এবার ফেরার পালা
যাইহোক এবার গ্রাম থেকে শহরে ফেরার পালা। মোটামুটি কয়েকটা দিন বেশ ভালই নিরিবিলি ভাবে গ্রামে সময়গুলো কাটলো। অনেকটা যান্ত্রিক জীবন থেকে বেশ ভালই দূরে ছিলাম। তবে জীবন জীবিকার তাগিদে বরাবরই ছুটে যেতে হয় ঐ ব্যস্ত শহরে।
সত্যিই আমার শহরে আর কোনভাবেই মন টেকে না। একপ্রকার বাধ্য হয়েই, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে যেতে হয়। এই যে মাঝে মাঝেই সময় সুযোগ পেলেই গ্রামে আসি, তার একমাত্র কারণ হয়তো মানসিকভাবে কিছুটা ফুরফুরে থাকার জন্য।
যে ধকল নিয়ে এবার এখানে এসেছিলাম, মোটামুটি তা এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল সকালেই শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। তবে এবার গ্রামে এসে খুব একটা বাহিরে ঘোরাফেরা করতে পারিনি, যার কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টি। তবে তারমাঝেও ঘরে থেকেও বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি।
শেষের দুই দিন কিছুটা বৃষ্টি কম ছিল বললেই চলে, তখন সময় সুযোগ করে বাহিরে গিয়েছিলাম। গ্রামীণ মানুষগুলোর সঙ্গে যেন অনায়াসেই মিশে গিয়েছিলাম। এই বর্ষার সময় গ্রামে কোন প্রকার ভ্যান গাড়ি ঢোকে না, যার কারণে গ্রামের বাজারে যেতে গেলে একমাত্র পায়ে হেঁটেই যেতে হয়।
যেহেতু সকলের সঙ্গেই সম্পর্ক মোটামুটি বেশ ভালই, তাই সেদিন বিকেলে গ্রামের কয়েকজন মাঝবয়সী লোকের সঙ্গে আমিও দলবেঁধে গিয়েছিলাম, তাদের সঙ্গে এদিক সেদিক ঘুরতে। তারাও যেন আমার মত কয়েকদিনের এই বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে গৃহবন্দী হয়েছিল। এখানে আসলে গৃহবন্দী হয়ে থাকলেও, সময়টা বেশ ভালোই কাটে। ঐ ঘুরে ফিরে দেখা যায়, গ্রামের ভিতরে যে টঙের দোকান আছে সেখানে গিয়ে সন্ধ্যেবেলায় ভালোই আড্ডা জমে।
নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে গল্পস্বল্প করতে কার কেমন লাগে জানিনা, তবে আমার এমন মানুষ গুলোর কথা শুনতে বরাবরই ভালো লাগে। এই যে বর্ষার সময়ে এখানে ঘোরাঘুরি করতে এসেছিলাম অনেকটা অসুস্থ হয়ে, তারপরেও এখানকার আলো বাতাসে যেন আলাদা রকম প্রতিষেধক কাজ করছিল। যার কারণে হয়তো কয়েক দিনের ভিতরেই আমরা সকলেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম।
তবে এটা সত্যি, আমার যদি সেভাবে কখনো সামর্থ্য হয়, তাহলে হয়তো আর কখনো শহর কেন্দ্রিক চিন্তা থাকবে না। হয়তো এই গ্রামীন পরিবেশের ভিতরেই নিজের আবাসস্থল গড়ে তুলবো আর বাকিটা জীবন এখানেই কাটিয়ে দেবো। তবে এ আশা কবে পূর্ণ হবে, সেটাই যেন প্রায়ই আমাকে ভাবিয়ে তোলে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।সত্যি ভাইয়া গ্রামের মুক্ত বাতাস মানুষের মনকে মুক্ত করে দেয় সব সময়। আপনারা যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন সফল হয়েছে জেনে ভালো লাগল। দোয়া করি আপনা ইচ্ছে তারাতাড়ি পূর্ণ হোক। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু, আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1712031102771360030?t=oczNuskh5-6E-TXZDIPdoQ&s=19
হাই @shuvo35, গ্রামাঞ্চলে বেড়াতে যাওয়া সবসময়ই দারুণ আনন্দ নিয়ে আসে। গ্রামীণ এলাকার মানুষ খুব যত্নশীল এবং শেয়ারিং। আমি সাধারণত সপ্তাহে একবার আমার গ্রামে যাই। গ্রামের বন্ধুদের সাথে সময় কাটালে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া গ্রামের পরিবেশ খুবই মনোরম, শিল্প এলাকা থেকে অনেক দূরে। আমি আশা করি আপনি এখন ভাল করছেন এবং আপনার শহরে ফিরে যেতে প্রস্তুত। তোমার জন্য শুভ কামনা.
