দীর্ঘদিন পরে আত্মীয়ের বাড়িতে
আমার এখনো খুব ভালোভাবে মনে আছে, আমি আমার বড় ভাবির গ্রামের বাড়িতে সম্ভবত এবার নিয়ে তিনবার গিয়েছিললাম। যেহেতু বড় ভাবীরা ঢাকায় থাকে, তাই তারাও খুব একটা বেশি গ্রামে আসতে পারে না। তাই মূলত তাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়ে ওঠে না।
সেই বিয়ের সময় একবার সম্ভবত গিয়েছিলাম তাও তো সেটা এখন থেকে অনেক বছর আগে। তারপরে আমার ভাতিজির জন্মের সময় একবার গিয়েছিলাম আর এখন আমার ভাতিজির ৫ বছর চলছে, এবার নিয়ে একবার গেলাম। মানে দীর্ঘ ১০ বছর হলো তাদের বিয়ে হয়েছে, এই ১০ বছরের ভিতর এবার নিয়ে মোট তিন বার যাওয়া হলো সেথানে।
আসলে সেখানে যে ইচ্ছা করেই যাই না, ব্যাপারটা কিন্তু তেমন না। তারা মূলত প্রায়ই ফোন করে যেতে বলে, তবে বাস্তবতা ভীষণ উল্টো। এখন তো আমার নিজেরই আত্মীয়-স্বজন হয়ে গিয়েছে এবং আমার নিজের শ্বশুরবাড়িতেই মাঝে মাঝে যেতে হয়, তাই আসলে সব কাজ একত্রে সামলিয়ে সকল আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ ছাড়া, তেমন কারো বাড়িতে যাওয়ার আর সুযোগ নেই বললেই চলে।
তবে এবার বড় ভাবি ঢাকা থেকে আসার পরে প্রথমেই বলেছিল, আমরা কিন্তু অনেকটা দিন এবার গ্রামে থাকবো তোমাদের কিন্তু এবার সময় সুযোগ করে আমাদের বাড়িতে যেতেই হবে। মূলত আমার মামাতো ভাই এবং আমার গিন্নি বেশ জেদ করেছিল তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য, তাই অবশেষে সেদিন গিয়েছিলাম তাদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে।
ভালোই লেগেছিল সেই গ্রামে যেতে। শহর থেকে সম্ভবত ২৫ কিলোমিটার দূরে, সকাল বেলার দিকে বেরিয়ে ছিলাম এবং গ্রামীন রাস্তার আগের থেকে কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে, আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূলে ছিল, যেহেতু সকালবেলা হালকা বৃষ্টি হয়েছিল, তাই কিছুটা ঠান্ডা বাতাস বইছিল আর তার ভিতর দিয়েই আমরা ছোট্ট গাড়িটা চলে গিয়েছিল আমার বড় ভাবির গ্রামের বাড়িতে।
তবে ভাবীকে আমরা আগেই বলে রেখেছিলাম, এ সময় কিন্তু আমরা মাংস খাব না। কারণ আমরা চেয়েছিলাম একটু সবজি, মাছ ভাজা, দেশি মুরগির ভুনা, এই জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য। কারণ মাংস এই সময় সকলের বাড়িতেই খাওয়া দাওয়া চলছে আর যেটা আমার কাছে ভীষণ বিরক্ত লাগছিল। ভাবি বলেছিল, ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই, তোমরা আগে আসো, তোমাদের মত করেই সব আয়োজন হবে।
যাইহোক দুপুরবেলার দিকে আমরা সবাই মিলে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সারাটা দিন বেশ ভালোই মজা করেছিলাম। অনেকদিন পরে সেই পুরনো আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা হয়েছে, বেশ গল্প গুজব হয়েছে, তারাও আমার বউ বাচ্চা দেখে বেশ খুশি হয়েছিল। এটা সত্য একটু সময় বের করে হলেও নিজের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাতায়াত করা উচিত তাহলে সম্পর্কটা আরো সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1677647174086299648?t=AcNVJZVbltp5QjnS-kI8Xw&s=19
ভাইয়া, সত্যি বলতে কোথাও দীর্ঘদিন পরে গেলেই তার কদর কিন্তু বেশি থাকে।আর আপনার আত্মীয়ের বাড়িতে দেখছি অনেকগুলো খড়ের গাদা রয়েছে।তাছাড়া গ্রাম্য পরিবেশে সময় কাটানোর মজাই আলাদা, দারুণ সময় কাটিয়েছেন সবমিলিয়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু এটা একদম প্রান্তিক অঞ্চলে অবস্থিত গ্রাম। তাছাড়াও আমাদের সময়টা বেশ ভালই কেটেছে।
ভাইয়া আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যাতায়াত না থাকলে সম্পর্কটা কেমন যেন মলিন হয়ে যায়। আর তাই যদি একটু সময় সুযোগ করে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যাতায়াত করা যায় তাহলে সেই সম্পর্কটা খুবই মধুর হয়। তবে বর্তমানে আমরা সকলেই যেন বিভিন্ন কর্ম ব্যস্ততার সাথে জড়িত থাকার কারণে, সকল আত্মীয়স্বজনের বাসায় যাওয়া সম্ভবও হচ্ছে না। যাক অবশেষে আপনি আপনার ভাবির বাসায় সময় সুযোগ করে যেতে পেরেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আর বড় ভাবির বাসায় গিয়ে মজার মজার সব খাবার খেয়ে, গ্রামীণ পরিবেশে সময়টা খুব সুন্দর কাটিয়েছেন এটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বেশ বুঝতে পারছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, দীর্ঘদিন পরে আত্মীয়ের বাড়িতে আপনার কাটানো সুন্দর সময় টুকু আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আসলে সত্য কথা বলতে গেলে কি, আমার আসলে সব আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেই যেতে ইচ্ছা করে, তবে সময়ের অভাবে কিছুই হয়ে ওঠে না ভাই।
আসলে ভাইয়া দীর্ঘদিন পর কোন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গেলে অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করে । যেহেতু আপনি আপনার ভাবির বাবার বাড়িতে অনেকদিন পরে গিয়েছেন আপনার মনে হয় বেশ ভালই লেগেছিল । আসলে সবাই মিলে কোথাও একত্রে ঘুরতে গেলে সে সময়টা বেশ ভালই উপভোগ করা যায় । বেশ ভালো ছিল ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আসলেই সময়টা ঐদিন আমাদের বেশ ভালই কেটেছে আর তাছাড়া খাতির যত্ন ছিল বেশ ভালই।
দীর্ঘদিন পরে গ্রামে গিয়ে বড় ভাবি ও অন্যান্য আত্মীয়দের সাথে কাটানো মুহূর্তটুকু নিশ্চয়ই আপনার জন্য খুবই আনন্দের ছিল। আর বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট অনুসারে মাংস বাদে আপনার খেতে চাওয়া খাবার গুলো নিঃসন্দেহে রুচি সম্মত এবং স্বাস্থ্যসম্মত। যাহোক, অনেকদিন পরে বড় ভাবির বাড়িতে গিয়ে কাটানো সময়ের কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাই এই সময়টায় মাংস খেতে খেতে অবস্থা খুব খারাপ, তাই ইচ্ছে করেই মাংসের বিকল্প তরকারি গুলো খেয়েছিলাম।