পূর্ণতা
আমি ভীষণ অল্পে তুষ্ট, এটা বহুবার বলেছি। আমার চাওয়া-পাওয়া গুলোও খুবই সীমিত। অন্যরা কি চাচ্ছে বা কিসে খুশি, এসব নিয়ে আমার খুব একটা মাথাব্যথা নেই। আমি জীবনটা কে আমার মত করে ভাবতে ও দেখতে পছন্দ করি। আমি বড্ড স্বাধীনচেতা স্বভাবের মানুষ। নিজের স্বাধীনতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে অন্যের যুক্তিযুক্ত চিন্তা ধারণা কে সর্বদাই সাধুবাদ জানাই।
শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি আমার আলাদা একটা দুর্বলতা আছে। যদিও এটা নতুন করে আর বলার কিছু নেই। লিমন আমার বাল্য বন্ধু। যদিও ওর একটা পেশাগত পরিচয় আছে। সে মূলত শিল্পী মানুষ।
যেহেতু মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে আমার কথা হয় আর আমারও যেহেতু শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অদ্ভুত পিছুটান আছে, তাই হয়তো সেই অনুভূতিকে কেন্দ্র করেই ওকে বলেছিলাম, আমাকে একটা দোতারা ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কারণ দোতারার আওয়াজ যখন আমার কানে আসে, তখন যেন একটা অদ্ভুত প্রশান্তি কাজ করে, আমার নিজের ভিতরে। তাছাড়াও আমি চাই, আমার ভবিষ্যত প্রজন্ম বেড়ে উঠুক শিল্প-সংস্কৃতির ছোঁয়া পেয়েই।
লিমন কক্সবাজারে থাকাকালীন সময়েই হুট করে একদিন কথা হয়ে গেল। ও তো বলেই ফেললো যে, তোর জন্য দোতারা দেখেছি। যদিও ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ চমকপ্রদ ছিল। কারণ আমি ভীষণ আগ্রহী ছিলাম দোতারার প্রতি। যদিও ওর সামনের মাসের শুরুতেই আসার কথা ছিল। কিন্তু ও যে, এত দ্রুত আসবে তা কখনো চিন্তা করিনি।
ওর বাড়িতে আসা অনুযায়ী, দোতারাটা আমার হাতে আরও দুদিন আগে পাওয়ার কথা ছিল। তবে ও যেহেতু দীর্ঘদিন পরে ওর বাড়িতে এসেছে, তাই মূলত ঠিক সেইভাবে বাড়ি থেকে ও বের হতে পারেনি। যাইহোক অবশেষে আজ সন্ধ্যের দিকে সেই আনন্দঘন সময়। আমার কাঙ্খিত চাওয়াটা পূর্ণতা পেল।
এই অনুভূতি আসলে বলে বোঝানো বেশ মুশকিল। কারণ আমার ভিতরে যেহেতু শিল্পমনা ভাবটা আছে সেহেতু এই প্রাপ্তির ব্যাপারটার অনুভূতি বিশ্লেষণ করা বেশ কষ্টসাধ্য। আমি অনেকটাই কৃতজ্ঞ নিজের কাছে।
আমি জানিনা এই দোতারাটা কে বানিয়েছে, তবে যেই বানিয়ে থাকুক না কেন, তার সৃষ্টিশীল কাজের প্রতি আমি অবশ্যই সম্মান জানাই। তাকে সঠিক পারিশ্রমিক আমি দিতে পারবো কিনা, সেটা আমি জানি না। তবে আমি মনেকরি এই সৃষ্টিশীল কাজগুলো পারিশ্রমিকের ঊর্ধ্বে।
চিন্তা করে দেখুন তো, যদি এই সময়ে এসেও একজন মানুষ যুগোপযোগী পোশাক পড়ে, ঘাড়ে দোতারা নিয়ে সেটা বাজিয়ে কবিতা আবৃত্তি করে তাহলে কেমন লাগবে। আমার কবিতায় তো প্রতিবাদের ভাষা প্রাধান্য পায় আর তার সঙ্গে যদি দোতারার আওয়াজটা যুক্ত হয়, তাহলে নেহাত সেটা মন্দ হবে না। হয়তো সেই চিন্তাধারা থেকেই এতদূর পর্যন্ত অগ্রসর ।
দোতারা বাজানো মোটেও সহজ কাজ নয়। কারণ এটা সাধনার ব্যাপার। তাছাড়াও আমার হাতে এমনিতেই অনেকটা সময় কম। তারপরেও সবকিছু সামলিয়ে নিজের শখের পিছনে সময় ব্যয় করা একটু কষ্টসাধ্য। তবে চেষ্টা করে দেখতে অসুবিধা কোথায়।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া। আপনার চাওয়া-পাওয়া কম বলেই আপনি সুখি মানুষ।দোতারাটা কিন্তু দারুন হয়েছে ভাইয়া। খুব ভাল লেগেছে দোতারার সুর।🥰 অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো ভাই দোতারা নিয়েছেন ৷ এবার হ্যাংআউট আরও জমে উঠবে দোতারা শব্দে ৷ সত্যি ভাই দোতারা বাজনা শুনলে মনটা আনচান আনচান করে ৷ আসলে বাঙালির মনে দোতারা শুর মনে থাকে ৷ যদিও এখন সময়ের স্রোতে সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে ৷ তবুও টান সেটা থেকে যায় ৷
ভাই আপনি খুব শীঘ্রই বাজনা শিখুন মনে করেন আপনি একজন বাউল ৷ হাহাহাহাহা !!!!