আমাদের কাটানো মুহূর্ত
আমাদের সংসার বলতে, মূলত আমার ছোট্ট সংসারে যে কয়জন মানুষ থাকে তাদেরকে একত্রে নিয়েই বুঝিয়েছি। হয়তো সেই তালিকায় আছে আমার নিজের নামটাও, সঙ্গে আমার গিন্নি আর ছোট বাবুটা । তিনজন মিলেই হচ্ছে আমার সংসার ।
একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন, প্রয়োজনীয় নিত্যপন্য জিনিসগুলোর চাহিদা কিন্তু প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। আপনি যতই বেশি কিনে রাখুন না কেন, একটা সময়ের পরে সেটার চাহিদা আবারও নতুন করে দেখা দেয়।
এইতো বাসার জন্য কেনাকাটা যদিও কদিন আগেই করেছিলাম, তবে সময়গুলো যে কেন এত দ্রুত চলে যায় তা বুঝে উঠতে পারি না। যদিও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর ব্যবহার অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাও যেন সেগুলো যেন ক্রমাগত শেষ হয়ে যায়, কি একটা আজব অবস্থা ।
এইতো কয়েকদিন আগেই তেল কিনেছিলাম আবার সঙ্গে বাজারও করেছিলাম। সেসময় কতগুলো পয়সা খরচা করেছিলাম। মাসের কয়েকটা দিন যেতে না যেতেই, সবগুলো প্রয়োজনীয় পন্য যেন ফুরুত হয়ে গিয়েছে।
গত রাতে সেকি এক অবস্থা, ঠান্ডা খাবার গুলো যখন কোন অবস্থাতেই খেতে পারছিলাম না, হীরাকে তখন বললাম খাবার গুলো একটু গরম করে দেওয়ার জন্য। সে যখন গ্যাসের চুলায় খাবার গরম করতে গিয়েছে, চুলা জ্বালাতেই কিছু সময় চুলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, বুঝলাম গ্যাস শেষ ।
যদিও গ্যাসের ব্যবস্থা রাত্রি বেলাতেই আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ভদ্রলোক করে দিয়েছে। তার কাছে এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তাছাড়াও সে বরাবরই টুকটাক কাজে আমাদেরকে সহযোগিতা করেই থাকে । আজ ঠিক বিকেল বেলার দিকে মোটামুটি হীরা একটা তালিকা তৈরি করে ফেলল যে, কোন কোন বাজার আমাদের আপাতত করা লাগবে ।
যাইহোক তালিকাটা ছোট করতে চাইলেও শেষমেষ আর কোনভাবেই ছোট করা সম্ভব হলো না। কারণ সবগুলোই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। অবশেষে বাধ্য হয়ে আবারও অনেকটা পয়সা খরচা করে ফেললাম।
বাসায় ফেরার পথে হীরার আবদার, সে কিছুটা সময় কাটাতে চায় চাটনি রেস্টুরেন্টে। মূলত ওখানকার কিছু ফাস্টফুড খাবার ওর ভালোই লাগে খেতে, এজন্যই সে মাঝে মাঝে ওখানে যেতে চায় ।
হয়তো সেই সুবাদেই সেখানে যেতে বাধ্য হয়ে গেলাম, হাজার হলেও গিন্নির মন রক্ষা করা দিয়ে কথা। রেস্টুরেন্টটা তে বিগত সময়েও এসেছিলাম। তবে সেই সময় গুলোতে ভিডিও মুহূর্ত ধারণ করতে পারিনি। এখন যেহেতু আমি চেষ্টা করছি ভিডিও নিয়ে টুকটাক কাজ করার জন্য, তাই হয়তো সেই চিন্তাধারা থেকেই আমাদের আজকের এই মুহূর্তটি ভিডিও আকারে বন্দি করে ফেলেছি ।
আজকে বেশ কিছু ভিন্ন রকম খাবার অর্ডার করেছিলাম। মোটামুটি ভালই খেতে ছিল খাবারগুলো আর তাছাড়া বাবুও খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে, বেশ ভালই সময় কাটিয়েছে।
যদিও এটা আমার বাল্য বন্ধুর রেস্টুরেন্ট, তারপরেও সে এটা নতুন ভাবে আবারও ডেকোরেশন করেছে এবং কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে এবং নতুন নতুন কিছু খাবার সংযোজন করেছে। তাই হয়তো কিছু নতুনত্ব এখানে এখনও থেকে এগিয়েছে। সর্বোপরি চাটনি রেস্টুরেন্টে আজকের কাটানো মুহূর্তটি আমাদের কাছে বেশ ভালই ছিল ।
