মুক্তি
শেষ কবে নিজের কাছে ক্ষমা চেয়েছি তা মনে নেই। যদিও প্রতিনিয়তই ভুল করি,তবে সেটা খুবই তুচ্ছ, তাই হয়তো নিজের কাছে সেভাবে কখনো ক্ষমা চাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে আজ অনেকটা সময় ধরে নিজের কাছে যেমন নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল, তেমন আবার কিভাবে অনুতাপের আগুন থেকে নিজেকে বাঁচাবো, তেমনটা ভেবেও যেন অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম।
ক্রমেই ঘামছিলাম, হৃদস্পন্দন যেন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়েই যাচ্ছিল। এ ভুলের মাত্রা অনেকটাই বেশি ছিল, তাই হয়তো মুহূর্তের মধ্যে নিজেকে অন্যভাবে আবিষ্কার করেছিলাম। কেউ আমার দ্বারা কষ্ট পাক, যন্ত্রণায় ভুগুক বা কারো সমস্যার আমি কারণ হয়ে দাঁড়াই, তেমনটা কখনোই আমি চাইনা।
এখনো মনে হয় আমি সঠিকভাবে মানুষ হয়ে উঠতে পারলাম না, তাই হয়তো এমনটা ভুল করে বসেছি। ঐ সন্ধ্যেকালীন সময়ে কোথা থেকে কি যে হয়ে গেল, হুট করেই যেন আমার শুভাকাঙ্ক্ষীর হাস্যেজ্জ্বল মুখটাতে বীভৎস যন্ত্রণার ছাপ আমি বেশ ভালোভাবেই দেখতে পেলাম।
তার বিরামহীন শখের কাজের ভিতরে, হঠাৎ করেই যেন আমি আগন্তুকের মত বিরক্তির নোনাজল ছিটিয়ে দিয়েছিলাম। এটা কি আমি ঠিক করেছি, মোটেও না।
অনেকটা হন্যে হয়ে খুঁজে তাকে যখন বের করেছি, তখন নিজের থেকেই আত্মসমর্পণে পিছপা হইনি। বরং শুভাকাঙ্ক্ষীর মাথার চুলে বিলি কেটে দিয়ে যেন প্রশান্তির ঢেকুর তুলছিলাম।
আমাকে ভালবাসে এমন মানুষ বড্ড সীমিত, তার থেকেও বেশি সীমিত আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। আর তাদেরই একজনের বিরক্তির কারণ যদি আমি হয়ে যাই, তাহলে সেই যন্ত্রণা নিজের কাছে কতটা ভার হয়ে যায়, তা হয়তো বলে প্রকাশ করা যায় না। তবে এখন বড্ড হালকা লাগছে, হয়তো তার মুখে কিছুটা হলেও আবারও হাসি ফেরাতে পেরেছি এটা ভেবে।
অনেকটা মুক্তি লাগছে, হালকা হিমশীতল বাতাস যেন বাড়তি হৃদস্পন্দন কে কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। এমন ভুল নেহাতই কাম্য নয়, তবে ভুল থেকে নিজেকে পরিত্রান দিয়ে, সঠিক মানুষ হওয়ার ব্রতই বা কজন রাখে।
সঠিক মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে, ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ত্রুটিকে অনেকটা না হয়, নিজের পাথেয় হিসেবে রেখে দিলাম। ক্ষমা করো মোর শুভাকাঙ্ক্ষী, নিরন্তর ভালবাসা তোর জন্য।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1711647342359888029?t=U6fad85qEpEiNvUn_iadbw&s=19
আমিও কখনো চাই না আমার তারা কারো কোন ক্ষতি হোক। সে যদি আমার শত্রুও হয় তাও আমি চাই না আমার দ্বারা তার মুখের হাসি বিলীন হোক। আর শুভাকাঙ্ক্ষীরাতো দূরের কথা। যাইহোক শেষ পর্যন্ত তার মুখে সামান্য হলেও হাসি পেরাতে পেরেছেন। এই জন্যই মন একটু হালকা হলো।
সত্যিই আপু, বেশ ভালোই একটা মানসিক চাপের ভিতরে ছিলাম গতকাল।
ভাইয়া আপনি খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া আমিও চাই আমার দ্বারা যাতে কেউ কোনো রকম সমস্যায় না পড়ে। যাক অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে কিছুটা পড়ে বুঝতে পারছিলাম না কি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।পরে কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পেরেছি আপনার দ্বারা হয়তো আপনার কোন শুভাকাঙ্ক্ষী কষ্ট পেয়েছিল। অবশেষে হয়তো আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীর মুখে হাসি দেখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো ।আসলে নিজের দ্বারা কারো মুখের হাসি চলে যাক এটা কারোরই কাম্য নয়।বেশ ভালো ছিল ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
