জ্যাক রায়ান ওয়েব সিরিজ।||পর্ব-৪
সংক্ষিপ্ত তথ্যঃ
সিরিজের নাম | জ্যাক রায়ান |
---|---|
জনরা | স্পাই,অ্যাকশন |
অভিনয়ে | জন ক্রাসিনস্কি,দিনা শিলাহিবি,ওয়েনডেল পিয়েরস প্রমুখ |
ভাষা | ইংরেজী |
রিলিজ ডেট | ৩১আগস্ট২০১৮ |
মুভির প্লটঃ(হেভি স্পয়লার)
আমর গত পর্বে দেখেছি সুলেমান এর ছোট ভাই আলী রায়ানদের ফাকি দিয়ে পালিয়ে যায়। আর রায়ান একটি কম্পিউটার গেমের চ্যাট থেকে জানতে পারে সে বর্ডারে কারো সাথে দেখা করতে যাচ্ছে।তখন রায়ান সিদ্ধান্ত নেয় তাকে পিছু করে তার দল সহ ধরার জন্য। তাই তারা তার পিছু করতে থাকে।রায়ানের সাথে ফ্রেঞ্চ ইন্টেলিজেন্স এর একজন মেয়ে থাকে।সে রায়ান কে বলে সে সিঙ্গেল কিনা।তখন রায়ান বলে একজন কে পছন্দ করি,কিন্তু তাকে বলে হয়নি।তখন মেয়েটি রায়ান কে বলে দেওয়ার জন্য উৎসাহ দিতে থাকে।
রায়ান তখন মেসেজ করে মেয়েটিকে বলে দেয় তার মনের কথা।তখন আমরা মেয়েটিকে দেখতে পাই। মেয়েটি একজন ডাক্তার।সে একটি বিশেষ হাসপাতালে কাজ করে।যেখানে বিভিন্ন ভাইরাস জনিত রোগের চিকিৎসা করা হয়।আর মেয়েটি তখন একজন রোগীর ইবোলা রোগ নিয়ে কাজ করছিল,তাই সে মেসেজের রিপ্লাই দিতে পারে না।রিপ্লাই না পেয়ে রায়ান মন খারাপ করলেও ফ্রেঞ্চ ইন্টেলিজেন্স এর মেয়েটি বলে ডাক্তার তো তাই ব্যস্ত আছে হয়ত।
এরপর এর দৃশ্য চেঞ্জ হয় সিরিয়ায়।সেখানে সুলেমান একটি খবর দেখছিল।যেখানে আমেরিকা থেকে সিরিয়ায় চিকিৎসা সহযোগীতার জন্য কিছু ডাক্তার পাঠানো হয়।সেই ডাক্তার রা সিরিয়ায় আসার পর নিখোজ হয়ে যায়।
রায়ানরা যে আলীর পিছু করছে আলী তা বুঝতে পারে।তখন সে নিজের গাড়ি পরিবর্তন করে অন্য একটি গাড়ি নিয়ে পালাতে থাকে।রাস্তায় আলীর পরিত্যাক্ত গাড়ি দেখে রায়ানের বস **গ্রিয়ার ** এটি বুঝতে পারে।তখন রায়ানরা একটি পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল নেওয়ার জন্য থেমেছিল। ফলে তারা গাড়ি থেকে নেমে আশে পাশে ঘোরাঘুরি করছিল।তখন রায়ান একটি গাড়ি লক্ষ্য করে যেটা তুষারে ঢাকা।এর মাঝে তার বস তাকে বারবার মেসেজ পাঠাতে থাকে। কিন্তু রায়ান ফোন গাড়িতে রেখেই নেমে পড়েছিল।
গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় সে গাড়িটা ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।তখন আলি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে রায়ান কে দেখতে পায়। সে রায়ান কে গুলি করতেই যাবে,তখন রায়ানের সাথে থাকা ফ্রেঞ্চ ইন্টালিজেন্স এর সেই মেয়ে সদস্য আলি কে গুলি করে।আলীও তাকে গুলি করে। এতে রায়ান বেচে গেলেও মেয়েটি গুলিবিদ্ধ হয়। আর আলি পালিয়ে যেতে থাকে।
রায়ান পাম্পের মালিক কে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে বলে আলির পিছু নেয়।এবং একপর্যায়ে আলিকে ধরে ফেলে, কারন আলি আগে থেকেই গুলিবিদ্ধ ছিল তাই সে বেশিদুর যেতে পারে নি।এরপর রায়ান আলির থেকে বার বার সুলেমান এর প্ল্যান এর ব্যাপারে জানতে চাচ্ছিল।কিন্তু আলি জানায় সে কিছুই জানে না।একপর্যায়ে আলি রায়ানের উপর হামলা করার জন্য পিস্তল নিতে গেলে রায়ান তাকে গুলি করে দেয়।এরপর রায়ান ও গ্রিয়ার আমেরিকায় ফিরে আসে।
