মেঘাচ্ছন্ন আকাশ
গতকাল বিকালের দিকে গ্রামের ভিতরে কিছুটা সময়ের জন্য এদিক সেদিক ঘুরে বেড়িয়েছিলাম । তার অবশ্য যথার্থ কারণ ছিল। মূলত হঠাৎ করেই পুরো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল আর ঘুম থেকে উঠেই যখন আকাশের এমন রূপ দেখেছি, তখন আসলে মনটাকে কোনভাবেই ঘরে বেঁধে রাখতে পারিনি।
ভেবেছিলাম বৃষ্টি হবে, এমনটাই লক্ষণ বোঝা যাচ্ছিল আকাশের অবস্থা দেখে। তবে আজকাল যা ভাবা যায় বরং তার উল্টো হয়ে থাকে। প্রকৃতি যেন তার নিজস্ব গতিতে চলছে, এখানে আমার আপনার ভাবনা চিন্তায় তার কোন যায় আসে না। শেষমেষ বৃষ্টি হবে হবে ভাব হয়েও আর হয়ে উঠল না। তবে নীল আকাশের বুকে কালো মেঘের যে ঘনঘটা দেখেছিলাম, তা যেন অনেকটাই লুকোচুরি খেলার মত।
বারবার দমকা হাওয়া বইছিল, হঠাৎই গ্রামের লোকজনের ভিতরে বেশ তৎপরতা ভাব দেখছিলাম। আসলে তাদের কাছে এই দমকা হাওয়া অনেকটা নিজেদেরকে দ্রুত গুছিয়ে নেওয়ার মত অবস্থা। এমনিতেই যেহেতু বিকেল বেলা আর এখন যদি হুট করে ভারী বর্ষণ হয় তাহলে তাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতেই পারে, তাই হয়তো তারা নিজেদেরকে দ্রুত গুছিয়ে নিচ্ছিল।
তবে তারা কিন্তু চায় যে, এই সময় প্রচুর বৃষ্টি হোক। কেননা সদ্য রোপন করা ধানের জমিতে যে একদম পানি নেই আর এভাবে চলতে থাকলে যে কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। প্রকৃতির পরিবর্তনে সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। এসময় খাল-বিল বর্ষার নতুন পানিতে থৈ থৈ করার কথা, তবে এখন সব পানি শূন্য।
এই বর্ষাকালে এসেও যদি এরকম অনাবৃষ্টি হয়, তাহলে এই পরিস্থিতির কষ্ট কতটা যন্ত্রণাদায়ক তা হয়তো কৃষকদের চোখ-মুখের দিকে তাকালেই বেশ ভালোভাবে বোঝা যায়। তারা যেন ভারী বর্ষণের জন্য চাতক পাখির মত চেয়ে আছে।
এই অবেলায় আমার শরীরে যখন দমকা হাওয়া স্পর্শ করছিল, তখন যেন আলাদা শিহরণ বয়ে যাচ্ছিল নিজের মাঝে। ইচ্ছে ছিল যদি ভারী বর্ষণ হয় তাহলে কাকভেজা হয়ে বাড়িতে ফিরবো, তবে সেই ইচ্ছে একদম অপূর্ণ থেকে গেল।
যেহেতু আরো কয়েকটা দিন গ্রামে আছি,তাই মনে প্রাণে চাই এই অনাবৃষ্টি দূর হোক, কৃষকের মুখে হাসি ফুটুক আর আমার কাকভেজা হওয়ার ইচ্ছে পূর্ণ হোক। তারপরেও বলবো এই পড়ন্ত বেলায় এসে প্রকৃতির যে রূপরেখা দেখলাম, তা অনেকটাই নজরকাড়া। চেষ্টা করেছি মুঠোফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে সেই মুহূর্তের কিছু আলোকচিত্র বন্দী করার জন্য।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1685581556872888320?t=Gs-3rbgKV4BBE272h_hNJQ&s=19
বৃষ্টির আগ মূহুর্তের আকাশ আমার ভীষণ পছন্দ। তাইতো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো মারাত্মকভাবে ভালো লাগছিলো।এতো সুন্দর আকাশের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।এতো মেঘ আকাশে তারপরেও আপনার ইচ্ছে পূরণ হলো না।কাকভেজা আর হতে পারলেন না। তারপরেও এতো সুন্দর ওয়েদার দেখলেন তা ও বা কম কি।আল্লাহ চায় তো বৃষ্টি হবে দেখবেন।আপনার কাকভেজা স্বপ্নটিও পূরণ হবে আশাকরি।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এটা অবশ্য ঠিকই বলেছিলেন যে, এই ওয়েদারটা আমি বেশ ভালোই উপভোগ করেছি, তবে বৃষ্টি হলে আরো পুরোটাই যেন পরিতৃপ্তি পেত।
আসলে এখনকার আবহাওয়া একেবারে অন্য রকম। অনেক সময় মনে হয় বৃষ্টি হবে, যখন প্রস্তুতি নেই বৃষ্টিতে ভেজার,তখনই দেখি রোদ উঠে যায়। আজকেও এমনটা হয়েছিল। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টি খুব কম হয়েছে। বৃষ্টি না হলে কৃষকদের টেনশনের শেষ নেই। দোয়া করি ঝুম বৃষ্টি হোক এবং কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠুক। যাইহোক প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।