প্রকৃতির মাঝে কিছু সময়
সময়টা যে একদম খুব খারাপ কাটছে তা বলবো না। মোটামুটি বলা যায় বেশ ভালোই সময় কাটছে গ্রামে আসার পর থেকে। আজকে বিকেল বেলা গিয়েছিলাম আমাদের গ্রামের খুব কাছেই, যে দিকটাতে সাম্প্রতিক সময়ে সুইচগেট হয়েছে সেখানে।
সেখানে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার পরিবেশে কিছুটা সময় নিজের মতো করে কাটানোর জন্য। পড়ন্ত বেলায়, পুরো পরিবার নিয়ে পায়ে হেঁটে সেখানে গিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে সেখানে যেতে খুব বেশি সময় লাগে নি, মেঠোপথ ধরে মিনিট পনেরো হেঁটেই সেখানে গিয়ে আমরা উপস্থিত হয়েছিলাম। তবে এই যাত্রায় আমাদের সঙ্গী ছিল স্থানীয় কিছু ছোট ছেলে মেয়ে। মূলত তারাই আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছিল, কিভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ে সেখানে পৌঁছানো যায়।
মেঠোপথ ধরে যখন এগিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আশেপাশে যেদিকেই তাকাচ্ছিলাম শুধু সবুজ আর সবুজ দৃশ্য চোখে পড়ছিল। অনেকটা চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল, বিশুদ্ধ অক্সিজেন যেন ক্রমাগত ফুসফুসে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আসা-যাওয়া করছিল।
কোন ক্লান্তি নেই, কোন ব্যস্ততা নেই, নেই কোন অহেতুক ঝুট ঝামেলা, অনেকটা নিবিড় ভাবে মিশে গিয়েছিলাম প্রকৃতির মাঝে। ছবিগুলো দেখে একটা বার চিন্তা করে দেখুন, কেমন সময় কাটিয়েছিলাম। এক কথায় অসাধারণ।
বহু আগে একবার এদিকে এসেছিল, তখন এদিকটাতে সুইচগেট ছিল না। তখন বেশ ভালই কষ্ট হতো দু গ্রামের মানুষের যাতায়াত করতে। এখন হয়তো কিছুটা কষ্ট কমেছে তবে তা একদম পরিপূর্ণভাবে লাঘব হয়নি। যদি পাকা রাস্তা হতো তাহলে হয়তো অনায়াসেই এদিক দিয়ে ছোট যানবাহন গুলো চলাচল করতে পারতো।
এটা মূলত এমন একটা জায়গা, যেখানে দু গ্রামের মাঝে এই ফসলের জমিগুলো পড়েছে আর তার মাঝ দিয়েই চলে গিয়েছে এই মেঠোপথ। যদিও বা দু গ্রামের মানুষ নিজেদের চলাফেরার জন্য এই পথটা খুব একটা ব্যবহার করে না। কারণ সবাই আসলে সহজেই যাতায়াত করার জন্য, অন্যপাশের পাকা রাস্তা বেছে নিয়েছে। তবে আমার কাছে এই পথটা ভীষণ ভালো লেগেছে।
ছোট্ট খালের উপরেই এই সুইচগেট নির্মিত করা হয়েছে। পড়ন্ত বেলায় যখন সূর্য ডুবে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল, তখন বেশ ভালই লাগছিল আশেপাশের পরিবেশটা। খালে খুব একটা বেশি পানি নেই, তারপরেও মাছের আশায় গ্রামের লোকজন মাঝে মাঝেই জাল ফেলে। আমার আজ সৌভাগ্য হয়েছিল এমন দৃশ্য সরাসরি দেখার। খালের আশেপাশে যারা মাছ ধরছিল বা ফসলের জমিতে কাজ করছিল তাদের সঙ্গে বেশ ভালই সময় গল্প গুজব করেছিলাম।
মোটামুটি সবাই পরিচিত, তবে যেহেতু বেলা শেষ হয়ে যাচ্ছিল তাই একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিলাম বাড়ি ফেরার , নইলে সন্ধ্যে নেমে গেলে কিছুটা বিপত্তি হতেই পারে। কারণ বেশ ভালই দূরে কিন্তু আমরা পায়ে হেঁটে এসেছি। আর এদিকটাতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা খুব একটা ভালো না। তাই পড়ন্ত বেলায় সুইচগেট এলাকায় বেশ ভালো সময় কাটিয়ে অতঃপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
যাইহোক সুইচগেট এলাকায় আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে একটা ছোট্ট ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1702957229467742242?t=M8FwH255tpCKENTh0xP7hg&s=19
