দীর্ঘদিন পর
শেষ দেখা সম্ভবত ২০০৮ সালে হয়েছিল তারপরে বলতে গেলে আর দেখায় হয়নি। এবার যখন সরাসরি দেখা হল, তখন ২০২৩ সাল চলছে। কত লম্বা একটা সময়, তাই না ।
বছর হিসেব করে দেখলে সম্ভবত ১৫ বছর পর দেখা । যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে রঙিন স্ক্রিনের উপর ভাসমান ওর ছবিগুলো দেখেছিলাম, তবে সেটাও স্বল্প বিস্তর। যাই বলুন না কেন, শৈশবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আলাদা একটা অদ্ভুত টান কাজ করে। যেটা দেখা যায় না বা প্রকাশ করা যায় না,শুধু অনুভব করতে হয় । দীর্ঘ ১৫ বছর পর, আজ যখন হঠাৎ করে ওর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল, তখন হয়তো সেই অদ্ভুত অনুভবের সঞ্চারণ দুজনের মাঝেই হচ্ছিল ।
সন্ধ্যের ঠিক আগ মুহূর্তেই মেসেঞ্জারে খুদে বার্তা। তাতে পরিস্কার লেখা, আমি তোর এলাকায় আসছি, তোর ঠিকানাটা দে । শৈশব জীবনের মানুষগুলোর কাছ থেকে যখন হুটহাট এমন বার্তা পাওয়া যায়, সেটা অনেকটাই সুখকর হয়ে যায়। বেশ অস্থিরতা বোধ কাজ করছিল নিজের মাঝে । কোন রকমে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম, বাসস্ট্যান্ডে ভিড়ের মাঝে আবারো খোঁজার চেষ্টা।
ওর শুধু শারীরিক গঠনটার একটু পরিবর্তন হয়েছে,তবে উচ্চতা আর বাড়েনি। সেটা ঠিক আগের মতই আছে। আচ্ছা, শৈশবকালে যাকে দেখেছিলাম, এখনো তো তাকেই দেখছি। সেই চিরচেনা মুখ আর একই রকম গড়ন। বুঝতে পারলাম, ও আমার বন্ধু মুন।
দু'ঘণ্টার যাত্রা বিরতিতে নেমেছিল ও আমার এলাকায়। আর এই দু'ঘন্টা সময় যে, কিভাবে কেটে গেল কোনভাবেই যেন বুঝে উঠতে পারলাম না। ওর আসলে গন্তব্য ওর কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে। সময় আসলে ওকে বেশ ভালোই পরিবর্তন করে ছেড়েছে। কর্মের জন্য দীর্ঘপথ ছোটাছুটি করছে ।
গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম আর বসে থেকে সেই ফেলে আসা জীবনের মুহূর্তগুলো দুজন মিলে যখন একটু নেড়েচেড়ে দেখার চেষ্টা করছিলাম, বিশেষ করে খোলাহাটি ক্যান্ট পাবলিকের স্মৃতিময় দিন গুলোর কথা। তখন যেন দুজনের কাছেই পরিবেশটা বেশ হাস্যরসপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল । বড্ড দুরন্ত ছিলাম আমরা । কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে , চাইলেই কি আর সেগুলো ভোলা যায় ।
জীবন তো এভাবেই চলছে হয়তো বাঁকে বাঁকে অনেকের সঙ্গেই দেখা হয়ে যাচ্ছে আর মাঝে মাঝে স্মৃতিচারণ। তোর খবর কী, এইতো ছুটছি এখনো ১৩ ঘন্টা যাত্রাপথ বাকি।
ব্যস্ততা ওকে ঘায়েল করে ধরেছে । দিন যত গড়িয়ে যাচ্ছে, সবাই যেন ব্যস্ততার বোঝা কাঁধে নিয়ে বেশি বেশি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এতকিছুর মাঝেও যখন চেনা মানুষ গুলোর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, টুক-টাক কথা হয় তখন সেইসব মুহূর্তকে বড্ড বেঁধে রাখতে ইচ্ছে করে।
এমন সন্ধ্যে আবারো কবে আসবে, এমনভাবে আবারো কবে চায়ের টেবিলে স্মৃতির অ্যালবাম বিছিয়ে ফেলা হবে,তা হয়তো কেউ জানে না।
তবে ঘুরেফিরে সময়গুলো আবারো আসুক,ততক্ষণ পর্যন্ত না হয়, ভালো থাকিস আর মনে রাখিস আমাকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ছোট বেলার বন্ধুত্ব বিশেষ করে স্কুলের বন্ধুদের স্মৃতি সহজে ভোলা যায় না। আর যদি হঠাৎ দেখা হয় তাহলে কি যে আনন্দ লাগে তা লিখে বোঝানো অসম্ভব। ১৫ বছর পর বন্ধুর সাথে দেখা ।সেই সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটানো ,তা প্রকাশ করা কঠিন। ছোট বেলার বন্ধুর সাথে সুন্দর কিছু মুহুর্ত কাটানোর অনুভুতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার শৈশবের বন্ধুর সাথে খুব চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন। আসলে ১৫ বছর পর দেখা এটা আসলে কেমন অনুভূতি সেটা কাউকে ভাষায় বলে বোঝানোর নয়। যাই হোক অনেক ভালো একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
