সময় মাত্র একঘন্টা || @shy-fox 10% beneficiary
এ ঘটনা কিন্তু শুক্রবারের সন্ধ্যাবেলার দিকের । যদিও আজকে চলছে মোটামুটি সোমবার, তবে লিখব লিখব করে লেখা হয়ে উঠেনি । বউয়ের একদম কড়া কথা, আর যাই করো শুক্রবারে কিন্তু বাসা থেকে কোন ভাবেই বের হওয়া চলবে না। এমনিতেই অন্যদিনগুলোতে সময় দিতে পারোনা বাবুকে, তবে শুক্রবার কিন্তু তোমাকে অবশ্যই পরিবারকে সময় দিতে হবে, এটা যেন মাথায় থাকে ।
ও সংসারী হতে চায় প্রতিনিয়ত । ও আমাকে সংসারের মায়ায় বেঁধে ফেলতে চায়, আমি আসলে চাইলেও অনেক কিছু করে উঠতে পারি না বা নিজের মতো করে চাইলেও সেই কাজের সক্ষমতা সবসময় ধরে রাখতে পারি না । যাইহোক সংসার বড় অদ্ভুত জিনিস রে ভাই যে এই মায়ায় পড়েছে, সেই জানে এইটা কেমন ব্যাপার । মানে এগিয়েও যেতে পারবেন না ,পিছিয়েও থাকতে পারবেন না । মানে অনেকটা দোটানার ভিতরে থাকতে হবে ।
ঐদিকে স্বাধীনকে কথা দিয়ে রেখেছি। যে আজ সন্ধ্যায় আমি তার সঙ্গে দেখা করব। কারণ আজকের দিনে চেম্বারটা আমার বন্ধ থাকে । যাইহোক স্বাধীন আমার একদম বাড়ির পাশেই থাকে । এত কাছে থাকার পরেও , ওর সঙ্গে আমার দেখা হয়ে ওঠেনা বা চাইলেও দেখা করতে পারি না । হয়তো আমার ব্যস্ত থাকে নতুবা ওরো পারিপার্শ্বিক কাজের ব্যস্ততা থাকে, এই কারণেই মূলত দেখা হয়ে ওঠেনা । তবে যে টুকটাক একটু কথা হয়, তা হয়তো প্রযুক্তির কল্যাণের কারণেই সম্ভব হয়ে উঠেছে। নতুবা হয়তো এটাও হতো না ।
দিনক্ষণ করে তো আর মানুষের সঙ্গে দেখা হয়ে ওঠে না, তবে মাঝে মাঝে আবার দিনক্ষণ করেই দেখা করতে হয়। কারণ এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম । একটা সময় এই শহরের বুকে, স্বাধীনকে নিয়ে কতো যে সময় আমি ঘুরেফিরে বেরিয়েছি তা আমি বলে শেষ করতে পারবো না । যাইহোক এখন আর সময় হয়না । সময়গুলো যেন অনেকটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে । ফিকে হয়ে গিয়েছে ব্যস্ততার করাল আঘাতে ।
হুট করে হিরাকে বললাম, আমার চা খেতে ইচ্ছা করছে । আর কতক্ষণ বাড়ির ভিতরে এভাবে থাকা যায় । আমার তো একটু পায়চারি করতে ইচ্ছা করছে । হিরা বুঝতে পেরেছে যে, আমি বাইরে যেতে চাচ্ছি । ও আমাকে একদম আরো কড়া করে বলে দিলো, কোন প্রকার বাইরে যাওয়া হবে না । এখানে বসে টিভি দেখো আমার সঙ্গে নতুবা বাবুকে নিয়ে একটু খেলা করো ।
অতঃপর প্রিয়তমাকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে, আমি এক ঘন্টার জন্য সময় নিলাম। বললাম আমি শুধু একটু বাসার নিচে যাব আর গলির ভিতর একটু হাঁটাহাঁটি করে চলে আসবো । সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতেই স্বাধীনকে ফোন দিয়ে দিলাম এবং বললাম বাসার নিচে চলে আয়, সময় কিন্তু এক ঘন্টা । যাইহোক বাসা থেকে নেমেই, ওকে নিয়ে রিক্সা করে সোজা তামান্না হোটেলের দিকে গন্তব্য। আমি চাচ্ছিলাম যে, সময়টাকে আর একটু প্রাণবন্ত করে রাখার জন্য ।
মূলত আমি চাচ্ছিলাম যে আমরা পঁচিশ মিনিট সময়ের ভিতর খাওয়া-দাওয়া করে । বাকি সময়টা হেঁটে হেঁটে হোটেল থেকে বাড়িতে ফিরব । আর এতোটুকু সময়ের মধ্যেই, আমি জানি বেশ ভালই গল্প করতে পারব স্বাধীনের সঙ্গে । একটা সময় স্বাধীন তো আমাকে বলেই ফেললো । ভাই এত তাড়াহুড়ো করছেন কেন, আমি ওকে শুধুমাত্র বললাম, বুঝবি নারে ভাই । তবে বুঝতে যদি চাস, পারলে তাড়াতাড়ি একটা বিয়ে কর । এবার কিন্তু স্বাধীন বুঝতে পেরেছে, যাইহোক ও একটা মুচকি হাসি দিয়ে দিল ।
