বন্যার আশঙ্কা

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

এমনিতেই আমাদের শহরটা খুবই ছোট। বলা যায় চতুর্দিকে দিকে করোতোয়া নদীর প্রশাখা ঢুকে গিয়েছে। তাছাড়াও শহর থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই শহর রক্ষা বাঁধ দেওয়া আছে। তবে সঠিকভাবে নদী শাসন নেই, যার কারনে নদীর অবস্থা হয়ে গিয়েছে নাজুক।

এছাড়া প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা, যার কারনে শহর রক্ষা বাঁধের অবস্থা বড্ড ভয়ানক, যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে বড় দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। আসলে এমন চিত্র সারা দেশের, বলা যায় কোন জায়গাতেই নদীর সুশাসন নেই। ভূমি দস্যুদের কাছে সবকিছু যেন জিম্মি হয়ে গিয়েছে।

20230930_170731-01.jpeg

20230930_170847-01.jpeg

20230930_170906-01.jpeg

20230930_170924-01.jpeg

20230930_171047-01.jpeg

20230930_171142-01.jpeg

20230930_172129-01.jpeg

20230930_172134-01.jpeg

20230930_172156-01.jpeg

20230930_172202-01.jpeg

20230930_172827-01.jpeg

20230930_173043-01.jpeg

20230930_173106-01.jpeg

20230930_173646-01.jpeg

20230930_173716-01.jpeg

20230930_173742-01.jpeg

উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে ক্রমাগত পানি ঢুকে পড়েছে এই সময় আমাদের এদিকে। তিস্তা ব্যারেজ তো অনেক আগেই খুলে দিয়েছে। বিপদসীমার প্রচুর উপর দিয়ে আশেপাশের নদ-নদী গুলোতে ভীষণ স্রোতে পানি বইছে। যার কারণে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে ফসলের মাঠ, নদীর তীরের গ্রাম। সব মিলিয়ে অসময়ে বন্যা আশঙ্কা জনজীবনে এক ভীতিকর অবস্থা তৈরি করেছে এবং সাধারণ মানুষ পড়ে গিয়েছে বেশ বিপদে।

যদিও আমরা যে জায়গাটাতে থাকি, সেখানে এখনো পানি আসেনি। তবে শহর রক্ষা বাঁধ যদি কোনভাবে ভেঙে যায় বা পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই ধারা যদি আরো কয়েকদিন চলমান থাকে, তাহলে আমাদের বাসার সামনে পানি আসতে খুব একটা সময় লাগবে না।

যাইহোক সেদিন যখন বন্যা কবলিত স্থানগুলো নিজের চোখে দেখতে গিয়েছিলাম, তখন সেখানকার মানুষের জীবনযাপন দেখে অনেকটাই ব্যথিত হয়ে গিয়েছিলাম। এখানকার মানুষগুলোকে বড্ড সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। যদিও ইতিমধ্যেই তারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশেপাশের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে স্থান নিয়েছে, তবে যাই বলুন না কেন নিজের বাড়ির মত নিরাপদ আশ্রয় তো আর আশ্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যাবে না। কতটা পরিমাণ গাদাগাদি করে একটু আশ্রয়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে এই সাধারণ মানুষগুলোকে থাকতে হচ্ছে তা আসলে বলার বাহিরে।

যেহেতু বন্যার আশঙ্কা করাই যাচ্ছে আর তাছাড়া ইতিমধ্যে অনেকগুলো জায়গা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে, তাই মূলত এক্ষেত্রে সচেতনতা ও মানবিকতা বৃদ্ধি ছাড়া আর কোন কিছুই করার নেই। তবে এর মাঝেও একটা অপ্রিয় সত্য কথা বলে দেই, কিছু মানুষ মূলত এইরকম অবস্থার জন্য মুখিয়ে থাকে।

কারণ এই সময়ে মানুষের অসহায়ত্বের অবস্থার কথা বিবেচনা করে যে পরিমাণ ত্রাণ ও ফান্ড আসে, তা আসলে সেই সকল সুযোগ সন্ধানী মানুষই বেশিরভাগ ভক্ষণ করে ফেলে এবং হালকা কিছু অসহায় মানুষদের দিয়ে দেয়। এমন অবস্থা পুরো দেশেই। যাইহোক সেই সকল কথা আর নতুন করে না বলি।

সর্বোপরি আমি বেশ আমার এলাকা নিয়ে চিন্তিত আছি। তারপরেও আশাবাদী হয়তো বন্যার পানি দ্রুত কমে যাবে এবং সবকিছু আবারো আগের মতো স্বাভাবিক হবে।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 11 months ago 

আসলে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক জায়গারই পানি বেড়েছে এবং বন্যার আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে ।আপনাদের ওদিকে তো দেখা যাচ্ছে প্রচুর পানি বেড়েছে ।বন্যা হলে সত্যি অসহায় মানুষের দুঃখের সীমা থাকে না ।আর সুযোগ সন্ধানী মানুষও সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। আর বালু উত্তোলনের কথা কি বলবো ভাইয়া সব জায়গার নদীরই একই অবস্থা। বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে ।ধন্যবাদ।

