অপার্থিব

in আমার বাংলা ব্লগlast year

20230728_121403-01-01.jpeg

যেখানেই যাই না কেন বা আশেপাশে যাই দেখি না কেন, যেটা নজরে লেগে যায়, চেষ্টা করি সেটার আলোকচিত্র মুঠোফোনে বন্দি করে রাখার জন্য। এটা একপ্রকার নেশাতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। হয়তো তা সম্ভব হয়েছে সর্বদা মুঠোফোনটা কাছে থাকে বিধায়। তাছাড়া আরো অপ্রিয় সত্য কথা হচ্ছে, ছবিগুলো টুকটাক কাজে লাগে, তাই মুঠোফোনের গ্যালারিতে সেগুলোর জায়গা হয়।

গ্রীষ্মের কোন এক তপ্ত দুপুরে ছুটে গিয়েছিলাম সেই সুদূর সীমান্তবর্তী এলাকায় । গ্রামীণ জনপদের ভিতর দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে পিচঢালা সড়ক আবার কোথাও সড়কের দু পাশে ফসলের জমি। অনেকটা নতুন করে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে জমি গুলোতে । যতদূর চোখ যায় শুধু এরুপ দৃশ্য। আর মাথার উপরে নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের ভেলা।

সূর্যের প্রখরতা যদি খানিকটা কম থাকতো তাহলে হয়তো এমন দৃশ্য আরো ভালোভাবে উপভোগ করা যেত। প্রকৃতি হয়তো এমনই, যেন অপার্থিব সৌন্দর্যের পিছনে হালকা কিছু তিক্ততা রেখে দিয়েছে। তবে যাই বলুন না কেন, হয়তো গরমে কিছুটা কষ্ট হয়েছিল। তবে গ্রীষ্মের দুপুরের এমন সৌন্দর্য আমার চোখ দুটোকে যেন অনেকটাই জুড়িয়ে দিয়েছিল।

হাত বাড়ালেই তো ছুঁয়ে দেখা যায় না বা বোঝা যায় না এই সৌন্দর্যের গভীরতা কতখানি। যেহেতু মুঠোফোন আছে তাই সুযোগ বুঝে ঝটপট বন্দি করে রেখেছিলাম এমন দৃষ্টিনন্দন প্রতিচ্ছবি। আর এই বেলায় যখন এমন প্রতিচ্ছবি নিয়ে দু-চার কথা লিখতে বসেছি, তখন হয়তো হৃদয়ে আমার হালকা শীতলতা বয়ে যাচ্ছে।

কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-এর অমলকান্তি কবিতার
অমলকান্তি কে যেন বারবার খুঁজে পাচ্ছিলাম। কখন যে অমলকান্তির জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ফেলেছি তা হয়তো বুঝে উঠতেই পারিনি। চারিপাশের এই বাঁধাধরা নিয়মকানুন যেন আমাকে বিষিয়ে তুলেছে।

আমার কিচ্ছু দরকার নেই, কোন আকাশচুম্বী চাহিদাও নেই। তবে ঐ নীল আকাশের বুকে ভেসে যাওয়া সাদা মেঘের ভেলাতে যদি আমাকে ভাসিয়ে দেওয়া যেত, তাহলে হয়তো আফসোস থাকতো না।

কেননা এই ঘুণেধরা সমাজব্যবস্থা, অসুস্থ প্রতিযোগিতা, বিকৃত মানসিকতা, শিরদাঁড়াহীন অবস্থাতে, আমি বড্ড হাঁপিয়ে উঠেছি।

20230728_152306-01.jpeg

20230728_152303-01.jpeg

20230728_122045-01.jpeg

20230728_121407-01.jpeg

20230728_121348-01.jpeg

লোকেশনঃ জয়পুরহাট
ডিভাইসঃ Samsung Galaxy A04s

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last year 

আসলেই ভাই সুন্দর কোনো কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি না করে থাকা যায় না। ফটোগ্রাফি করার পর মনের মধ্যে অন্য রকম একটা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। মাঝে মধ্যে মোবাইলের গ্যালারিতে, তুলে রাখা ছবি গুলো দেখতেও বেশ ভালো লাগে। আপনি দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রকৃতির লীলাভূমি দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গেল। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা খুবই জঘন্য। পৃথিবীতে টিকে থাকা আসলেই মুশকিল হয়ে গিয়েছে। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

 last year 

বন্দী জীবন কাটাতে কাটাতে মানুষ একটা সময় হাঁপিয়ে পড়ে তাই আমাদের উচিত এই বন্দী জীবন থেকে কিছুটা সময় বের করে গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরতে যাওয়া। কারণ একমাত্র গ্রামীণ পরিবেশে গেলেই মনটা সব থেকে বেশি ভালো হয়ে যায়। আমারও ইচ্ছা হয় এই নীল আকাশের বুকে পাখি হয়ে ডানা মেলে উড়তে। পৃথিবীতে এই মুঠোফোন সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা অনেক কিছু ছবি করে স্মৃতি হিসেবে রাখতে পারি মুঠোফোনের গ্যালারিতে। প্রকৃতির ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাই, আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।

 last year 

মুঠু ফোন দিয়ে ছবি তোলা যেন এখন আমাদের এক প্রকার নেশা এবং পেশা দুটোতেই পরিণত হয়ে গেছে। ভাইয়া আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে গ্রামের তপ্ত দুপুরের কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। অসাধারণ ছিল প্রতিটি ফটোগ্রাফি।

 last year 

আপনারও যে ফটোগ্রাফি করা নেশা, ব্যাপারটা জেনে বেশ ভালো লাগলো।

 last year 

সমাজের মানুষ যেমন একদম খাঁটি হয় না তেমনি প্রকৃতির মাঝে ও কোনো না কোনো ত্রুটি থাকবে।তবে তার অনেকাংশেই দায়ী এই ঘুণেধরা সমাজব্যবস্থা।প্রচন্ড গরমে আপনিও সীমান্তবর্তী এলাকার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58751.99
ETH 2642.76
USDT 1.00
SBD 2.47