বিপত্তি || @shy-fox 10% beneficiary
অন্যান্য দিনের থেকে আজকে আমার ব্যস্ততা খুবই বেশি । কারণ আজকে আমাকে দ্রুত কর্মস্থলে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে মোটামুটি ছোট একটা অপারেশন করতে হবে । সর্বোপরি মানসিক ব্যস্ততা নিয়েই বাসায় থেকে বের হয়েছি। এবং প্রথমত সিএনজি স্ট্যান্ডে এসেই একটা ধাক্কা খেয়েছি । কারণ গাড়ি পেতে দেরি হচ্ছিল আর দ্বিতীয়ত মাঝপথে যে ধাক্কা খেয়েছে, সেটা নিয়ে আজকে আলোকপাত করব ।
সাজু আঙ্কেলের ছোট ছেলে শাফি । চৌদ্দ বছরের ছেলেটার হুট করে নিচের বাম চোয়ালের একদম শেষের দাঁতের উপরের মাংসটা ফুলে গিয়েছে এবং গত দুদিন থেকে তীব্র ব্যথা করছে । যার কারণে দুপুর বেলা আমাকে ফোন দিয়েছিল । সে দুদিন ধরে নাকি কিছুই খেতে পারছে না । সর্বোপরি একটা অস্থিরতা সেই ছেলেটার সঙ্গে লেগেই আছে। আমি দুপুরের পরপরই সাজু আঙ্কেলকে বলেছি, ঠিক আছে । আমি বিকেলে যখন চেম্বারে যাব, তখন দেখা করিয়েন । দেখি কি করা যায় ।
যদিও সাজু আঙ্কেলের ছেলের কথা মতে, তার যে ঘটনাটা শুনলাম । তাতে মনে হচ্ছে ছোট্ট একটা সার্জারি লাগবে । তবে তাও যেহেতু শোনা কথায় কাজ হবে না । তাই মূলত সাক্ষাতে তার অবস্থা দেখে, ভাবতে হবে কি করা যায় । এমনিতেই বিশেষ করে সার্জিক্যাল কাজগুলো করার আগে মানসিকভাবে অনেকটাই প্রস্তুত থাকতে হয় এবং ডায়াগনোসিস এবং পরবর্তী চিকিৎসা কি হবে, সেই ব্যাপার গুলো নিয়ে অনেকটাই একটু ভাবনাচিন্তা নিজের ভিতর থাকে।
যাইহোক এইসব ভেবে ভেবেই কিছুটা সময় সিএনজি স্ট্যান্ড কাটিয়ে দিলাম । মিনিট ত্রিশেক পরে গাড়ি চলে আসলো । অতঃপর যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস । এমনিতেই যে গরম তাতে অবস্থা অনেকটাই কাহিল হয়ে গিয়েছে । তাও মনের ভেতর একটা প্রশান্তির ছাপ । কারণ গাড়িতে উঠলেই ফিরফির বাতাসে হয়তো অস্থিরতা কিছুটা হলেও দূরে সরে যাবে ।
আসলে ঝামেলা যখন লাগে, তখন সবদিক থেকেই কোন না কোন ভাবে লেগে যায় । যাইহোক এমনিতেই গাড়ি আসতে অনেক দেরি করেছে । তার মধ্যে ভীষণ গরম । তার মধ্যে মাঝপথেই আবার হুট করে একটা উটকো ঝামেলা লেগে গেল এবং যার কারণে খানিকটা সময় আরো বেশি নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং বিব্রতকর অবস্থায় আমাকে পড়তে হয়েছিল ।
আচ্ছা বনের পশু তো বনেই ভালো মানায় । তাহলে তাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি করানোর মানে কি । এমন ঘটনা নতুন নয়, তবে এমন ঘটনার শেষ কোথায় । আর এইভাবে নিরীহ পশু গুলোর সঙ্গে এইরকম অমানবিক নির্যাতন করার কোন মানেই হয়না ।
আসলে একটা সুস্থ সমাজে এই ব্যপারগুলো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। হুট করে যখন সিএনজির সামনে হাতিটা এসে হাজির হয়েছে, আমি একদম ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এবং তার সুর দিয়ে যখন শরীরের সামনে এসে পয়সা নেওয়ার চেষ্টা করছিল, সেটা আমার কাছে আরো ভয়ানক ছিল ।
আমি কোন মত গাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছি এবং নিজেকে একটু আড়াল করার চেষ্টা করেছি । তবে অনেক যাত্রী তো আবার অসহায় হয়ে পয়সা দিতে বাধ্য হয়ে গেল । ব্যাপার গুলো আমাকে বেশ ভাবিয়ে তোলে । এসব দেখার কি আদৌ কেউ নেই । নাকি তাদের চোখ গুলো বন্ধ হয়ে আছে ।