পুরুষ মানুষ আসলে বিয়ের আগে পর্যন্ত পুরুষ থাকে। তবে বিয়ের পরে যে পুরুষ মানুষ কি হয়ে যায়, এটা হয়তো পুরুষ মানুষ নিজেও জানে না । যাইহোক খাচ্ছিলাম আর স্বাধীনের সঙ্গে গল্প করছিলাম । কি খবর , সময়গুলো কেমন যাচ্ছে তোর,ওর কাছ থেকে চেষ্টা করলাম ওর বর্তমান সময়ের কথা গুলো শোনার জন্য । ও চেষ্টা করছিল আমার দিনকাল গুলো কেমন যাচ্ছে, ব্যাপার গুলো জানার জন্য । খেতে খেতেই মোটামুটি ভালো একটা আড্ডা দিয়ে ফেললাম স্বাধীনের সঙ্গে ।
কখন যে আড্ডা দিতে দিতে, তিন চারটা পরোটা গিলে ফেলেছি তা একদম মনেনেই । যাইহোক তামান্না হোটেলে আসার একটাই কারণ, মূলত এখানকার পরোটা আর ডালের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য । দীর্ঘদিন পরে এই স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে ভালই লাগলো । বলতে পারেন অনেকটা খাবারের রুচির পরিবর্তন করলাম ।
হোটেলের ওয়েটার যারা আছে, তারা আমার পূর্ব পরিচিত । আমাদের দেখেই চিনে ফেলেছে। বলছে কি খবর মামা, আপনারা যে আর আসেন না । আমি বললাম , আগের মত আর সময় হয় না । যেহেতু বাড়ি ফিরব আর গিন্নির একটু মান ভাঙাতে হবে , তাই বললাম মামা আরো কিছু পরোটা পার্সেল করে দিন । বাড়িতে নিয়ে যাব, আপনার বৌমার জন্য ।
অতঃপর পার্সেলটা হাতে নিয়ে, হিম শীতল বাতাসের মাঝে আমি আর স্বাধীন হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফেরত চলে আসলাম । বাড়ির কাছাকাছি এসে, স্বাধীনকে একটা কথা বলেই ফেললাম। আবার কবে দেখা হবে, জানি না । তবে পরবর্তী দেখা যেন, আবারো খুব ভালো একটা দিনে হয় এই কামনাই করছি । ভালো থাকিস তুই, দেখা হবে আবারো ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাই আপনার পোস্ট পড়ে সেই মজা পাইলাম। বিয়ের পর বাঘ ও বিড়াল হয়ে যায় আপনার পোস্টের মাধ্যমে তার প্রমাণ পেলাম। আসলে কিছুই করার নাই, ভাগ্যিস এখনো বিয়ে করি নাই 🤪 হাহাহা!
আর একটা একটা ফানি বিষয় হচ্ছে আপনার পরিচিত তামান্না হোটেলের পরোটা ও ডালের স্বাদ অনেক। কিন্ত আমাদের এই দিকে একটা তামান্না হোটেল আছে এখানকার কাচ্চি বিরিয়ানি আমার অনেক প্রিয়।
যাইহোক, আশা করি পার্সেল দেখে ভাবী অনেক খুশি হয়েছিলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ একটি বস্তব ভিত্তিক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করে নিয়েছি। একটা সময় জীবন এলোমেলো থাকে। আর এলোমেলো জীবনকে গুছিয়ে দিতে যখন জীবনে জীবন সঙ্গিনী আসে তখন এই অগোছালো জীবনটা আরো বেশি সুন্দর হয়। আসলে আমরা ছেলেরা কখনো নিজে নিজেই সংসারী হতে চাই না। হয়তো সংসারী হওয়া এই চিন্তাটি কখন আমাদের মাথায় আসেনা। যদি কেউ একজন পাশে এসে সংসারের মায়ায় বেঁধে ফেলতে চায় তাহলে ক্ষতি কোথায়। আপনি অনেক ভাগ্য করে একজন সংসারী মানুষ পেয়েছেন। যে আপনার সংসার সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিয়েছে এবং আপনাকেও সেই সংসারের মায়ায় বেঁধে ফেলেছে। ভাইয়া আমি আপনার লেখাগুলো পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেছি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার লেখাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনি শুক্রবার সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা সব কিছুর মধ্য দিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনার ফটোগ্রাফিতে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। সর্বশেষে একটি কথাই বলতে চাই আপনার জন্য ভালোবাসা দিবসে অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ভাইয়া আপনার এই লেখা পড়ে খুবই মজা পেয়েছি। আসলে বিয়ের পর পুরুষ মানুষ অন্য কিছু হয় না পুরুষ মানুষ তার জীবন সঙ্গিনীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে যায়। তাই তার জীবন সঙ্গিনীর প্রতিটি কথা মেনে চলার চেষ্টা করে। আমাদের লক্ষী আপু আপনার জীবনে আছে বলেই আপনার জীবন এত সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আমি ব্যক্তিগতভাবে হিরামনি আপুকে অনেক পছন্দ করি। