বিড়ম্বনার শিকার
সেদিন মূলত গিয়েছিলাম আমাদের এখানে যারা ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করে তাদের কাছে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে,আমি কেন সেখানে গিয়েছিলাম। আমি বিগত সময়েই সম্ভবত বলেছিলাম যে, আমার জ্যাঠা শশুর অসুস্থ হয়তো তাকে যেকোনো সময় দেশের বাহিরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া লাগতে পারে। সেই সূত্রেই হয়তো তাদের কাছে গিয়েছিলাম কিছু তথ্য জানার জন্য।
আপনি যে জায়গাতেই যান না কেন, হোক সেটা সরকারি বা প্রাইভেট পাবলিক সার্ভিস কেন্দ্রিক। যদি আপনি সহজে পয়সা খরচা না করতে চান, তাহলে সহজ তথ্যগুলো আপনার সামনে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হবে, যেটা অনেকটাই জটিল অঙ্কের মতো লাগবে। যার আসলে সহজে সমীকরণ মিলতে চাবে না।
আমার ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ আমি উন্মুক্ত তথ্য নিতে গিয়েছিলাম তাও আবার বিনা পয়সায়। তাই পরিস্থিতি ভিন্ন আকার ধারণ করেছিল।
আসলে এত উঁচু উঁচু দালান, তার ভিতরে রংবেরঙের ডিজাইন আর সাজসজ্জা করা। আর সেখানে কিছু কর্পোরেট লোকজন বসে আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন, তথ্য নিবেন কিন্তু পয়সা খরচা করবেন না, ব্যাপারটা কেমন জানি দেখায় না। আমি আসলে পয়সাটাই খরচা করি নি, তাই পরিস্থিতি কিছুটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল আরকি।
আমি আসলে ভেবেছিলাম যেহেতু পরামর্শটা উন্মুক্ত, তাই বিনা পয়সায় পরামর্শ নিতে গিয়েছিলাম। তবে তাদের উপস্থাপন দেখে অনেকটাই ভড়কে গিয়েছিলাম।
তাও যতটুকু সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম, আমি মনে করি এতোটুকুই আমার জন্য বিনা পয়সায় বেশি। যেমন তারা বলেছিল, আপনার পাসপোর্টের ফটোকপি, নাগরিকত্বের ফটোকপি, রঙিন ছবি, পেশার পরিচয় পত্র, আপনার বাড়ির বৈদ্যুতিক বিলের কাগজের ফটোকপি, ব্যাংক লেনদেনের স্টেটমেন্টের ফটোকপি ইত্যাদি।
এসব কথা শুনতেই বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে আর না জানি আরো বেশি কিছু শুনতে গেলে যে, কি হতো কেন জানে। তবে একটা বিষয় ভাবছি হয়তো তাদের কাছ থেকেই যদি পুরো ভিসা প্রসেসিং এর কাজগুলো করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করতাম তাহলে হয়তো পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে থাকতে পারতো।
যদিও এসব টুকটাক বিড়ম্বনার সঙ্গে আমি অনেক আগে থেকেই অভ্যস্ত, তাই এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাই নি। কারণ আমি জানি, ফ্রিতে কিছু পেতে হলে অনেকটাই ত্যাগ শিকার করতে হয়। তাই এসব আমার কাছে অনেকটাই দুধ ভাতের মত লাগে।
যেহেতু অল্প কিছু তথ্য পেয়ে গিয়েছি হয়তো বাকিটা মোটামুটি ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করলেই পেয়ে যাবো। যদি এই ভিসা করাই লাগে তাহলে মূলত কাগজপত্র সবগুলো রেডি করে নিয়ে, সেগুলো আবার অনলাইনে সাবমিট করতে হবে। যদি সেই গুলো অ্যাপ্রুভাল হয় তারপরে হয়তো এম্বাসি থেকে ডাক আসতে পারে এবং সেখানে গিয়ে ছোট্ট একটা ভাইবা হবে, তারপরে হয়তো কাঙ্ক্ষিত ভিসা পাওয়া যেতে পারে।
তবে যাই বলুন না কেন ভাই, ইন্টারনেট দেখুন আর যাই দেখুন না কেন, বাস্তবে মাঝে মাঝে একটু সব বিষয়ের অভিজ্ঞতা নিতে হয়। হয়তো ইন্টারনেটে সব কিছু যত সহজে আমরা দেখতে পারি, বাস্তবে এসবের আসল চিত্র ভীষণ উল্টো।
যাইহোক, ভিসা প্রসেসিং করার আগ্রহ যেহেতু প্রকাশ করেছি আর শুরুতেই যে পরিমাণ ধাক্কা খেয়েছি, না জানি ভিসা হাতে পাওয়া পর্যন্ত আরও কত কি দেখতে হবে কে জানে। তবে যত কিছুই হোক না কেন, প্রত্যেকটা ব্যাপারে অভিজ্ঞতা থাকা দরকার ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
ভিসা প্রসেসিং করার কাজগুলো অনেক ঝামেলার। আসলে বিনা পয়সায় যে তথ্যগুলো পাওয়া যায় সেটাই অনেক বেশি। তবে বিড়ম্বনার কিন্তু শেষ নেই। কেবল তো শুরু। যাইহোক ভাইয়া আপনার জেঠা শ্বশুর যেহেতু অসুস্থ তাই ভিসা প্রসেসিং এর কাজ দ্রুতই করতে হবে। তবে অনেক বিরম্বনা পোহাতে হবে ভাইয়া।
এই কথার সাথে একদম সহমত ভাই। আমাদের দেশের নিত্য দিনের চিত্র যেনো এটি। কেউ ফ্রি তে কোনো কিছুই দিতে চায়না। এমনকি তথ্য ও পাওয়া যায়না। ওরা নিজেদের কি ভাবে জানিনা ভাই। সব যায়গাতেই হয়রানি।
আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য, ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে যে বিনা খরচে কিছু হয় না।টাকাই প্রথম ও শেষ কথা।তবে আপনি বিনা খরচে যে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে বাস্তব আর ইন্টারনেটের মধ্যে পার্থক্য তো থেকেই যায়।আশা করি আপনার কাজ দ্রুত মিটবে,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের দেশ এমন একটি দেশ যেখানে বিনা পয়সায় কিছুই পাওয়া যায় না ইনফরমেশন নিতে গেলেও পয়সা খরচ করতে হয়। এসব ক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করাই ভালো। তাছাড়া ভিসা প্রসেসিং লোক না ধরে নিজে করতে গেলে অনেক বেশি জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় তা তো আপনি হারে হারে টের পাচ্ছেন। এই কাজগুলো টাকা দিলে খুব সহজেই হয়ে যায়। এটাই এখন আমাদের দেশের নরমাল নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাকা না দেওয়াটাই অনিয়মের মধ্যে পরে।
তাই তো দেখে বুঝতে পারলাম আপু। দিন যতো যাচ্ছে অভিজ্ঞতা ততো বাড়ছে। ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।