এলোমেলো ফটোগ্রাফি পোস্ট
ফটোগ্রাফি কিন্তু বেশ খানিকটা নেশার মত।যারা ফটোগ্রাফি করেন তারা খেয়াল করে দেখবেন সুন্দর কিছু দেখলে অজানতেই আপনার হাত ফোনের কাছে চলে গেছে।আন্তত আমার এমনই হয়।সুন্দর জিনিস দেখলে বা দৃষ্টিনন্দন কিছু দেখলে আমার ছবি তোলা চাই ই চাই। সে ছবি সুন্দর হোক আর না হোক।আমার ফোনের মেমোরির ৯০% ছবি দিয়ে ভরা। আজ তার মাঝে থেকেই কিছু ছবি শেয়ার করব।
আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে সৌন্দর্য। শুধু চোখ মেলে একটু তাকালেই খুজে পাওয়া যাবে সেই অপরূপ সৌন্দর্য।এই ফুল গুলো একধরনের জংলি ফুল।ঝোপ জঙ্গলে অহরহ পাওয়া যায়।রাস্তায় হাটতে গিয়ে এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ক্যামেরাবন্দী করি।
সেই ছোট বেলার হারিকেন।বর্তমান যুগের অনেকেই এটা হয়ত চিনবেন না।এমন এক সময় ছিল যখন এখনকার মত এত বিদ্যুতের সরবরাহ ছিল না।তবে সে জন্য পড়াশুনা থেমে থাকা তো যাবে না,এজন্য ব্যবহার করা হত হারিকেন।তবে এটা সত্যিকারের হারিকেন না।এটা মাটির তৈরি হারিকেন।বেশ শৌখিন লাগে দেখতে।
এগুলো কিন্তু আমাদের খুব পরিচিত একটি গাছের পাতা।যেকোন পার্ক,উদ্যান বা বাড়ির প্রধান ফটকে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এই গাছ লাগানো হয়।সকালের মিষ্টি রোদে এই পাতার সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দী করতে ভুলি নি।
অনেকেই আমরা ব্যবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের নাম শুনেছি। ছোট বেলায় খুব অবাক হতাম একটা উদ্যান তথা বাগান কিভাবে ঝুলে থাকতে পারে। যাই হোক বড় হয়ে আস্তে আস্তে বুঝলাম বিষয়টি।এটা ব্যবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান নয়।রেস্টুরেন্ট এর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য মালিকের ঝুলন্ত টব।
এটিও ঝুলন্ত উদ্যানের একাংশ।এই গাছ গুলোর নাম আমার জানা নেই।তবে গাছের পাতা গুলো বেশ অদ্ভূত।অনেকটা প্লস্টিক প্লাস্টিক।আর যেহেতু সুন্দর জিনিস দেখা মাত্রই ছবি তোলা আমার অভ্যাস,তাই এটা দেখার পরেও নিজেকে আটকাতে পারি নি।
ফুলের রাণী গোলাপ।এটা একদম খাটি গোলাপ।যদিও আমার গোলাপি গোলাপের থেকে লাল গোলাপ বেশি পছন্দ।তারপরেও এই গোলাপের সদ্য মাথা তুলে দাঁড়ানো কলি টা তার সৌন্দর্যে আমাকে মুগ্ধ করতে ব্যর্থ হয়নি।
শীতকালের গ্রাম বাংলার মাঠের সৌন্দর্য হল সর্ষে ফুল।শীতের শুরুতেই সাধারণত ধানকাটা শেষ হয়ে যায়।ন্যাড়া মাঠের মাঝে লাগানো হয় সরিষা। আর সেই সরিষার হলুদ ফুলে ভরে ওঠে ন্যাড়া মাঠ।দেখে মনে ভরে যায়।সেই সৌন্দর্যই ক্যামেরাবন্দী করার চেষ্টা করেছিলাম।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
আপনার মত আমারও একই অবস্থা ভাইয়া। কোন ছবি ডিলিট করব সেটাই খুজে পাইনা। সবগুলোই প্রয়োজনীয় মনে হয়। আজকাল আর সেলফি তোলার সময় নেই। সব ফটোগ্রাফি দিয়ে ভর্তি 🤪। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ভাইয়া। আসলে হারিকেন এখনকার ছেলে মেয়েরা খুব একটা দেখেইনি মনে হয়। এর সাথে আমাদের ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কারেন্ট গেলেই হারিকেনের আলোয় পড়তে বসতাম।
আমার ফোনে কিন্তু আমার ছবি খুজে ১০টাও পাওয়া যাবে না। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল। প্রথমে যে ফটোগ্রাফিটি ছিল সেটি আমাদের গ্রাম এলাকায় রাস্তার ধারে অনেক দেখা যায়। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এই ফুলটি। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এলোমেলো ফটোগ্রাফি হলেও কিন্তু চমৎকার চমৎকার ক্লিক ছিল আপনার, বিশেষ করে জংলি ফুল এবং সরিষা ফুল এই দুইটা ছবি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।
অনেক উৎসাহিত হলাম ভাইয়া।ধন্যবাদ উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন সুন্দর কিছু চোখে পড়লেই মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দী করতে ইচ্ছে করে। আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বন্য ফুল দেখতে ভাল লাগছে। অন্যান্য ছবিগুলোও খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।