আপনাদের যদি ইচ্ছে হয়, তাহলে আমার শেয়ার করা ভিডিওটি দেখতে পারেন। আশাকরি ভালো লাগতে পারে। আর সবচেয়ে বড় কথা, এখনকার সময়টা আসলেই একটু কঠিন যাচ্ছে। হয়তো হিসেব করে চলতে চাচ্ছি, তবে চাইলেই কি আর সবকিছু করা যায়। তারপরেও কমবেশি সবার মন রক্ষা করতে হয় ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাস্তবে জিনিসের চাহিদা দিনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই যায়।আর বাচ্চারা এইরকম খোলামেলা জায়গায় বেশ আনন্দ পায়।আপনারা দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।আমার কাছে আজব লাগে আপনাদের দেশের ফুচকায় ডিম কুচি দেওয়ার বিষয়টি।যাইহোক ভিডিওটি ভালো ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। আসলে ভাইয়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো শেষ হয়ে যাবে এটা স্বাভাবিক। আর বাজার করতে গেলে টাকা খরচ তো হবেই,তবে জিনিস পত্রের অনেক দাম আরকি।আপনি দেখছি অনেক বাজার করেছেন? আপনারা সবাই মিলে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন।যাইহোক ভাইয়া আপনার ভিডিওটি কিন্তু অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। আমি অনেক মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আজকাল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের এমন চাহিদা হয়েছে যে যা ক্রমাগত চাহিদা বেড়েই ফেলছে, কোন ভাবেই কমছে না।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যে হারে বাড়ছে হয়তো আমাদের আয় রোজগার বাড়ছে না। তাইতো অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তবুও জীবন চালানোর জন্য আমরা হয়তো প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। কিন্তু তাতে কি জিনিসের দাম কমানো যায় কখনোই না। যাইহোক রেস্টুরেন্টের ভিডিওগ্রাফিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপনাদের সংসারটা ছোট হলেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা কিন্তু ছোট থাকে না।দিনের সাথে সময়ের সাথে তালিকায় নাম যোগ হতেই থাকে বাদ দেওয়া যায় না।যতই বাদ দেয়ার চেষ্টা করেন না কেন সেখানে শুধু বেড়েই যায় বেড়ে যায়।বাজার করার সুবাদে ভাবির আবদার পূরণ করেছেন।তার পছন্দমতো খাবার খাইয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মূহুর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তালিকা আসলে কোন ভাবেই কমাতে চাইলেও কমছে না। বড্ড কঠিন সময় যাচ্ছে।
ভাই এর নামই তো সংসার ৷ আসলে সংসার জীবনে মৌলিক চাহিদা গুলো থাকে সেটা থাকবেই ৷ যতই মজুত করে রাখি না কেন ৷ আর তার জন্য আমি সংসার জীবন টাকে একটা বড্ড অধ্যায় মনে করি ৷ যা হোক আপনার ছোট্ট পরিবারের জন্য অনেক শুভকামনা ৷ আর সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মজাই আলাদা ৷
আসলেই ভাই সংসার একটা বড় শিক্ষনীয় অধ্যায় জীবনের জন্য।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস মজুদ রাখলে একটা সময় শেষ হয়ে যায়। দিন দিন যেন চাহিদা বাড়ছে। দিন দিন শুধু তালিকায় নাম যোগ হচ্ছে। আপনারা একটা বিশেষ সময় রেস্টুরেন্টে অতিবাহিত করেছেন। ফ্যামিলির সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে।
হুম ঘরের বাজার শেষ হলে নতুন করে বাজার করতে কিছুটা তো মন খারাপ লাগারই কথা। কারন বাজার সদাই যা দাম যেন আগুনের ফুলকি। ভাগ্যিস হীরা ভাবী কমিয়ে বাজার করতে বলে। বাজার করে আসার পথে বন্ধুর চাটনি হোটেলে হীরা ভাবীর পছন্দের খাবার তাকে খাইয়ে কিন্তু অনেক ভাল একটি কাজ করেছেন ভাইয়া।