ভাই আমাদের সবার জীবনেই কিছু কিছু সময় এমন হয় যে, আমাদের নিজের অজান্তেই কারো মনে কষ্ট দিয়ে ফেলি। আর যখন জানতে পারি যে, কেউ আমার জন্য কষ্ট পেয়েছে তখন নিজের কাছে দোষী মনে হয়। তবে পরক্ষণেই আবার কোন কাজের মাধ্যমে তার মুখে হাসি ফোটাতে পারলে নিজের কাছে তখন স্বস্তি লাগে। মানুষ মাত্রই ভুল করে, আর সেই ভুল যদি পরক্ষণেই শুধরে নেয়াটাই তো সঠিক মানুষের ধর্ম। তাই ভুল থেকে অনুশোচনা নয়, বরং ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। নিজেই নিজেকে মুক্তি দিতে শিখতে হবে তাহলেই তো আসল মানুষ হয়ে ওঠা যাবে। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী আর আপনার দুজনের জন্যই শুভকামনা রইল ভাই।
এইটা ঠিক বলেছেন ভাই, ভুল থেকেই শিক্ষা নেওয়া উচিৎ।
হুম ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।❤️❤️❤️
আমরা অনেক সময় বুঝে বা না বুঝে অনেক ধরনের ভুল করে ফেলি। পরবর্তীতে সেটা উপলব্ধি করতে পারি যে এটা চরম ভুল হয়েছে আমার দ্বারা। তখন আফসোস করি এবং মনে মনে ভাবি যে কিভাবে সেটার প্রায়শ্চিত্ত করা যায় বা সেই ভুলের কোনো সমাধান বের করা যায় কিনা। যদিও অনেকে এগুলো নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না। কিন্তু যাদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ রয়েছে, তারা নিজের ভুলটাকে শুধরানোর চেষ্টা করে অবশ্যই। ভাই আপনি আপনার শুভাকাঙ্খীকে কষ্ট দিয়ে ফেললেও, পরবর্তীতে সেটা উপলব্ধি করেছেন। এটাই বা কয়জন করে। তারপর তার মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফেরাতে পেরেছেন, এটাই বা কম কিসের। মানুষ মাত্রই ভুল ভাই। অনেক সময় এমনটা হয়ে যায় কমবেশি সবারই। সেটা নিয়ে মন খারাপ করবেন না বা আফসোস করবেন না। যাইহোক আপনার মনের কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি আপনার সাবলীল মন্তব্যের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। আমি দেখেছি খুব কম মানুষই এ গুণের অধিকারী হয়। যারা হয় তারা নিঃসন্দেহে সফট হার্টেট পার্সন আমি মনে করি! কিছু ভুল হয়তো আমাদের হৃদয়ে দাগ কেটে দেয়! ক্রমে ক্রমে আমরা ফিল করি অনুতপ্ত। তবে সেই ভুলটা যদি দ্বিতীয় বার না করি, প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে পারি তবেই স্বার্থক।
একটা সময় আপনি আমার এতটা প্রিয় হয়ে গেছিলেন। আমি আসলে আপনাকে ছাড়া কিছুই বুঝতাম না। আপনার আমি একজন বেশভক্ত ছিলাম কিন্তু মাঝপথে আমি জেনে কোথাও হারিয়ে গেলাম আবারও আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম আশা করি সেই ভালোবাসাটুকু দিবেন আমায়। আসলে নিজের দ্বারা যদি অন্যে কষ্ট পায় তাহলে নিজের যত কিছুই থাকুক মনের ভিতর প্রশান্তি আসে না।যেকোনো মানুষ এই সব সময় চেষ্টা করে নিজে কষ্ট হলেও অন্যকে সুখে রাখা। মানুষ মাত্রই ভুল ভুল থেকেই মানুষ শুধরে নেয় সবকিছু । মানুষের জীবনে রাগ-অভিমান ভালবাসা ভুল প্রাপ্তি সবকিছুই আসে এবং সবকিছু মোকাবেলা করতে পারলেই জীবন সুন্দর ।