বিউটি পার্ক এন্ড রিসোর্ট | (শেষ পর্ব)
যেহেতু আমি বিগত পর্বে বলেছিলাম যে এই বিউটি পার্ক ও রিসোর্ট নিয়ে আমি দুটো পর্ব বানাবো তারই ধারাবাহিকতায় আজকে দ্বিতীয় পর্ব। আমি প্রথম পর্বে মূলত দেখানোর চেষ্টা করেছিলাম আমাদের সুইমিংপুলে কাটানো মুহূর্ত যেহেতু দ্বিতীয় পর্ব লিখছি তাই মূলত এটা পুরোটাই শেয়ার করব আমাদের পুরো পার্কে যেভাবে সময়টা কেটেছিল ঠিক তারই উপর ভিত্তি করে।
আমরা যেদিন বাসা থেকে পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেদিন মূলত বাহিরের আবহাওয়া বেশ ভালই ছিল তবে আমাদেরকে খানিকটা সময় দেরি করতে হয়েছিল গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য এমনিতেই গাড়ি আসতে দেরি করেছে আর তার ভিতরে নতুন জায়গা ঠিক সেভাবে চিনিও না তাই যেতে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে তাও ঠিকঠাক মতো পৌঁছতে পেরেছিলাম এটাই তো অনেক কিছু।
হ্যাঁ আমরা যখন পৌঁছেছি, পৌঁছেই মূলত খুব একটা বাহিরে দেরি না করে দ্রুত টিকিট কাটার চেষ্টা করেছি এবং টিকিট কেটেই ভিতরে প্রবেশ করেছি। যাইহোক ভিতরে প্রবেশ করার পরে মোটামুটি এই দীর্ঘ পথের জার্নির ক্লান্তি অনেকটাই দূর হয়ে গিয়েছে কারণ ভিতরটা অনেক সাজানো গোছানো পরিপাটি। এমনিতেই যে কোন মানুষের মন ভাল করার মত ব্যবস্থা সেখানে রয়েছে।
আমরা ঢুকেই প্রথমে সেখানে কি কি আছে সেটা দেখার চেষ্টা করলাম মূলত হাতের বাম পাশেই রয়েছে শিশুপার্ক, তারপর রয়েছে বিদেশি মাছের বিশাল অ্যাকুরিয়াম, তারপরে রয়েছে চিড়িয়াখানা এবং তারপর রয়েছে তাদের আবাসিক হোটেল এবং অন্য পাশে রেস্টুরেন্ট এবং পিছন পাশ দিয়েও যাওয়া যায় সুইমিং পুলের এরিয়াতে এবং মাঝখানে রয়েছে বিশাল লেক। যেখানে অনেকেই বোটিং করা নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
আপনারা যারা আমার প্রথম পর্বের সুইমিংপুলে কাটানো মুহূর্তের ভিডিও দেখেননি তারা চাইলে বিগত পর্বটি ঘুরে দেখতে পারে আশা করি সেটাও ভালো লাগবে। যাইহোক সুইমিংপুলে পাক্কা দুই ঘন্টা সময় কাটিয়ে আমরা তারপর বেরিয়ে পড়লাম পুরো পার্কটি দেখার জন্য। সত্যিই এই পাশটা অনেকটা সুন্দর কারণ ঝাউ গাছ এগুলো এমন ভাবে সাজানো হয়েছে তার মাঝে ভাস্কর্যগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। আমরা অনেকটা সময় এদিকে অতিবাহিত করেছি ছবি তুলে।
আমরা শুধুমাত্র চিড়িয়াখানাতে প্রবেশ করিনি কারণ সেটা বাচ্চাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই। তাছাড়া কিছুদিন আগে ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানার একটা ঘটনা শুনেছিলাম যেটা আমাকে বেশ ব্যথিত করেছিল। যাইহোক আমরা পুরো সাজানো গোছানো পার্কটিতে একে একে প্রত্যেকটা অংশে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং নিজেদের মতো করে সময় কাটানোর চেষ্টা করেছি।
সবশেষে গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে আর শিশু পার্কে। কারণ সঙ্গে যেহেতু আমার ছোট ভাই, ভাতিজি আর আমার বাবু ছিল তাই তাদেরকে কিছুটা বিনোদন দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম সেই শিশু পার্কে। এমনিতেই তখন পড়ন্ত বিকেল হয়ে গিয়েছিল আর আমি বেশ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম তাই তাদেরকে শিশু পার্কের অংশটা ঘুরিয়ে অবশেষে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1676592391862595585?t=m_stqo4YoUXaQmiyiWOHfA&s=19
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? বিউটি পার্ক এন্ড রিসোর্টে বেশ চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে পার্কে গেলে খুবই ভালো লাগে। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। পরিবার সবাইকে দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো ভাইয়া । হাতির ফটোগ্রাফিটি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে । পার্কে কাটানো এত চমৎকার মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে মন্তব্য করার জন্য।
ভাই, ভাতিজি, ভাবী আর শায়ান কে নিয়ে বেশ সুন্দর আর আনন্দ ঘন সময় পার করেছেন বিউটি পার্ক এন্ড রিসোর্ট এ। যদিও ব্যস্ততার কারনে সব পর্ব আমার পড়া হয়নি। তবুও মনে হচেছ বাচচারা বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছে আনন্দের সাথে। তবে ভাইয়া আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর করে আপনাদের আনন্দঘন সময়টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমার মনে মাঝে সাজে এমন যাওয়া যেতেই পারে। তাই না ভাইয়া?
আমি আসলে খুব বেশি পর্ব করিনি, জাস্ট এর আগে একটা পর্ব করেছিলাম। সময় সুযোগ হলে ওটা পড়ে নিয়েন। ধন্যবাদ 🙏