তোমার ব্যাপারটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল।
আপনারা সবাই এখন সুস্থ আছেন জেনে ভীষণ খুশি হলাম ভাই। গ্রামের আবহাওয়া এবং পরিবেশ স্বাস্থের জন্য ভালো। গ্রামীণ পরিবেশে বেশ চমৎকার মিশে গিয়েছিলেন আপনারা। যাইহোক ছবিতে আপনাদের দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো।
এখন মোটামুটি কিছুটা সুস্থ আছি ভাই। আসলেই এই সাময়িক সময়টা বেশ ভালোই কাজে দিয়েছে।
আপনার পোস্ট নিয়মিত পড়া হয় বিধায়, এটা অনেক আগে থেকেই জানতে পেরেছি যে, গ্রামের প্রতি আপনার অন্যরকম মায়া বা টান কাজ করে। নির্ঝঞ্ঝাট, কোলাহলমুক্ত পরিবেশ আমারও ভীষণ পছন্দ। আমি মনে করি মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাকে গ্রামের মধ্যে আবাসস্থল গড়ার সামর্থ্য অবশ্যই দিবে। যাইহোক আপনার পরিবারের লোকজন এখন সুস্থ আছে এবং শহরে ফিরছেন এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। মানসিক প্রশান্তির জন্য মাঝেমধ্যে গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে পারলে সত্যিই মনটা একেবারে ফ্রেশ হয়ে যায়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার খুবই সীমিত চাওয়া, গ্রামে একটা আবাসস্থল গড়ে উঠুক। তাতে আমার বাকি জীবনটা কেটে যাক।
আপনাদের গ্রামটা অনেক সুন্দর।মন টেকনো তো কষ্টই শহরে।গ্রামে বাস করে শান্তি শহরের তুলনায়।একদম ঠিক ভাইয়া এটা গ্রামের আলো বাতাস শরীরের জন্য ভালো।এই কদিনের সুস্থ আপনারা।আমারও সব বয়সের লোকদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে।নতুন নতুন বিষয় জানা যায়।ভালো লেগেছে পোস্টটি ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমরা সবাই দোয়া করি আপনার যেন সেই সামর্থ্য হয় যে এই গ্রামের পরিবেশে নিজের ছোট্ট একটি বাড়ি তৈরি করার। গ্রামীন পরিবেশে সময় কাটাতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর শহরের যান্ত্রিকতা শুধুই একঘেয়েমি।
গ্রামের শীতল হাওয়াই যেন রোগের প্রতিষেধক, মানসিক শান্তির যোগান দেয়। তবে ব্যস্ততার কারণে ছুটে যেতে হয় শহরে। কিন্তু মনটা এই নির্মল প্রকৃতির গ্রামেই পরে থাকে। গ্রামে একটি বাড়ি করে যেন জীবনের শেষটা কাটিয়ে দিতে পারেন সেই দোয়া রইল ভাইয়া ☘️
শহরে থাকতে ভালো লাগে কিন্তু গ্রামের যে পরিবেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষের মনকে মুগ্ধ করে তোলে। একটি মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।হঠাৎ যদি মন খারাপ থাকে গ্রামের ফসলে গেলে মনটা ভালো হয়ে যায় । গ্রামে একটা সময় অনেক কষ্ট হয় এ মাটির রাস্তাটা কাঁদা হয়ে যায় এটাই সব থেকে বড় কষ্ট। তাছাড়া সেখানের পরিবেশে বাস করা। নিরিবিলি পরিবেশ মনকে আরো সুস্থ করে তোলে। টঙের দোকানে এই মুহূর্তটা অনেক ভালো লাগে। গ্রামাঞ্চলে এটা অধিক দেখা যায় এবং শহর অঞ্চলেও দেখা যায় কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে সময়টা ভালো কাটে। মানুষে বলে যে শহরের মানুষ বেশি অসুস্থ হয় আসলেই অনেক জ্যাম, অনেক শব্দ আর বাচ্চারা সারাদিন ঘরের মধ্যে তাকে আলো বাতাস কিছুই পায় না। অবশ্যই আপনার আশা পূরণ হবে ইনশাল্লাহ শহরকেন্দ্রিক জীবন ছেড়ে গ্রামীন পরিবেশের জন্য আপনি নিজের আবাসস্থল গড়ে তুলতে পারেন দোয়া রইল।