গ্রামের উদ্দেশ্য
এবার গ্রামে যাওয়ার পিছনে অবশ্য কিছু কারণ আছে। যদিও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যাওয়া, তবে তারপরেও বেশ ভালোই লাগছে গ্রামে যেতে পেরে। গতকাল ঘুমোতে ঘুমোতে এমনিতেই অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল। কারণ হ্যাংআউট শেষ করে, মোটামুটি নিজের লেখা লিখে , কমিউনিটির কিছু কাজ করে,কাপড়ের ব্যাগ গুছিয়ে যখন ঘুমাতে যাব, তখন দেখি ইতিমধ্যেই ভোর বেলা হয়ে গিয়েছে।
গিন্নি আমার গতকাল বেশ দ্রুত ঘুমিয়ে গিয়েছে। কারণ সে খুবই অস্থির ও উৎসাহী ছিল, পরের দিন সে তার বাবার বাড়িতে যাবে, তাই নিজের মতো করে সে দ্রুত তার কাজ সেরে ঘুমিয়ে গিয়েছে এবং ঘুমিয়ে যাওয়ার আগে আমাকে বলেছে, অবশ্যই কিন্তু সকালবেলা তোমাকে দ্রুত ডাক দেব এবং তুমি গাড়ির ব্যবস্থা করে রেখো। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যেন, কোন ঝামেলা করতে না হয়।
আসলে এমনটা হওয়াই তো স্বাভাবিক। কারণ দীর্ঘদিন পরে বাবার বাড়িতে যাবে আবার তাছাড়াও সেখানে গিয়ে একটা অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে হবে, তাই মোটামুটি তার একটু ব্যস্ততা এজন্যই বেশি ।
ভোরবেলার দিকে কখন যে আমি ঘুমিয়ে গিয়েছি তা আমারও একদম খেয়াল নেই। ইদানিং দোতারাটা হাতে পাওয়ার পর থেকেই বেশ ভালো একটা নেশা হয়ে গিয়েছি। দেখা যায় সব কাজ শেষ করার পরে হলেও, ঘন্টাখানেক সেটা বাজানোর প্র্যাকটিস করি। যদিও খানিকটা সময় চলে যাচ্ছে, তবে তাও যদি শখ পূর্ণ হয়।
যখন প্র্যাকটিসে বসি, তখন এই ভবনের সকলেই ঘুমিয়ে যায়। হয়তো সেটা শেষ রাত থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত। আমার মনেহয় এখানে কারোই অসুবিধা হয় না। যদি একটু অসুবিধা হয়েও যায়, তাও যখন ঘুম থেকে উঠে দোতারার মিষ্টি আওয়াজ শুনতে পারবে, তখন হয়তো অনুভূতিটা তার ভিন্ন হতে পারে ।
ঘড়িতে তখন কেবল সকাল নয়টা। দুচোখের পাতা কোনভাবেই খোলা যাচ্ছে না,প্রচন্ড ঘুম লেগেই আছে। এর মধ্যেই গিন্নি এসে বারবার ডাকছে। ও বলছিল, নিচ তলায় সিএনজির ড্রাইভার এসেছে। তুমি ঘুম থেকে উঠে, দ্রুত রেডি হয়ে নাও।
যেহেতু গ্রামে গিয়ে আমরা দুটো দিন থাকবো আর দীর্ঘদিন পরে যাচ্ছি, তাই কষ্ট করে হলেও এই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে নিলাম। অবশেষে কোনো রকমে সবাই মিলে ব্যাগ পত্র নিয়ে যখন নিচে নামলাম, তখন মোটামুটি পরিচিত ড্রাইভার ভাইয়ের সঙ্গে বেশ ভালোই কথোপকথন হয়ে গেল।
অবশেষে গাড়িতে উঠে রওনা দিয়ে দিলাম গ্রামের উদ্দেশ্যে। তখনো বেশ ভালই ঠান্ডা লাগছিল। কারণ এদিকটাতে এখনো শীতের প্রকোপ আছেই। গাড়ি যখন ছুটছিল তখন দু'পাশের প্রকৃতি দেখছিলাম আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম।
আধা ঘন্টার মাঝেই মোটামুটি গ্রামীণ পরিবেশের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে আমদের গাড়ি। এখানে কোন তেমন কোলাহল নেই, এখানে কেন গাড়ি-ঘোড়ার ভিড়-ভাট্টা নেই। শুধুই চারিদিকে খোলামেলা পরিবেশ আর রাস্তার দু'ধারে ফসলের ক্ষেত।