কোথায় ভাবছিলাম চেম্বারে গিয়ে একটা সার্জারির জন্য মানসিকভাবে প্রিপারেশন নেবো কিন্তু রাস্তার মধ্যে, এমন একটা ঘটনা আমাকে বেশ বিপত্তিতে ফেলে দিয়েছে । আমার চিন্তা চেতনায় হুট করে অনেকটা পরিবর্তন এসে গিয়েছে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি আমাদের দেশে নতুন কিছু নয়। গতকাল আমিও এ সমস্যায় পড়েছিলাম রাস্তার মধ্যে। প্রশাসন যেন এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। যারা এই কাজগুলোর সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। সেইসঙ্গে এত বড় একটা প্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণ করা যাদের পক্ষে সম্ভব নয় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আশা করি কোন একদিন এ ব্যাপারে সবাই যত্নবান হবেন।
নতুন পুরাতন বলে কোন কথা নয় ভাই , এইগুলো কাজ আমি মনেকরি কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় । এমন অবস্থা খুবই বিরক্তিকর ও কষ্টদায়ক ভাই ।
ভাই ঠিকই বলেছেন, এইটা এক প্রকার চাঁদাবাজি। মানুষ খুশি হয়ে দিলে তাও এক কথা। ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়াটা আমি কখনোই সমর্থন করি না। অনেক দিন আগে আমাদের গ্রামে গেছিলো হাতি আমাদের গাছের ৭ টা ডাব নষ্ট করেছিলো। গাছ ছোট ছিলো। কিছু বলার ছিলো না। ধন্যবাদ ভাই আপনার বিপত্তিকর অবস্থা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রাস্তাঘাটে আমরা যখন এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তখন খুবই বাজে পরিস্থিতি তৈরি হয়। আসলে এটা জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশু দিয়ে চাঁদাবাজি করানো খুবই বাজে একটি কাজ। সত্যি কথা বলতে অনেকে অনেক ব্যস্ততার মধ্যে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করে। তাদেরকে যদি এভাবে আটকানো হয় তাহলে এই বিষয়টি সত্যিই অনেক কষ্টের হয়। ভাইয়া আপনি সব সময় সময় উপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো আপনার লেখায় উপস্থাপন করেন এজন্য আপনার লেখাগুলো পড়তে আমার খুবই ভাললাগে। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এমনটাই তো হচ্ছে আপু প্রতিনিয়ত। যা অনেকটাই বিব্রতকর অবস্থা ।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন। আসলে এটা এক প্রকারের চাঁদাবাজি। নিরীহ পশুদের দিয়ে এভাবে চাঁদাবাজি করানো মোটেও উচিৎ না। সত্যি কথা বলতে গত সপ্তাহে আমি যখন আমার গ্রামের বাসায় যাচ্ছিলাম তখন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। এক দিকে প্রচণ্ড মেঘ হয়ে এসেছে আকাশে যে কোন সময় বৃষ্টি নামতে পারে তার উপর এই চাঁদাবাজি। আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল ব্যাপারটি। কিন্তু কি আর করার বাধ্য হয়ে চাঁদাটা দিতে হলো এবং অবশেষে যেতে পারলাম। এই বিষয়গুলোর প্রতি সবার সচেতন হওয়া উচিত এবং নিরীহ পশুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করা উচিত। অনেক সুন্দর একটি বিষয়বস্তু আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
এসব দেখেও যেন কেউ দেখছে না । তাছাড়াও এইটা একদম বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার করে ফেলে ।
