বিকশিত হোক সুপ্ত প্রতিভা
এ বিল্ডিংয়ে আসার পর থেকে কখনোই অনন্যাদের বাসায় আমার যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এ বিল্ডিংয়ে তাও তো কম করে হলেও দুই বছর হচ্ছে উঠেছি। তবে আমার নিচের তলাতেই অনন্যারা থাকে আর অনন্যাদের সঙ্গে মাঝে মাঝেই আমার ছাদে দেখা হতো। টুকটাক ওখানেই একটু আধটু কথা হতো ।
তাছাড়াও ওরা আমাদের বাসায় মাঝে মাঝেই খেলতে আসে আমার বাবুর সঙ্গে, ঠিক এইভাবেই পরিচয়ের সূত্রপাত । শুনেছিলাম, অনন্যার বাবা পেশায় একজন ব্যাংকার আর এখানকার এক সরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ।
সেদিন যখন ছাদে অনন্যা কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও। সে এক কথায় উত্তর দিয়েছিল, সে বড় হয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চায়। সহজ-সরল, সাবলীল উত্তর । আজ হয়তো, তার ভিতরে যে এত প্রতিভা সুপ্ত আছে এটা তাদের বাসায় না গেলে জানাই হতো না ।
বিকালের দিকে বাবুকে নিয়ে বাহিরে গিয়েছিলাম এবং ফেরার সময় ফ্ল্যাটে এসে দেখি তালা দেওয়া। হঠাৎই সেই সময় অনন্যার মার সঙ্গে সিঁড়িতে দেখা। ভদ্রমহিলা বলল, নিচতলার বৌদি আর হীরা নাকি বড় রাস্তার দিকে হাঁটতে গিয়েছে । বেশ বিনয়ের সঙ্গেই আমাকে তাদের বাসায় বসতে বলল ।
অনেকটাই সাজানো-গোছানো পরিপাটি তাদের বাসাটি। তার অবশ্য যথাযথ কারণ আছে। কারণ অনন্যা এমনিতেই বেশ মেধা সম্পন্ন একজন মেয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি সে হাতের কাজেও বেশ পারদর্শী। এটা আমি তাদের বাসায় ঢুকেই বুঝতে পেরেছি, তাদের বাসার ভিতরের পরিবেশ দেখে ।
কৌতুহলবশত অনন্যার মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এই জিনিসগুলো কে বানিয়েছে। তখন ভদ্রমহিলা বলল তার মেয়ে। তখন আমি একটু অনন্যার সঙ্গেই কথা বলার চেষ্টা করলাম এবং জানার চেষ্টা করলাম পুরো ব্যাপারটা । মূলত সে ভালই ছবি আঁকতে পারে, সঙ্গে পারে ক্রাফটিং, ও সুই-সুতার কাজ ।
এমনিতেই আমি মেধাবী ও সৃজনশীল মানুষদের ভীষণ পছন্দ করি। তাদের গুণের কদর করতে পারলে, আমার একটা আলাদা প্রশান্তি কাজ করে।অনন্যাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তার বানানো জিনিসগুলো দেখানোর জন্য এবং সে তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে গিয়েছিল । তারপর এক এক করে তার বানানো সবগুলো জিনিস দেখলাম ও পর্যবেক্ষণ করালাম। মেয়েটা বয়সে ছোট হলেও, সে ভালই বুদ্ধিমতী ।
আমি যখন তাকে বললাম,এ কাজগুলো কিভাবে তুমি শিখেছো। সে এক কথায় আবারও উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করল , সে আসলে মূলত চেষ্টা করছে বাসায় পড়ে থাকা নষ্ট বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করার জন্য।
তার পড়ার টেবিলটাও বেশ ভালোভাবেই সাজিয়েছে সে। আর সবগুলোই তার হাতে বানানো জিনিস দিয়ে। একটা সময়ের পরে তার ভিডিও সাক্ষাৎকার আমি নেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং চেষ্টা করেছি ভিডিওতে তার বানানো জিনিস গুলো তুলে ধরার জন্য।
পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু সৃজনশীল কাজ শিখে রাখা ভালো। আসলে কখন কোন কাজ কিভাবে কোথায় লেগে যাবে, এটা বলা বেশ মুশকিল। আর এ ধরনের সৃষ্টিশীল কাজ শিখতে পারাটা অনেকটাই যোগ্যতার ব্যাপার। এদিক থেকে অনন্যাকে আমার বেশ ভালোই লেগেছে। ওর আগামীটা আরও সুন্দর হোক এমনটাই প্রত্যাশা করছি ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া অনন্যার মেধা সম্পূর্ণ ডিজাইন, ছবি অংকন সত্যি মুগ্ধ করেছে। প্রতিটা মানুষের মধ্যেই প্রতিভার হয়েছে। সেটার সঠিক ব্যবহারই উত্তম কাজ। অনন্যা তার প্রতিভার প্রকাশ করে চলেছে সে বড় হয়ে সফল হোক সেই প্রত্যাশাই করি অনেক ভালো লাগলো।
আপনি বরাবরই মেধাবী এবং সৃজনশীলতা বিদ্যমান এমন মানুষকে অনেক বেশি পছন্দ করেন এটা আমরা সকলেই জানি ভাইয়া। আমার মনে হয় সকলেই এরকম মানুষদের অনেক বেশি পছন্দ করে, আপনি যেই বাসায় থাকেন সেই বাসায় ঠিক তেমনি একটা মেয়ে যে কিনা নিজের মধ্যে এখনই ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন লালন করছে। আমার মনে হয় কেউ যদি একটা নির্দিষ্ট স্বপ্ন নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হয় তাহলে সেই স্বপ্নটা খুব শীঘ্রই ধরা দেয়। সত্যি মেয়েটার মধ্যে অনেক প্রতিভা রয়েছে দেখছি এরকম প্রতিভা তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক বেশি সাহায্য করবে বলে আমার মনে হয়।