গাড়ি বাড়ির উঠোনে থামতেই, মোটামুটি বাবুর ছোট খালামনি এসে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে বাবুকে কোলে নেওয়ার জন্য। খালেক মিয়াকে অনেকটা দিন পরে দেখলাম। সে আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়েছে দেখে বেশ ভালই লাগলো। যাইহোক এখানে দুটো দিন থাকবো এবং যে অভিজ্ঞতা সঞ্চরণ হবে, সেগুলো হয়তো তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। তবে আপাতত ভালই লাগছে কারণ শহুরে ব্যস্ততা এখানে নেই।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
শুভদার তো দেখছি তাহলে কাজের প্রচুর চাপ যাচ্ছে, রাতে ঘুমোতেই পারছো না। তবে আপু যে সকালে ঘুম থেকে উঠে তোমাকে ঝাড়ি না দিয়ে সুন্দর করে ডেকে তুলেছে এটা তোমার সৌভাগ্য বলতে পারো। হা হা হা... আসলে গ্রামে ঘুরাঘুরি করতে আমারও বেশ ভালো লাগে এবং গ্রামে যাওয়ার আগের দিন আমার ভিতরেও বেশ ভালো রকম একটা এক্সাইটেডমেন্ড কাজ করে।
সারারাত জেগে সকালে ঘুম থেকে ওঠা সত্যি খুবই কষ্টকর ভাই। তারপরও আপনি ভাবীর কথা চিন্তা করে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে নিয়েছেন এটাই বড়। আর সব মেয়েই বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা শুনলে তাদের মাথা ঠিক থাকে না আসলে এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনি গ্রামের খুবই সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ভাবিকে নিয়ে তাহলে তার বাবার বাড়িতে গিয়েছেন। তবে আপনিও যে অসুস্থ সেখানে গিয়ে হয়তোবা কিছুটা ভালো লাগবে। কাজের চাপের মধ্যে থাকতে থাকতে মানসিক অবস্থাটাও অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু যখন কোথাও ঘুরে আসা যায় তখন অনেক বেশি ভালো লাগে। আগামী ব্লগ গুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেকদিন পর গ্রামে গেলে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে । যদিও দুদিনের জন্য গিয়েছেন তারপরেও বেশ ভালো সময় কাটবে মনে হচ্ছে । যেহেতু একটা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন ।আর সব মেয়েদেরই বাবার বাড়ি যাবার জন্য একটা আলাদা আনন্দ থাকে , যেটা ভাবির ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে । দুটো দিন বেশ আনন্দে কাটান সেই কামনাই করি । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
বাবার বাড়িতে যাওয়ার আগের রাত একটু বেশীই ভালো,এবং সতর্কতার হয় থেকে। যেন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারে😁।যাইহোক হীরা আপুর পোষ্টে পরেছিমাল,বাড়িতে যাওয়ার কারণ।গ্রামীণ রাস্তা গুলো এমনই হয়, জ্যাম যোট থাকেনা,গাড়ি কম ,রাস্তার দু ধারে সবুজ শ্যামল প্রকৃতি বেশ ভালো লাগে।
যাক তাহলে ভাইয়া অবশেষে দুদিনের জন্য একটু হলেও শান্তি পাবে। বাপরে ভাবী যে ভাবে রাতে অর্ডার দিয়ে রেখেছে। আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবুও ভাইয়া আপনার ভাগ্য ভাল যে, সকালে ভাবী আপনাকে আর বকা দেয় নি। যাক তাহলে শ্বশুর বাড়ীতে চুটিয়ে মজা করে আসেন।
এটা ঠিক রাতে কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সকাল সকাল উঠা খুব কষ্ট। তারপরেও নীচে গাড়ি এসে গেছে আর আপনি রেডি হয়ে স্নিগ্ধ সজীব গ্রামে গেলেন দেখে ভাল লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগলো। সুন্দর সময় কাটাবেন আর নতুন নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন এই প্রতাশ্যাই করি। ধন্যবাদ ভাইয়া।