যথার্থ বলেছেন ভাই যে সময় যেন সবাইকে ঘায়েল করে নিয়েছে ৷ আসলে জীবন মনে হয় এটাই ৷ অনেক ভালো লাগলো যে আপনার শৈশব বেলার বন্ধুর সাথে দীর্ঘ ১৫ বছর দেখা ৷ তবে মানুষটি সত্যি অনেক লম্বা ৷
আসলে ভাইয়া বন্ধু জীবন অনেক হয়, তবে শৈশবের বন্ধুর মতো নয়। আমার মনে হয় শৈশবের বন্ধু সব চেয়ে বড় বন্ধু। আর শৈশবের বন্ধুর সাথে যদি হুট করে এভাবে দেখা হয়ে যায়, এর চেয়ে আনন্দ মনে হয় আর নেই। এই আনন্দ ঘন সময়টা মনে হয় অনেক তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।যাইহোক দুই বন্ধু মিলে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
স্কুল জীবনের বন্ধুত্বগুলো এমনই হয়! খুবই ঘনিষ্ঠ! আমার মনে হয় না সেটা কলেজ বা ভার্সিটি লাইফে গিয়ে এমন বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে কারো সাথে! দীর্ঘ ১৫ বছর পর আপনাদের দেখা হলো! কতটা দীর্ঘ সময় কেটে গেল মাঝ দিয়ে! কর্মব্যস্ততা আজ আমাদেরকে কোথায় নিয়ে দাড়ঁ করিয়েছে! চাইলেই কি আর স্কুলের সেই লাইফটাতে ফিরে যাওয়া সম্ভব! সবই তো স্মৃতি হয়েই রয়ে গেছে! তবে বেচেঁ থাকুক বন্ধুত্ব এমনটাই প্রত্যাশা করি 🌼
দীর্ঘ 15 বছর পর শৈশবকালের সেই বন্ধুটির সাথে মিলন মেলার গল্পটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। আসলে ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে শৈশব স্মরণ করা সত্যিই একটি দুর্লভ মুহূর্ত। তবে দুজনের ছবি দেখে মনে হচ্ছে আপনি ওনার চেয়ে অনেক ছোট।কিছু মনে করবেন না হাহাহা।আপনার বন্ধু দেখতে বেশ উঁচু এবং লম্বা।দুটি ঘন্টা খুব সুন্দর ভাবে কাটালেন কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারলেন না এরকমই হয় বন্ধুত্বের আলাপনের মুহূর্তগুলো। আপনাদের দুজনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।♥♥
আসলেই শৈশবের বন্ধুদের সাথে দেখা হলে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে।১৫ বছর পর দেখা অনেক সময়, নিশ্চয়ই গল্প পুরোপুরি শেষ করতে পারেন নি।এত বছর পর দেখা আসলেই কেমন যেন একটা লাগে, মনে হয় আমি কি আগের সেই মানুষ কে দেখছি কত পরিবর্তন। যাই হোক ভালো লাগলো দুই বন্ধুর দেখা করার পোস্ট পড়ে।ধন্যবাদ
অবশ্যই কোন না কোন ভাবে দেখা হয়ে যাবে। ১৫ বছর পরে বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। বন্ধুত্ব গুলো সব সময়ই অদ্ভুত রকমের হয়। আপনাদের বন্ধুত্ব যুগ যুগ ধরে ঠিকে থাকুক এই কামনাই করি। আপনাদের বন্ধুতের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ব্যস্ততা আমাদের সবাইকে ঘিরে ধরেছে। তাই তো পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করা হয়ে ওঠেনা। কিন্তু শৈশবের বন্ধুদের প্রতি সত্যিই আলাদা রকমের টান রয়েছে। হঠাৎ করে দেখা হলেও মনে হয় যেন এই তো সেদিন দেখা হয়েছিল। আসলে অনেক বছর পর হয়তো তাদের সাথে দেখা হয়। কিন্তু সেই ভালোবাসা আর মায়া আগের মতই থেকে যায়। আপনার শৈশবের বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছে এবং অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
দু'ঘণ্টার যাত্রা বিরতিতে দীর্ঘ ১৫ বছর পর শৈশবের বন্ধুর সাথে দেখা করাটা সত্যি অন্যরকম ভালো লাগার এক মুহূর্ত। আবার তার সাথে সেই শৈশবের স্মৃতিচারণ করা এবং চায়ে চুমুক দিয়ে আড্ডায় মেতে উঠা এটা যেন জীবনের এক সোনালী সময়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শৈশবের বন্ধুর সাথে কাটানো সময়ের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।