সু-বুদ্ধির উদয় হোক
সামাজিক ব্যাধি নিয়ে আমার খুব একটা লিখতে ইচ্ছে করে না। বলতে পারেন, এসব বিষয় আমাকে খুব একটা টানে না। তারপরেও যেহেতু আজকাল পরিবেশ প্রকৃতি বিষয়গুলো নিয়ে একটুই বেশিই ঘাঁটাঘাঁটি করি, তাই যখন ফলাফলে গিয়ে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করি, তখন আসলে অনেকটাই মর্মাহত হয়ে যাই।
বিশেষ করে সামাজিক অন্যান্য ব্যাধির কথা বাদই দিলাম, সেগুলো তো ক্যান্সারের মতো। সেখান থেকে উপশম হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই বললেই চলে। যারা প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে, তারাই আসলে ক্যান্সার ছড়াচ্ছে।
খুবই ব্যথিত হয়ে যাই, পরিবেশ প্রকৃতির উপর যখন মানবসৃষ্ট নির্যাতন দেখি ঠিক তখন। ইচ্ছে করেই কিছু বলতে ইচ্ছে করে না, আমি জানি এসব বলে কখনো সমাধান পাওয়া যাবে না। যদি না মানুষ ভিতর থেকে পরিবর্তন না হয় বা সু-বুদ্ধির উদয় না হয়। এই রাস্তাটাতে প্রায়ই হাঁটা চলাফেরা করি, অনেকটা নিজের মতো করে। আবাসিক এলাকাগুলোতে তো গাছপলার চিহ্নমাত্র নেই। এদিকটাতে আসলে তাও গাছপালা চোখে পড়ে, সবুজ ভাব একটু চোখের সামনে ধরা দেয়। তবে রাস্তার দুপাশের সবুজ ভাব ছড়ানো গাছপালার বড্ড করুণ দশা।
এভাবে চলতে থাকলে হয়তো এদিক থেকেও আর সবুজ ভাব দেখা মিলবে না। রাজনীতির মত সূক্ষ্ম পর্যালোচনা আমার মাথায় ঢোকে না, তবে আমি এতোটুকুই বুঝি, রাজনীতি হয়তো হয় মানুষের কল্যাণের জন্য। তবে শুধু এই ছোট্ট একটা ব্যাপার দেখেই আমি অনেকটাই আহত হয়ে গিয়েছে, না জানি অন্যান্য অবস্থা আরো কতটা ভয়াবহ।
দেখুন, আমি এদিকটাতে প্রায়ই আসি তাই হয়তো ব্যাপারটা আমার চোখে ধরা পড়েছে । তবে একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন তো, এই সময়ে এসেও এই কার্যকলাপ গুলো করা কতটা শোভনীয়।
ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন গুলো না থাকলে হয়তো রাস্তাগুলোর চেহারা অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে যেত। আচ্ছা এখন প্রশ্ন, এই চিত্র কি শুধুমাত্র এখানকার নাকি সারা বাংলাদেশের একই।
প্রকৃতি তো আর এলিয়েন ধ্বংস করে না, প্রকৃতি ধ্বংসের জন্য মানুষই যথেষ্ট।
এখন ২০২৩ সাল চলে, যুগ কতদূর এগিয়ে গিয়েছে আর আমরা গাছে পেরেক মারাতেই পড়ে আছি। চাইলেই শুভেচ্ছা ভিন্নভাবে জানানো যায়, এ যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বড্ড মুশকিল। শুভেচ্ছা বিনিময় হোক সোশ্যাল মিডিয়াতে, পরিবেশ প্রকৃতির উপর এতো নির্যাতন করে নয়।
সু-বুদ্ধির উদয় হোক সকলের।
ভুল ত্রুটি মার্জনীয় 🙏
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1701538985586360456?t=5X8LTLvHMsSSx1WvEZkIfg&s=19
