর ডাবের ঠান্ডা ঠান্ডা পুডিং খেলে মন ঠান্ডা হয়ে যায়। আপনাকে ধন্যবাদ এইরকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ,ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ডাবের পুডিং তৈরি খুবই সুন্দর হয়েছে। আশা করি স্বাদেও অনেক সুন্দর হয়েছিল। আমার বাংলা ব্লগে আপনার ব্লগিং জার্নি শুভ হোক।
আমি নিজেই এই রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম আপু। সত্যিই ভীষণ মজাদার একটি রেসিপি। আমার কাছে কিন্তু রেসিপিটি অসম্ভব ভালো লেগেছে। আসলে এই ধরনের রেসিপি খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। আর গরমের জন্য অনেক বেশি পারফেক্ট। আর এই রেসিপিতে সত্যিই কম উপকরণের প্রয়োজন হয়। আপনার টা দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু।