স্মরণীয় মুহূর্ত
ঘটনাটা কমপক্ষে এখন থেকে কমপক্ষে দুই-তিন সপ্তাহ আগের। মূলত ঐদিন গিয়েছিলাম গরুর হাটে। তার অবশ্য যথাযথ কারণ ছিল। আমার শ্বশুর সাম্প্রতিক সময়ে গরু কিনেছে, খামার করার উদ্দেশ্যে।
যেহেতু আমি এবার গ্রামে গিয়ে দীর্ঘ অনেকটা দিন ছিলাম তাই সেই সুবাদেই আমার নিজেরও হাটে গিয়ে, গরুর দেখে কেনার একটা ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমার এই অভিজ্ঞতা স্মৃতির পাতায় দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো।
প্রথমদিন আমরা গিয়েছিলাম জয়পুরহাট জেলার হোপেরহাট নামক স্থানে, তবে সেদিন হাটে যাওয়ার সময় আকাশের অবস্থা বেশ পরিস্কার থাকলেও, হাটে পৌঁছানোর পরে আকাশের চিত্র পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। ঐদিন বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছিল। ভেবেছিলাম গরু দেখাই হবে না, তবে বৃষ্টি থামতেই দুপুরের পরে হাট বসে গিয়েছিল এবং প্রচুর গরু হাটে উঠেছিল। তবে ঐদিন দুঃখের বিষয় গরু কিনতে পারিনি। কেননা দাম আমাদের বাজেটের বাইরে চলে যাচ্ছিল।
অতঃপর সেদিন ফিরে এসেছিলাম এবং অপেক্ষা করছিলাম রানীগঞ্জের হাটের জন্য। রানীগঞ্জের হাট আমাদের এই উত্তর অঞ্চলের মধ্যে সবথেকে বড় গবাদি পশুর হাট। হাটটা এতটাই বড় যে, এ হাটে আগত লোকজনদের খাওয়া-দাওয়ার জন্যই কমপক্ষে একশোর উপরে খাবারের হোটেল আছে।
বিশাল বড় মাঠের ভিতরে এই হাট অবস্থিত। যতদূর চোখ যাবে শুধু গরু আর গরু। এখানে গরুর বিভিন্ন ক্যাটাগরি করে রাখা আছে। দেশি-বিদেশি, ষাঁড় ও অন্যান্য প্রজাতি ভেদে। মানে আপনি যে গরু কিনতে চান, সেই গরুর সেকশনে গেলেই আপনার পছন্দের গরু আপনি পেয়ে যাবেন। মূলত আমাদের মত যারা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের নজর দেশী গরুর দিকেই। খামারের জন্য যেহেতু কেনা হচ্ছে তাই একটু দেখে শুনেই কেনা হয়েছিল।
এই হাটে যে শুধুমাত্র গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ওঠে তা কিন্তু না। মূলত যত রকম গবাদি পশুপাখি আছে সব এখানে ওঠে। আর এই হাটে ঢোকার রাস্তাগুলো এতটাই পরিমাণ ব্যস্ত থাকে যা আপনি চিন্তা করতে পারবেন না। কমপক্ষে তিন-চার কিলোমিটার আগে থেকে হাটে নিয়ে আসা গবাদি পশুর বহন করা গাড়ি দিয়ে ভর্তি। আর এত পরিমান লোকের সমাগম, যা দেখলে আপনার এমনিতেই মাথা ঘুরে যাবে।
অবশেষে আমরা অনেক কষ্ট করে তিনটে দেশি গরু কিনেছি। তবে সেদিন এত পরিমান রোদ ছিল যে, রোদে আমার অবস্থা একদম প্রচুর কাহিল হয়ে গিয়েছিল। তবে তারপরেও আমার ভিন্ন রকম একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। যা আসলে বাস্তব প্রেক্ষাপটে খুবই দরকার ছিল আমার জন্য। অবশেষে ছোট পিকআপ ঠিক করে ক্রয় করা গরু গুলো নিয়ে আমি আর আমার শ্বশুর সেই সুদূর রানীগঞ্জের হাট থেকে আমাদের গ্রামে ফিরেছিলাম।
এটা অবশ্যই আমার জন্য অনেক স্মরণীয় একটা মুহূর্ত হয়ে থাকবে। কারণ ঐদিন এই গরু কেনার জন্য যে পরিমাণ কষ্ট করতে হয়েছিল তা যেন আমি কোনভাবেই ভুলতে পারবো না। তবে একদিক থেকে সুখকর বিষয় আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম ঠিক তেমনটাই গরু কিনতে পেরেছিলাম। আমার শ্বশুরমশাই বেশ খুশি হয়েছে,কারণ তার স্বপ্নের খামারের জন্য, সে যে পরিশ্রম করে পয়সা জমিয়েছিল, তা দিয়ে যখন খামার বাস্তবায়ন হচ্ছে , তখন ভালোলাগার ব্যাপারটা একটু অন্যভাবেই বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1689942043869741056?t=v26Lt-NVdAsIjDWUIdaX6g&s=19
একটু কষ্ট হলেও যে পছন্দের গরু কিনতে পেরেছেন এটাই বড় বিষয়। তবে আপনার বেশ কষ্ট হয়েছে তা আপনার তোলা ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। নতুন একটি অভিঙ্গতা অর্জন হয়েছে আপনার, যা হয়তো কখনো উপকারে আসতে পারে।
একটু না ভাই, বেশ ভালোই কষ্ট হয়েছে। আর আমি মনেকরি আমার এই অভিজ্ঞতাটা মনে থাকবে বহুদিন।
ভাইয়া এমন দিন স্মরণীয় করে রাখার মতো।হাঁটটি আসলেও অনেক বড়।সত্যি আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। তবে আপনার কষ্ট হয়েছে তা ছবি ছবিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে। তবে আপনার একটু খারাপ লাগলেও পছন্দ মতো গরু কিনতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এটাই আসলে আনন্দের ব্যাপার, শেষমেষ নিজের পছন্দমত গরু কিনতে পেরেছি, তাতেই বেশ ভালো লেগেছে।
যদিও কখনো পশু বিক্রির হাটে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে মনে হচ্ছে এই হাট গুলো অনেক ব্যস্ত হয়। আর অনেক সময় পশুর দাম সাধ্যের বাইরে হওয়ার সময় অনেকে কিনতে পারেনা। যাই হোক দেখেশুনে দেশি গরু কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেলাম ভাইয়া।
পৃথিবীর ভিতরে যে আরও একটা পৃথিবী থাকতে পারে, সেটা হয়তো পশুর হাট বা মাছ বাজারে গেলেই বোঝা যায়।
রানীগঞ্জ গরুর হাটে আগত লোকজনদের খাবারের জন্য ১০০ হোটেল রয়েছে কথাটি শুনেই বুঝতে পারছি ভাইয়া, এই গরুর হাটে মানুষের কি রকম ভীড় হতে পারে। আর এই ভিড়ে ও দুপুরের রোদে গরু কেনার মুহূর্তটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এরকম উপচে পড়া ভিড়ে পছন্দ সই গরু কিনতে পারার অভিজ্ঞতাটাও কিন্তু দারুন ছিল মনে হচ্ছে। যেহেতু এই হাটে গরু ও মানুষের প্রচন্ড ভিড় ছিল সেই সাথে ছিল গরমের তীব্রতা তাহলে তো মাথা ঘোরারই কথা। যাক অবশেষে এত কষ্ট করে হলেও পছন্দ সই তিনটি গরু কিনতে পেরেছেন এটা খুবই স্বস্তির বিষয়। ভাইয়া আপনার শশুরের স্বপ্নের খামার বাস্তবায়ন হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনাদের সেই স্বপ্নের খামারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঐদিন আসলেই প্রচুর গরম ছিল আর তার ভিতরে এত লোকজনের সমাগম ছিল, যাতে আমার অবস্থা অনেকটাই নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল।
তাহলে শেষ মেষ পছন্দ মত গরু কিনেই নিলেন। আর আপনার শ্বশুর মশাইয়ের একটি স্বপ্ন পূরণও হলো। তবে এখনকার কথা আর কি বলব। আকাশের যে অবস্থা । এই মেঘ আর এই বৃষ্টি। এর মধ্যে এমন একটি হাটে ঘুরে ফিরে গরু কিনা তা কি আর কম কষ্টের কথা।
আসলে আমার শ্বশুর মশাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ,তাতেই আমি খুশি ।
রানীগঞ্জের হাট তো দেখছি বিশাল বড়। কমপক্ষে একশো খাবার হোটেল রয়েছে সেই হাটে, শুনে কিছুটা অবাক হলাম। গরুর হাটে ঘুরতে খুব ভালো লাগে আমার। কোরবানির গরু কিনতে তো আমি মিনিমাম ৫/৬ দিন হাটে যাই। যাইহোক শেষ পর্যন্ত তিনটি দেশী গরু কিনতে পেরেছেন আপনারা, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। তবে তিনটি গরুর দাম কত নিয়েছে, সেটা জানতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগতো। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এটা সত্য রানীগঞ্জের হাট আসলেই বেশ বড়। এবং আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আসলে ভোলার মত না।