আসলে ভাইয়া দারুন একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি লিখেছেন। আসলে পরিবেশের এই দৃষ্টিকটু আচরণ আমার চোখেও পরিলক্ষিত হয় ।পোস্টার ব্যানারে গাছগুলো যেন ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় ।এখনকার দিনে পোস্টার ব্যানারের কোন প্রয়োজন আসলে আদৌ আছে কিনা আমারও তাই মনে হয়। তবে সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ কাজগুলো করলে প্রকৃতি অন্তত বেঁচে যায় । যাইহোক বেশ ভালো ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু আমার ব্যাপারটা বুঝতে পারার জন্য, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাই বেশিরভাগ মানুষের যা অবস্থা এখন, একমাত্র নিজেকে নিয়ে ভাবা ছাড়া অন্য কোনো কাজ নেই। তারা তো মানুষের কথাই চিন্তা করে না,গাছের কথা কি ভাববে তারা। গাছেরও প্রাণ আছে সেটা তারা জেনেও মানে না। তাইতো অহেতুক গাছের মধ্যে পেরেক মেরে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়। আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রচার প্রচারণার জন্য গাছপালা, বিল্ডিং, বিদ্যুতের খাম্বা কোনো কিছুই বাদ দেয় না। আর কোরিয়ার জাতীয় নির্বাচনের সময়ও তেমন জোরালো কোনো প্রচার প্রচারণা দেখিনি। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
কোথায় আমাদের দেশ আর কোথায় কোরিয়া। আমরা তো এখনো গাছে পেরেক মারাতেই পড়ে আছি, আসলেই সু-বুদ্ধির উদয় হওয়া খুবই জরুরী ।
রাজনীতির অবস্থা আর কি বলবো ভাইয়া! আমি বরাবরই তার বিপক্ষে। যেভাবে ব্যানার ফেস্টুন টাঙিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করছে, কয়জনই বা এ শুভেচ্ছা নিচ্ছে! আর পরিবেশের ক্ষতিটাই যে করছে বেশি। সোস্যাল মিডিয়ার যুগে এভাবে শুভেচ্ছা বিনিময়ের কোনো মানে হয় না। আমিও বলবো, এসব মানুষের সুবুদ্ধির উদয় হোক।
আসলেই মানুষের সুবুদ্ধির উদয় হওয়া দরকার এবং তাছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধি হওয়া বড্ড জরুরী।
ভাইয়া, প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। সত্যি বলছি ভাইয়া, আপনার পোস্ট আমি যতই পড়ি, ততোই আমার কাছে ভালো লাগে। এত সুন্দর সাবলীল কথাগুলো কিভাবে যেন গড়গড় করে লিখে ফেলেন তা মাথায় আসেনা। সত্যি ভাইয়া আপনার পোস্ট লেখার ধরন, ও পোষ্টের ভাষা পড়ে মন ভরে যায়। যাইহোক এবার আসি মূল কথায়, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই গাছের এমন বেহাল দশা দেখতে পাওয়া যায় ভাইয়া। মনে হচ্ছে সবুজ শ্যামলের এই গাছগুলো রাজনীতিবিদদের জন্য ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।ব্যানার,পোস্টার,ফেস্টুন আর পেরেকের নির্যাতনে গাছগুলো যেন অসহায় হয়ে পড়েছে। তাই আপনার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই, সকলের সুবুদ্ধির উদয় হোক।
আসলেই ভাই সুবুদ্ধির উদয় হওয়া বড্ড জরুরি। এভাবে চলতে থাকলে প্রকৃতি তো ধ্বংস হয়ে যাবে।
ভাইয়া রাজনৈতিক ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুনের কথা আর কি বলবো। সারা বাংলাদেশের একই অবস্থা। কিছু আহম্মক,অশিক্ষিত,ছাগল মার্কা মানুষ এসব কাজ গুলো করে। মনে করে এগুলো করলে তাদের পরিচিতি বাড়বে। এগুলো করলে আলাদা ভাবে করো,গাছের উপর অত্যাচার কেন..? মাঝে মাঝে মন চাই তাদের শরীরে একটি পেরেক মেরে দেখিয়ে দেয় কত ব্যাথা লাগে। ধন্যবাদ।