গ্রামে এসে মেঠো পথ দিয়ে নতুন নির্মিত সুইচগেট দেখতে গিয়ে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন ভাই। বিকালের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ আসলে হৃদয়কে সম্পূর্ণ তৃপ্তি দেয়। জেলের মাছ মারার দৃশ্যটা দুর্দান্ত লেগেছে ভাই। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই সুইচগেটে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছি আমরা।
ভাই প্রকৃতির দৃশ্যগুলো জাস্ট ওয়াও। অসাধারণ দৃশ্য তুলেছেন এখন। সুইচগেটের পাশে এত সুন্দর দৃশ্যগুলো আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়েছি। ধানের মাঠে পড়ন্ত বিকেলের সূর্য ডুবে যাচ্ছে এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই ধরনের দৃশ্যগুলো সবাই পছন্দ করে। আপনি ভাবি বাবু সবার প্রতি রইলো দোয়া ও ভালোবাসা।
এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো আমার নিজেরও ভীষণ পছন্দ ভাই।
ভাই আপনি প্রকৃতির মাঝে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনার তোলা প্রকৃতির ছবিগুলো খুব সুন্দর ছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্য যে, সময়টা আমাদের বেশ ভালই কেটেছিল।
সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি দেখে কিছুক্ষণের জন্য নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। এমন দৃশ্য গ্রাম ছাড়া উপভোগ করা যায়। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ ধানের ক্ষেত। হেটেঁ পুরো বিকেলটা ভালোভাবেই কাটিয়েছেন আপু, শায়ানকে নিয়ে। সাথে আমরাও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করলাম ☘️
আসলেই আবেগপ্রবণ ব্যাপার এখানে কাজ করছিল।
সত্যি ভাই আসলেই সুন্দর। কোনো ব্যস্ততা নেই কোনো কোলাহল নেই নেই অনেক লোকের সমাগম। দারুণ ছিল আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো। কী সুন্দর প্রকৃতি একেবারে মন জুড়িয়ে যায়। সময় টা পরিবারের সঙ্গে দারুণ উপভোগ করেছেন।
ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
সত্যি বলতে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর হয়েছে। আমি তো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি চমৎকার ভাবে প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো নিলেন। সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় অনেক সুন্দর একটি কালার ছিল। সেই সাথে সবুজের প্রকৃতি অসাধারণ দেখাচ্ছিল। তাছাড়া ফটোগ্রাফির সাথে ভিডিওটা অসাধারণ ছিল। অনেক ভালো লেগেছে পরিবারকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় কাটানোর জন্য। সেই সাথে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া বুঝতেই পারছি না কোন টা নিয়ে লিখবো। প্রকৃতি নাকি আপনাদের ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ। দুটোই যে বেশ ছিল। প্রকৃতি তো আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কিন্তু ভাগ্যের বিড়ম্বনায় আমিও বেশ অসহায়। যাই হোক ভাইয়া বেশ দারুন ছিল প্রকৃতি আর আপনাদের আনন্দ ঘন মূহূর্ত গুলো।
ভাই বিকেল বেলা গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে খুব ভালো লাগে। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু সবুজের সমারোহ। এমন দৃশ্য দেখলে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে যায়। আপনারা স্থানীয় কিছু ছেলে মেয়ের দিক নির্দেশনা নিয়ে সুইচগেট এর দিকে গিয়ে দারুণ সময় কাটালেন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।