একই সময় আমরা সুলেমান কে দেখতে পাই সে তার মতই অন্য একটি উগ্রবাদী দলের নেতার সাথে মিটিং করছে কোন একবিষয় নিয়ে।সেই নেতা তার বউকে নিয়ে খোচা দিলেও সুলেমান চুপ করে থাকে।এরপর তারা দুজন একমত হলে সেই নেতা সুলেমান কে নিয়ে একটি অন্ধকার ঘরে আসে। সেখানে আমরা নিখোজ হওয়া সেই ডাক্তার দের দেখতে পাই।এবং বুঝতে পারি সুলেমান এদের কেনার কথা বলছিল।তারপর সেই ডাক্তারদের গাড়িতে তোলার পর যখন সেই নেতাকে টাকা দেওয়া হবে তখন সুলেমান বলে এই টাকা তোমার নয়।তোমার দলের লোকজনের।
তুমি তাদের থেকে খাটিয়ে নাও কিন্তু তাদের ঠিকমত বেতন দাও না।আজ থেকে তারা তোমার সাথে নেই।তখন নেতা একথা বিশ্বাস করে না।সে তার দলের লোকজন কে বলে সুলেমান দের অস্ত্র নিয়ে নিতে কিন্তু তার দলের লোক উলটো তার অস্ত্র কেড়ে নেয় এবং তাকে বন্দী করে।সুলেমান সেই ডাক্তারদের ও সেই নেতাকে নিয়ে নিজের দূর্গে ফিরে এসে তাদের বন্দী করে রাখে।
রায়ান তার সেই গার্লফ্রেন্ড কে কল দিয়ে ঘুরতে যেতে চায়।তখন সে রাজি হয়।রায়ান আর সেই মেয়ে একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া করে বাড়ি ফিরে যায়।রায়ান সেদিন মেয়েটির বাড়িতেই থাকে।
এর মাঝে আমরা দেখতে পাই একদম লোক মাইক্রোর মাঝে গ্যাস বোম্ব বানাচ্ছে।তারা সেই বোম নিয়ে একটি চার্চে যায়।চার্চে তখন দ্বিতীয় পর্বের মৃত সেই পাদ্রীর জন্য প্রর্থনা চলছিল।তারা বম গুলো অ্যাক্টিভ করে দিয়ে চার্চ থেকে বেড়িয়ে যায়।তারা যাওয়ার আগে চার্চের গেটে তালা দিয়ে যায়।একটু পর বোম গুলো ফেটে গ্যাস বেড়োতে থাকে।ফলে লোকজন গ্যাসের প্রভাবে মারা যেতে থাকে যারা তখনো মারা যায় নি তারা দরজার কাছে গিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করতে থাকে।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
এই পর্বে আমরা মধ্যপ্রাচ্যের উগ্রপন্থী দলগুলো কিভাবে মানুষের ব্রেন ওয়াশ করে তাদের দিয়ে কিডন্যাপিং,লুটপাট চালায় তা আমরা দেখতে পাই।তাছাড়া কিভাবে তারা নির্মম ভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায় তা সম্পর্কে ধারণা পাই।আরো বুঝতে পারব প্রত্যেকদেশের গোয়েন্দাদের কতটা পরিশ্রম করতে হয় যাতে তাদের দেশ উগ্রবাদী মুক্ত থাকতে পারে। এই পর্বে কিছু ১৮+ সিন আছে।তাই দেখার আগে সতর্ক করা হল।
ট্রেইলারঃ
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
জ্যাক রায়ান ওয়েব সিরিজ টি নেটফ্লিক্সেও হোম এ আসে । দেখব করে দেখা হয় না। এই ধরনের স্পাই একশন সিরিজ দেখতে আমার অনেক ভাল লাগে। আপনার এই পর্ব পড়ে ভাল লেগেছে। মধ্য প্রাচ্যের উগ্রপন্থী রিলেটেড সিরিজগুলোর মধ্যে অনেক টান টান উত্তেজনা থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দেখে নিয়েন ভাই। আশা করি ভাল লাগবে।