গ্রামীণ পরিবেশে কাটানো মুহূর্তের আজ দ্বিতীয় পর্ব
কয়েকদিন আগে গ্রামীন পরিবেশে গিয়ে পাক্কা ৩ দিন সময় কাটিয়ে দিয়ে এসেছিলাম। মূলত ঐ ৩ দিনে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। তারই আলোকপাতে দুই পর্বের ফটোগ্রাফি সিরিজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি আর আজকে তার দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ শেষ পর্ব শেয়ার করতে চলছি, আশাকরি ভালো লাগবে।
প্রথম পর্বে দেখিয়েছিলাম , গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা। আর আজকে চেষ্টা করব আমার মুঠোফোন দিয়ে তোলা, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের ছবি।
যেহেতু একদম খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেছিলাম এবং চারিপাশে হাঁটার চেষ্টা করছিলাম,তখনোই মূলত কিছু কিছু বিষয় আমার এমনিতেই নজরে পড়ে। যদি এখন এদিকটাতে শীতকালের আভাস কিছুটা বোঝা যায়, কারণ ভোরবেলার দিকে হালকা কুয়াশা এখন থেকে পড়া শুরু হয়েছে। সবুজ কচুর পাতার উপরে জমে থাকা কুয়াশার পানি যেন টলমল করছে,এই সৌন্দর্যটা আমাকে বেশ ভালই আকৃষ্ট করেছিল।
সদ্য জন্মানো কুমড়োর হলদে ফুলটার প্রতি এমনিতেই নজর পড়েছিল, কারণ অনেকটাই সতেজ ও তরতাজা ভাবে ফুলটা তার নিজস্ব রূপ ছড়াতে বেশ ব্যস্ত ছিল।
সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছিল কচুর পাতার উপরে ফড়িং এর বসে থাকা ছবি তুলতে এবং ফড়িং মাঝে মাঝে উড়ে গিয়ে এখানে ওখানে গিয়ে বসেছিল সেই ছবি মুঠোফোনে বন্দি করতে। নিজের সঙ্গে একপ্রকার যুদ্ধই করতে হয়েছিল এই ছবিগুলো তুলতে। তাও শেষে নিজের কাছে অনেকটাই পরিতৃপ্তি পেয়েছিলাম, শেষমেশ ফড়িং এর ছবিগুলো স্থির ভাবে তুলতে পেরেছি এটা ভেবে।
আর আমাদের গ্রামের বাড়ির যাওয়ার রাস্তাটা বেশ ভালই কাদাযুক্ত, ঘনবাঁশের ঝাড় তার মাঝ দিয়ে চলে গিয়েছে মেঠো পথ। এদিকটা দিয়েই সকালবেলা হেঁটে এসেছিলাম গ্রামের সামনের দিকে যাওয়ার জন্য।
সম্ভবত বলেছিলাম যে আমার গ্রামের বাড়ি ঘরের জানালা খুলে দিলে এক পাশ থেকে সদ্য জন্মানো ফসলের খোলা মাঠের অকৃত্রিম সবুজ ভাব প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে। এই দৃশ্য মূলত তারই প্রতিচ্ছবি। সবমিলিয়ে সেদিনের সেই সকাল বেলার মুহূর্তটা ছিল আমার কাছে অনেকটাই স্মরণীয়।
একঘেয়েমি জীবন থেকে কিছুটা মুক্তির জন্য প্রকৃতির মাঝে ছুটে বেড়ানোর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আমি করেছিলাম। বলা যায় মানসিকভাবে ভীষণ প্রফুল্লতা বোধ কাজ করছিল, হয়তো তারই আলোকে কিছু কথা লিখে ফেললাম। আমার কাছে শহুরে জীবনটা একদম ভালো লাগেনা, জীবনে সময়-সুযোগ-সামর্থ্য যদি সবগুলো একবারে হাতের নাগালে চলে আসে, তাহলে ইচ্ছে আছে বাকি জীবনটা এই গ্রামে কাটিয়ে দেবো।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1701911209329697037?t=S2fAhbx2g58hgeIOitPBzQ&s=19
ভাইয়া আপনি তো দেখছি গ্রামীণ প্রকৃতি আর জীববৈচিত্রের বেশ অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। এরকম পরিবেশে গেলে তো আর ফিরে আসতে মনে চাবে না। আপনার করা এত এত সুন্দর ফটোগ্রাফির মাঝখানে কোনটাকে যে সুন্দর বলি ভেবেই পাচ্ছিনা। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন ছিল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও আপনার গ্রামের বাড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট চমৎকার লাগছে ভাইয়া।ভোরবেলার পরিবেশ খুবই মনোমুগ্ধকর ছিল।আর আপনি সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন।গ্রামের বাড়ির জানালা খুললে আসলেই বিরাট ফসলের মাঠের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।অনেক ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি।আপনার করা সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্য, কারণ ঐ ফসলের মাঠের দিকে তাকালে এমনিতেই মন ভরে যায়।
কচুর পাতার উপরে ফড়িং বসে আছে আর এই মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি করা আপনার পক্ষে কঠিন ছিল বুঝতে পারছি ভাইয়া। আসলে গ্রামীণ প্রকৃতি দেখতে অনেক সুন্দর। আর প্রকৃতির সৌন্দর্য যখন তুলে ধরা হয় তখন অনেক ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।
ফড়িং এর ছবিগুলো তুলতে এক প্রকার যুদ্ধই করতে হয়েছিল আপু।
গ্রামীণ পরিবেশে খুব সকালে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। সবুজ কচু পাতার মধ্যে কুয়াশার পানি টলমল করছে, যা দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি ভাই। ফড়িং এর ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। মোটকথা গ্রাম বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শুভেচ্ছা রইল ভাই আর আমাকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে গেলে মনের এক ঘেয়েমি ভাব অনেকটা দূর হয়ে যায়।আর প্রকৃতির সন্ধান আমাদের গ্রামের পরিবেশের মাঝেই ভরপুর।যদিও আপনার আগের পর্বটি পড়া হয়নি। তবে এই পর্বটি পড়ে ও আপনার তোলা চমৎকার ও দৃষ্টি নন্দন ফটোগ্রাফিগুলো দেখে মনে পড়ে গেল -
এমন দেশটি কোথায় খুজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি,
সে যে আমার জন্মভূমি।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেকটাই ভালোলাগা কাজ করছে নিজের মাঝে।
সমস্যা নেই আমরা কয়েকদিনের জন্য আবারও যাব গ্রামের বাড়িতে, তখন আরো ভালোভাবে ছবি তোলার চেষ্টা করিও আশেপাশের।