ব্যস্ততম সপ্তাহের অবসান
যদিও সবাই এক বাসাতেই থাকি তবে সবাই ব্যস্ততাপূর্ণ সময় অতিবাহিত করে। কারণ সবার পরিবার আছে আর তাছাড়া এইভাবে ঘটা করে সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না বললেই চলে।
যেহেতু আজকে শুক্রবারের দিন ছিল। তাই মোটামুটি ছুটির দিনে আমার হাতেও কাজের পরিমাণ কিছুটা কম ছিল। তাই হয়তো ভাগ্যক্রমে সবার সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিল । এজন্য আমি নিজের কাছে নিজেই বেশ কৃতজ্ঞ। কারণ এমন একটা মুহূর্ত সকলের সঙ্গে কাটাতে পেরেছি, এইটা ভেবে।
ঘুম থেকে বিকেলের দিকে উঠেই যেহেতু বাসায় গিন্নি ছিল না, তাই মোটামুটি নিজের খাবার ব্যবস্থা নিজেই করে ফেলেছিলাম। তারপরে মূলত চা খাওয়ার জন্য বাহিরে গিয়েছিলাম। আসলে ঘটনার সূত্রপাত ঠিক সেখান থেকেই। মানে যেখানে আমি রোজ চা খেতে যাই ঠিক সেখানে থেকেই। হঠাৎ করেই দেখা, দোতলার বৌদি, রিতু ম্যাডাম ও চতুর্থ তলার ব্যাংকার ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে । বলা যায় তারাও মোটামুটি ছুটির দিনে সকলেই একসঙ্গে ঘোরার জন্য বাহিরে বের হয়েছে।
তাদের বাচ্চারা মোটামুটি ভালোই আমাকে সম্মান করে এবং আমিও তাদেরকে খুব স্নেহ করি। আর যেহেতু বাহিরে দেখা তাই মোটামুটি তাদেরকে দেখে আমারও কিছুটা ভাল লেগেছিল। আমি তাদেরকে নিজের থেকেই চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলাম। তবে তারা ইতিমধ্যেই চা খেয়ে ফেলেছিল। তারপরেও আমি বলেছিলাম, তাহলে অন্য কিছু তো খেতে পারেন আপনারা।
যদিও বিগত সময় গুলোতে যখন আমি আর আমার গিন্নি বাহিরে যেতাম, তখন প্রায়ই মাঝে মাঝে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতাম। তবে ঐ যে সময়ের অভাবে তাদের সুযোগ হয়ে ওঠেনা। কিন্তু আজকের বিষয়টা ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ভাগ্য হয়তো সবারই সুপ্রসন্ন হয়েছিল, তাই হয়তো এমন সুযোগ হুটহাট চলে এসেছিল ।
অবশেষে তারা স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছিল বাহিরে খাওয়ার জন্য। মোটামুটি আমিও বেশ কৃতজ্ঞ এ যাত্রায়। কারণ তাদের সবাইকে নিয়ে এমন একটা মুহূর্ত ফ্রেমে বন্দী করতে পারব এটা ভেবে। অতঃপর সেই চিরচেনা বন্ধুর রেস্টুরেন্টে।
রেস্টুরেন্টে ঢোকার পরে সকলেই বেশ ব্যস্ত ছিল ছবি তোলা নিয়ে। কারণ রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশটা সুন্দর আর তার ভিতরে পুরো রেস্টুরেন্ট জুড়ে মূলত আমাদের বাসার লোকজনই সবাই। তার কারণেই আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশি ছিল। সকলকে বলার চেষ্টা করলাম তাদের নিজেদের পচ্ছন্দ অনুযায়ী খাবার অর্ডার করার জন্য। যদিও তারা শুরুতে কিছুটা সংকোচ বোধ করেছিল, তবে তা পরবর্তীতে কেটে গিয়েছিল।
সেসময় অবশ্য ভিডিও কলে আমার গিন্নির সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কথা হল। তাকে বড্ড মিস করছিলাম কারন আজকে সবাই ছিল সে শুধুমাত্র ছিল না। যাইহোক তার সঙ্গে কথা বলার পরে, আবারো সকলের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম।
এই ব্যস্ত শহরের বুকে, এমন একটা রেস্টুরেন্টের মাঝে সন্ধ্যেবেলা সবাই মিলে যখন আড্ডা দিচ্ছিলাম, তখন যেন পুরো সপ্তাহের কর্ম ব্যস্ততার ক্লান্তি যেন মুহূর্তেই কেটে গিয়েছিল এবং নিজের কাছেও বেশ স্বাচ্ছন্দবোধ করছিলাম। জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে, কম-বেশি সবাইকে নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়। তাই প্রতিটা মুহূর্তই আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অতঃপর সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করে, অনেকটা সময় বেশ ভালোই গল্পস্বল্প হল। তারপরে আবারো সেই কংক্রিটের দেয়ালের ঘরে ফেরার পালা। কারণ আবারও কাল থেকে নতুন সপ্তাহ শুরু হবে আর সবার কর্মব্যস্ততাও বেড়ে যাবে।
