হ্যাংলা ভূত||দাদুর মুখে শোনা গল্প-১ম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি ছোট ভূতের গল্প

pexels-ovan-194917.jpg
সোর্স

আমরা সবাই ছোট বেলায় কখনো না কখনো না কখনো দাদুর মুখে গল্প শুনে ঘুমিয়েছি।আপনাদের কথা জানিনা কিন্তু আমি দাদুর মুখে গল্প না শুনে ঘুমাতে যেতাম না।সেই গল্প গুলোর আলাদা একটা মজা ছিল।যাই হোক গল্প গুলো চির সবুজ,অর্থাৎ যতবারই শোনা হোক না কেন তা পুরোনো হত না। অধিকাংশ গল্পই কমন তাই সেগুলো শেয়ার করলে প্ল্যাজারিজম ধরা খাবে।কিন্তু আজ যে গল্পটি শেয়ার করব তা আমার দাদূর সাথে ঘটেছিল।

আমার দাদু ছিলেন একজন ছুতার। ছুতার তো বোঝেনই,যারা কাঠের ফার্নিচার তৈরি করেন।দাদুর হাতের কাজ অনেক ভাল ছিল। কিন্তু দাদু ছিলেন একটু অলস। যেদিন ডেলিভারি দেওয়ার কথা সেদিন তো দিতে পারতেনই না,অনেক সময় ১-২ মাস ও পার হয়ে যেত। কিন্তু কাজ ভাল আর কাঠ নিয়ে দুই নাম্বারি না করার জন্য কাস্টমার রা মেনে নিত।

কিন্তু সব সময় সবাই মেনে নিবে বিষয়টা এমন না। ফলে মাঝে মাঝে বেশ ঝামেলা হত।তো এমনই একদিন ঝামেলা লাগল।একজন মেয়ের বিয়ের জন্য কিছু কাঠের ফার্নিচার এর অর্ডার দিয়েছিলেন।বিয়ের কিছুদিন আগে খোজ নিতে এসে দেখেন যে অর্ধেক ফার্নিচার বানানোই হয়নি। উনার মাথা হয়ে যায় গরম। ফলে বিশাল বাকবিতন্ডা হয়।

তারপর অনেক বুঝিয়ে সেই কাস্টমার কে ফেরত পাঠানো হয়। তখন দাদু সদ্য রেজাল্ট হাতে পাওয়া মধ্যবিত্ত ছাত্র যেমন প্রতিজ্ঞা করে,এবার থেকে ভাল করে পড়তে হবে।দাদুও তেমন প্রতিজ্ঞা করেন এবার থেকে আলসেমি ত্যাগ করবেন। আর করলেন ও তাই, সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করে কাজ এগিয়ে রাখলেন।

তারপর তার হঠাৎ মনে পড়ল আরে তিনি তো ইলিশ মাছ কিনে রেখেছেন। মনে মনে প্রমাদ গুনলেন। ইলিশ মাছ তার ভীষণ প্রিয়,এখন এত রাত গুলো মাছ গুলো ভাল থাকলে হয়। পচে গেলে ভীষণ আফসোস হবে। তখন তিনি ঝটপট দোকান বন্ধ করে বাড়ির দিকে রওনা দিলেন। দোকান ছিল হাটখোলা বাজারে। আর বাজার থেকে বাড়ি প্রায় ২কিমি।

আর এই দুইকিমি রাস্তার মাঝে আছে একটি ভীষণ বড় ও ভয়ানক বাশঝাড়।বাশঝাড় এলাকা টা গ্রামের মানুষের কাছে টান জায়গা। যারা টান জায়গা বোঝেন না তাদের জন্য বলি,টান জায়গা হল সেসব জায়গা যেখানে ভুতুড়ে কর্মকান্ড হয়। দাদু দোকানের বাইরে এসে দেখলেন বাজারের অধিকাংশ দোকান তখন বন্ধ।তখন দাদু বাড়ির ফেরার জন্য লোক খুজতে লাগলেন যার সাথে একসাথে যাওয়া যায়। কিন্তু অনেক খুজেও লোক পেলেন না। অগত্যা একা একাই রওনা দিলেন বাড়ির পথে।

আজকের গল্প এপর্যন্তই। আশা করি আগামী পর্বেই সম্পূর্ণ গল্প কমপ্লিট হয়ে যাবে। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Sort:  
 last year 

আপনার দাদুর মুখে শোনা গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ভুতের গল্প গুলো শুনতে এবং পড়তে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। পরবর্তীতে আপনার দাদুর সাথে কি হয়েছে তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আপনি পরবর্তী পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ভাইয়া আপনার দাদুর মুখের গল্প শোনে অনেক ভালো লাগলো।সত্যি ভাইয়া আগের দিনের দাদুরা এমন অনেক গল্প শোনাতো।সত্যি এই ধরনের ভূতের গল্প আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে। তবে দুঃখের বিষয় হলো আমার ভাগ্যে দাদুর মুখে গল্প কখনো শুনতে পারিনি।যাইহোক ভাইয়া গল্পটা অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ইলিশ মাছ হাতে রাতের বেলায় বাঁশ ঝাড়ের মধ্য দিয়ে একা যাওয়া ভাবতেই তো গায়ের মধ্যে শিহরিত হয়ে উঠছে । খুবই ভয়ঙ্কর একটি গল্প লিখতে শুরু করেছেন । পরবর্তী পর্বে কি হবে জানতে ইচ্ছে করছে । অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।

 last year 

এত ভয়ঙ্কর গল্প পড়েই তো শরীরে ঝিমঝিম ধরে গেল। এত অন্ধকার রাতে একা একা ঝোপঝাড় দিয়ে ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়া। দাদুর সাথে পরবর্তীতে কি ঘটনা ঘটেছে সেটাও কিন্তু বেশ জানার আগ্রহটা বেড়েই গেল। অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62339.62
ETH 2444.37
USDT 1.00
SBD 2.62