আসলে ভাইয়া মনের ভেতর যদি কোনো অস্থিরতা কাজ করে তাহলে কোন কাজই শান্তি পাওয়া যায় না যতক্ষণ পর্যন্ত না কাজটা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়।আসলে দাঁতে ব্যথা আমারো হতো ছোটবেলায় কিছু খেতে পারতাম না।আসলে গাড়িতে উঠলেই বেশ ভালো লাগে হালকা হালকা বাতাস মনের ভিতর প্রশান্তি এনে দেয়।আসলে এটা খুবই খারাপ লাগে। পশুকে ব্যবহার করে তারা নিজেদের ইনকাম করতেচে। আসলে এগুলো এখন চলছে বর্তমান সময়ে। আসলে সারাটা দিন হাটিয়ে নেয়। তারপর না বলে অন্যের কলা গাছ ও ফসল খাইয়ে দেয়। আসলে এগুলো ঠিক না।আসলে ভাইয়া বর্তমান যুগ কিছু বলার নাই।মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করতে হবে।সত্যি খারাপ লাগল এমনিতেই মানসিক অস্থিরতা কাজ করছে মনের ভিতর আবার আরেক ঝামেলা 🥺
এমনটাই তো হচ্ছে আজকাল। যা খুব নিন্দনীয় কাজ ও হয়রানী মূলক। এককথায় ব্যাপার গুলো মেনে নিতে কষ্ট হয় ।
কথায় আছেনা বিপদের কোন হাত পা নেই। আর একটি কথা আছে কপালের লিখন না যায় খন্ডন।
অস্থিরতা মানসিক পেরেশান এগুলো একজন সুস্থ মানুষকে খুব চাপের মুখে ফেলে দেয়। সব মিলিয়ে আপনার চিন্তার বিষয় গুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন। সেই সাথে হাতির ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে আপনার মনের ভাবগুলো শেয়ার করার জন্য, আপনাকে ভালবাসা অবিরাম।
এমনটাই হচ্ছে রে ভাই যখন ঝামেলাপূর্ণ অবস্থার শিকার হতে হয় ,তখন সব দিক থেকেই ঝামেলা লেগে যায় ।
কথাটা ঠিক বলেছেন ভাই ঝামেলা যখন আসে চারিদিক থেকে চলে আসে। মফস্বল শহরে এই সিএনজি ইজিবাইক গুলো খুব ঝামেলা করে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এবং এই পশু বিশেষ করে হাতিকে দিয়ে চাঁদা তোলা একপ্রকার চাঁদাবাজি। আমি নিজেও রাস্তায় এইরকম পরিস্থিতির সম্মূখিন হয়েছি। যার যা ইচ্ছা তাই করতে শুরু করে যেন কোনো একটা সিস্টেম নেই। এবং অপারেশন বা সার্জারি যত ছোট হোক না কেন তার আগে মানসিক একটা প্রস্তুতির ব্যাপার আছে।
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই । এমনিতেই গাড়ির ঝামেলা তারপর আবার হুট করে এই উটকো ঝামেলা লেগেই আমরা অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
😞😞😞😖
যখনই কোন কাজের তাড়া থাকে, তখনই দেখবেন যত বিপত্তি বাধে। প্রথমে সিএনজি পেতে দেরি হয়েছিল; পরবর্তীতে হাতির এই বিব্রতকর পরিস্থিতি। সব মিলিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন ভাই। হাতি বনের মধ্যেই ভালো মানায়, অথচ আমরা মানুষ সেগুলো কে পোষ মানিয়ে চাঁদাবাজি করছি। এটা কখনোই কাম্য নয়।
ঐ দিন কিন্তু সাজু আঙ্কেলের ছোট ছেলের মুখের ভিতরের অপারেশন হয়েছিল এবং সেই দিনই এই ঘটনাই ঘটেছিল । কি একটা অবস্থা ।
এসব আজকাল রাস্তাঘাটে প্রায়ই দেখা যায়। এইভাবে হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি করে। আর এমনভাবে করে যে কেউ মানাও করতে পারে না। আসলেই এসব দেখার কেউ নেই।
তাই তো হচ্ছে আপু । কি একটা অবস্থা । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাবের রাস্তা সবসময় দুর হয়। আর বিপত্তির কামই হচ্ছে আদর দিয়ে আগলে ধরা। তার পরও পার পেতে মনের ব্যাপার স্যাপার।দোয়া কামনায়।