মেছো ভূত||ভূতের গল্প
এই ঠান্ডার মাঝেও নতুন বউকে রেখে বাইরে রাত কাটাতে হয় প্রতিদিন। কারন একটাই পেটের দায় আর অভাব।প্রথমে নিজের কপাল কে,তার নিজের বাপ দাদা কে কষে গালাগালি করতে থাকল করিম।
আসলে করিম একটি পুকুরের পাহাড়াদার হিসেবে চাকুরি নিয়েছে।এতদিন বাপের হোটেলে খেত,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত,রাতে বিনা চিন্তায় ঘুম দিত।কিন্তু বাপ মায়ের তা সহ্য হলো না। বিয়ে দিয়ে দিল।বিয়ের পরেও সে আগের মতই চলার পরিকল্পনায় ছিল।কিন্তু তার বউ যে এত দজ্জাল তা জানা ছিল না।
বাধ্য হয়ে তাকে এই চাকুরী তে ঢুকতে হলো।এখন সে এমনিতেই ভীতু মানুষ।তারপর সারা রাত এই পান্ডব বর্জিত দিঘীর পাড়ে থাকতে হবে। যেখানে রাতে কেন দিনেও মানুষ আসতে ভয় পায়। কিন্তু ভূতের থেকে বউয়ের ভয় বড়, তাই বাধ্য হয়ে তাকে এক কাজ করা লাগতেছে।
আর পুকুরের মালিকেরও শখের শেষ নেই।আরে তোর পুকুরে দিনের বেলাতেই লোক আসে না,সেখানে কার দায় পড়ছে রাতে আসার।মানুষ না আসার পেছনে কারন আছে।
পুকুরটি গ্রামের একদম শেষ সীমানায়। প্রায় ৩বিঘা জমির উপর পুকুরটি। পুকুরের আশেপাশে চাষের জমিজমা নেই। তিনদিক ঘেরা বিশাল বাশবন। দিনের বেলাও অন্ধকার হয়ে থাকে।তারপরেও কিন্তু পুকুরের পানি বেশ পরিষ্কার। আগে গ্রামের লোকজন স্নান করতে আসত।
কিন্তু একবার হল কি,একটি বাচ্চা হঠাৎ ডুবে যায় পুকুরে। গ্রামবাসী ডুবুরী সবাই মিলে খোজাখুজি করেও বাচ্চাটিকে খুজে পাওয়া গেল না।অবশ্য তাদেরই বা দোষ কি।তিনবিঘার উপর পুকুর তারমাঝে একটা বাচ্চাকে খোজা মানে খড়ের গাদায় সুচ খোজার মত।দুইদিন খোজাখুজির পর যখন পাওয়া গেল না তখন সবাই ক্ষান্ত দিল।
তারপর নাকি সেই ছেলের বাবা মা স্বপ্নে দেখে কে যেন বলছে,"তোর ছেলে কে আমি নিয়ে এসেছি,সে আমাকে লাথি মেরেছিল।তাই তাকে নিয়ে আসতে হয়েছে।এরপর দুইদিন পর বাচ্চাটির ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ ভেসে ওঠে পুকুরে।কিন্তু বাচ্চাটিকে দেখে মনে হচ্ছিল সে যেন সদ্যই মারা গেছে।গ্রামবাসীর মাঝে ভয় ঢুকে যায়।তারা আর এই পুকুরের ছায়া পর্যন্ত মাড়ায় না।
এপর্যন্ত সব ঠিকই ছিল।কিন্তু ১বছর আগে পুকুরের মালিকের মাথায় ভূত ঢোকে মাছ চাষের।চাষ করেছিলেন ও।ছয়মাস নিয়মত খাবার দেওয়া ও যত্ন নেওয়ার পর যখন মাছ ধরতে যাওয়া গেল,তখন জলে মাছ তো দুরের কথা একটা ব্যাঙ পর্যন্ত ছিল না।মালিকের গেল মাথা গরম হয়ে।তিনি ভাবলেন বুঝি কেউ রাতে এসে মাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।............
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
খুব সুন্দর হয়েছে গল্পের শুরু। যদিও আমি ভুত বিশ্বাস করি না কিন্তু আপনার গল্পের শেষের দিকে মাছ চাষ করার পর জালে না ধরা পড়ার রহস্য আমার মনে কিছু একটা জানান দিচ্ছে। নিজের মধ্যে মিসির আলির একটা চিন্তাধারা ঢুকে গিয়েছে । যাই হোক বাচ্চার ব্যাপারটি বেশ সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গল্পের শুরুর দিকটা কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে পড়ে। আমার কাছে এরকম ভুতুড়ে গল্প গুলো পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। ওই পুকুরটিতে এমন কি আছে বাচ্চাটিকে মেরে ফেলল?? অনেক প্রশ্ন এখন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছি। আশা করছি পরবর্তী পর্ব খুবই তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
এই গল্পটির প্রথম পর্বে তো এত বেশি ভয়ংকর কিছু দেখলামই না।আসলে ভূতের গল্পের মাঝে যদি ভয়ংকর কিছু আসে তা দেখতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। কারণ আমি ভূতের গল্প পড়তে ভীষণ পছন্দ করি। আশা করছি আমি পরের পর্বে ভয়ংকর কিছু পড়ার সুযোগ পাবো। ওই বাচ্চাটির কি হয়েছিল কেন বাচ্চাটি মারা গিয়েছিল তার রহস্য কি জানতে পারবো না। আচ্ছা যাই হোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম অবশ্যই। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
আপনি খুব চমৎকার একটি গল্প লিখেছেন। গল্পটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভয় লাগলো। এমনিতে আমি ভূতকে অনেক ভয় পাই। যে পুকুরে একটি বাচ্চা পরে মারা গেল কিন্তু তার বাবা স্বপ্ন দেখল এই কথা শুনে আমি বেশি ভয় পেয়ে গেলাম। তবে পুকুরের মাছগুলো কোথায় গেল মনে হয় সামনে পর্বে ক্লিয়ার করবেন। আমার কাছে মনে হয় পুকুরের মাছগুলো কেউ চুরি করে নাই। যাক দেখি পরের পরবে কি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।