যাইহোক, সপ্তাহ শেষে এই সময়টা বড়ই দরকার ছিল আমার নিজের কাছে। অনেকটা মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়ে গিয়েছি। এমন সময় মাঝে মাঝে আসলে মন্দ হয় না। ভালো থাকুক সবাই, নিজ নিজ অবস্থানে। হয়তো আবারো কোনদিন দেখা হবে এমনভাবে, আপাতত সেই অপেক্ষায় রইলাম।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সন্ধ্যাবেলায় রেস্টুরেন্টে আপনারা সবাই মিলে দেখছি বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলেন। আসলে ব্যস্ততার মাঝে একটু সুযোগ পেয়ে এরকম সবাই মিলে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। আর হ্যাঁ এই সুন্দর মুহূর্তে পাশের মানুষটা যদি কাছে না থাকে তাহলে তো খারাপ লাগারই কথা।😐 যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম আসলেই সময়টা বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলাম। এইটা সত্য সেই মুহুর্তে আমার গিন্নি কে ভালোই মিস করেছিলাম।
চা খেতে বেরিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া সবার সাথে হঠাৎ দেখা হওয়ায়।যদিও ভাবী বাসায় ছিলেন না তাই তাকে মিস করেছেন,তিনি থাকলে আরও জমজমাট হতো আপনাদের আড্ডা।আপনার বন্ধুর রেস্টুরেন্ট এ সবাই মিলে বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন।যেহেতু ছুটির দিন ছিল সবাই মোটামুটি ফ্রি ছিলেন। সপ্তাহ শেষে এরকম একটা ভালো সময় দরকার আসলেও মানসিক ভাবে চাঙ্গা হওয়ার জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, সপ্তাহে শেষে এই সময়টা বেশ কাজে দিয়েছে নতুন করে মানসিক রিফ্রেশমেন্টের জন্য।
আসলেই ভাই অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন। কর্মব্যস্ততার মাঝে সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে এরকম কিছু মুহূর্ত কাটলে আসলেই মনের মধ্যে রিফ্রেশমেন্ট চলে আসে। আমার কাছেও আপনাদের আড্ডাটা অসম্পূর্ণ মনে হল। যদি ভাবি ও শায়ান বাবু থাকতো তাহলে আরও বেশি জমজমাট হত।
আপনার আনন্দঘন মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সব মিলিয়ে শুক্রবারের দিনটা বেশ ভালো কেটেছেন বুঝতে পারছি ভাইয়া। আসলে সময়ের অভাবে হয়তো একসাথে সবার বের হওয়া হয় না। কিন্তু এইবার হঠাৎ করেই সেটা হয়ে গেছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আপনিও সবার সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
ভাই গিন্নি তাহলে এখনো ফিরে নি ৷ যা হোক শুক্রবার মানেই হলো একটা স্বস্তির দিন ৷ আর যেটা আপনি উপভোগ করেছেন ৷ আসলে সময়ে সাথে তাল মেলাতে আর কর্মব্যস্ততায় চেনা মানুষ গুলো কেও আর সময় বা দেখা পাওয়া যায় না ৷ তবে আপনার সাথে এক বাসায় থাকা মানুষ গুলোর সাথে দেখা ৷ এরপর সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া ৷ সব মিলে ভালোই আনন্দে কাটিয়েছেন৷
ভাই সবশেষে জীবন তো এটাই
আর একটা সত্যি যে জীবনে বেঁচে থাকলে সবাইকে নিয়ে থাকতে হবে৷ তবেই জীবন সুন্দর
ভাইয়া কে সেই কবে থেকে বলছি আমাকে আপনাদের বাসার একতলা, দোতালা, তিনতলা বা চারতলা যেটাই হউক একটা বাসা দেখেদেন ভাইয়া তো আমার কথা শুনছেনই না। যদি বাসা থাকতো তাহলে তো আমার সাথেও দেখা হতে পারতো। আমার বুঝি খারাপ লাগে না। যাই হউক গিন্নী না থাকায় বেশ খোশ মেজাজেই আছেন বলে মনে হচ্ছে। পাড়ার দোকানে দোকানে চা খাওয়া হচেছ। ভাগ্যিস রিতু ভাবী আর বৃষ্টি চাকী আপু ছিল।
চলে আসেন আপু বেড়াতে। আপনার জন্য সর্বদাই নিমন্ত্রণ রইল। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 🙏
ছুটির দিনটি বেশ আনন্দে কাটিয়েছেন, সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে গেল। হুটহাট কিছু ঘটে যাওয়া ই ভাল, আসলে আয়োজন করে সবকিছু হয়না।সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো।আপু সাথে থাকলে আপনারা আরো বেশি আনন্দ করতে পারতেন।সুন্দর মূহুর্তটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।