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনি আপনার শুক্রবারের ছুটির দিনে আপনার সময়টা অনেক সুন্দর কাটিয়েছেন এটা জেনে ভালো লেগেছে। আপনার জন্য এবং আমাদের প্রিয় আপুর জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
কি বেদনার কথা শুনালেন ভাইয়া😂😂
যাও বা মনে মনে স্বপ্ন আকছিলাম, এখন তো ঘোলা ঘোলা দেখি।।
এর মানে আমি এখন স্বাধীন 💥
বিয়ের পরে সাংসারিক কাজে পরাধীন থাকতে হবে😂😂।।
উরু উরু জীবন টা ধরা খেয়ে জাবে খাচার মধ্যে 😂😂
যা হক বাংলায় একটা কথা আছে "দিল্লিকা লাড্ডু খেলেও পস্তাবে না খেলেও পস্তাবে ""
আপনার পরিবার সব সময় হাসি খুশি থাক এই কামনায় করি।।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
মাঝে মাঝে ফাকিবাজি করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব ভালো লাগে। আসলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে সময় চলে যায়, তা টেরই পাওয়া যায় না।তখন মনে হয় যদি সময়টাকে বেধে রাখা যেতো।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ভাইয়া আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে ভাল লাগলো। তবে আপনার পোস্টের এই কথাটি শুনে আমি একটু ভয় পাচ্ছি। আসলে কথাটি ভয় পাওয়া হলেও কথাটি একদম বাস্তব। পুরুষ মানুষ বিয়ের আগ পর্যন্ত স্বাধীন থাকে। কোনো রকমের বাধা নেই। স্বাধীন মুক্ত পাখির মতো এদিক ওদিক ছুটে চলা যায়। কিন্তু বিয়ের পরে সেই সম্ভাবনা থাকেনা। কারণ বিয়ের পরে অন্য এক জগত।তখন পরিবার-পরিজনকে নিয়ে নানা চিন্তা ভাবনা করতে হয়।সময়ে সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। যাই হোক আজকের দিনটি আপনি খুবই সুন্দরভাবে পালন করলেন। আপনার বন্ধু সাথে অনেক আনন্দময় সময় খাওয়া-দাওয়া খুবই ভালো লেগেছে।আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
পরোটা ডাল আহা দারুণ কম্বিনেশন এই শীতের দিনে।
আমার ও খেতে ইচ্ছে করছে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
আম্মু যখন বাবাকে বাহির হতে দিত তখন বাবা আপনার মত এমন অজুহাত দিয়ে বাইরে যেত যদিও বুঝতে পারত কিন্তু কি আর করার আছে বলেন। এমন কি এখনো এ কাজ করে। এই কথাগুলোর মাঝেও এক ধরনের ভালবাসা এক মায়া থাকে। ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
প্রথম দিকে পড়ে অনেক মজা পেয়েছি ভাই। তবে আমি ভাবিকেই সাপোর্ট করবো। কারন সপ্তাহে একটি দিন ভাবি আর বাবু রাই পায়। তবে বন্ধুরাও ফেলে দেওয়ার মত না। ওদের ও সময় দিতে হয়। সংসারে গেলে এটাই মনে হয় এক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। দায়িত্ব ঘারে নিয়ে কত কি বা করা যায়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
বউয়ের কাছে একঘন্টা
যেন খুঁজে নেয়া
মজাই লাগলো গল্পটি
তোমারি পোস্ট দেয়া।।
একঘেয়ামি লাগছে তোমার
বাড়ির ভিতরে
হীরা বাবু কেমনে থাকে
চারদেয়ালের চাদরে।??
পুরুষ-নারীর জীবনেও ভাই
এটাই বড় অমিল
কাজ এসে চিলকে যেন
দিয়ে যায় ঢিল।
তামান্না হোটেলে খাওয়া হলো
স্বাধীন ভাইকে নিয়ে
বউয়ের মন খুশি হলো
গিফট পার্সেল দিয়ে।।
ভালো থেকো ভাইয়া ভাবি
সুখে চিরদিন
কেউ কখনো কারো কাছে
রেখো না কোনো ঋণ।
♥♥