 11 months ago 

এই অবৈধ বালু উত্তোলন কারীরাই নদীগুলোকে যেন গিলে খাচ্ছে, আপু।

 11 months ago 

বর্তমান সময়ে অপরিকল্পিত নদী শাসন এবং বালু উত্তোলনের ফলে নদীর নাব্যতা সংকট তৈরি হচ্ছে। আর ভূমিদস্যুদের দৈরাত্ব বেড়েই চলেছে। সবমিলিয়ে বর্ষাকালে বন্যার আশঙ্কা করা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তবুও প্রার্থনা করি এই বিপদ থেকে যাতে উপর ওয়ালা সবাইকে হেফাজত করেন।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাক, এমনটা আমি নিজেও প্রত্যাশা করছি ভাই।

 11 months ago 

বাংলাদেশে বেশ কিছু জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। হয়তোবা আরো কিছু জায়গায় বন্যা দেখা দিবে। তবে এই বন্যার হাত থেকে আমাদের মেহেরপুর জেলা পুরোপুরি নিরাপদ। তবে যারা বন্যার কবলে পড়ে তাদের জীবন খুবই কষ্টের। আমাদের সব থেকে বেশি সমস্যা তিস্তা ব্যারেজ পানি খুলে দেয়ার জন্য। এর ফলে আমাদের বাংলাদেশের প্রতিবছরে বন্যা দেখা দেয়। আর এতে প্রতিবছরে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি সম্মুখীন হয়।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

আপনাদের জেলা বেশ নিরাপদ আছে জেনে, বেশ ভালো লাগলো।

 11 months ago 

কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য জনগণ এরকম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ভাইয়া। সুরক্ষা বাঁধ যদি ভেঙে যায় তাহলে সবাই অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর আশ্রয় কেন্দ্র কখনোই নিজের বাসার মতো হয় না। আর সেই ক্ষতি সামলে ওঠা সাধারন মানুষদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

 11 months ago 

জীবন যেখানে যেমন।
তবে এমন সমস্যা না হোক , এমনটাই প্রত্যাশা করি।

 11 months ago 

আমি ভাবছি এই অসময়ে বন্যা হয়ে যাচ্ছে! জলবায়ুর কতটা পরিবর্তন হলে এমন আচরণ করে। যাক, এলাকার সহজ সরল মানুষগুলো উপায় না খুঁজে আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নেই। আর সে সুযোগ কাজে লাগাতে বসে থাকে কিছু মানুষ। সত্য কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই হয়। সরকারের ত্রান যে সবার কাছে পৌঁছায় না সেটা বুঝা যায়।

 11 months ago 

পরিস্থিতি ভীষণ ঘোলাটে, বাস্তবতা বড্ড নির্মম।

 11 months ago 

এই ধরনের অসাধু সুবিধা ভোগী লোকদের কারণেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাদের অর্থলিপসুর কারণেই এখন বন্যা হওয়ার আশঙ্কা । পাহাড়ি ঢল যেটা ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করে তার একটু নমুনা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। এই ধরনের কিছু যাতে না হয় সেটাই প্রত্যাশা করি।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

সচেতনতা সর্বদাই বিরাজ করুক এমনটাই প্রত্যাশা করি।

 11 months ago 

সারা বাংলাদেশের প্রায় সব নদী থেকে অসাধু ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে টাকা ইনকাম করছে। কিন্তু এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এতে করে নদীর আশেপাশে থাকা এলাকাগুলো ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই সময়ে বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে মানুষজন, দেখে খুব খারাপ লাগলো। তবে বেশিরভাগ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এমন পরিস্থিতি ভীষণ পছন্দ করে তাদের লাভের আশায়। যাইহোক সবসময় সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন সেই কামনা করছি।

 11 months ago 

আসলে চোখ যদি অন্ধ হয়ে যায়, তখন তো আর কিছুই করার থাকে না। ব্যাপার গুলো ভীষণ কষ্টদায়ক।

 10 months ago 

বর্তমান প্রায় জায়গায় দেখা যায় বালি উত্তোলন করে কোনো ধরনের পারমিশন ছাড়াই।এর ফলে শহরের বাঁধ যেকোনো সময় তো ভেঙে যেতেই পারে।আপনাদের বাসায় ও পানি ওঠার সম্ভবনা রয়েছে জেনে খারাপ লাগলো ।যদি এভাবে চলতে থাকে আর শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায় তাহলে তো অনেকটা সমস্যায় পড়তে হবে।বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে অনেকটা খারাপ লেগেছে আপনার। আসলেই এই সমস্ত মানুষের অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59991.95
ETH 2664.96
USDT 1.00
SBD 2.45