স্থানীয় সরকারি হসপিটালে কিছুসময়
গতকাল বাসায় এসেছি আর এসেই মোটামুটি অনেক ব্যস্ততাপূর্ণ সময় কাটছে আমার। বিশেষ করে যেহেতু মাসের প্রথমেই এসেছি তাই অনেকগুলো কাজ বাকি আছে মূলত বাজার করা থেকে শুরু করে বাসার অন্যান্য কাজ। মোটেও দম ফেলানোর জন্য একটু সুযোগ পাচ্ছি না।
আমি যখন ঘুমিয়েছিলাম তখন থেকেই হীরার ফোনে হঠাৎই গ্রাম থেকে ফোন এসেছে। আমার ছোট বোন নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ব্যাপারটা আসলেই বেশ দুঃখজনক কারণ এই সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়া মানে নানারকম ভীতিকাজ করা মনের ভিতরে।
তারপরে বিকেলবেলা ঘুম থেকে উঠতেই হীরা আমাকে ব্যাপারটা পুরোটা জানালো। অতঃপর সবাই মিলে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। হসপিটালটা যেহেতু নতুন করে বানানো হচ্ছে তাই আগের পুরনো হসপিটাল ভবনে একদম গাদাগাদি করে এমতাবস্থায় এখন চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলছে। মূলত সরকারি চিকিৎসা সেবা পেতে অনেকটা নাজেহাল অবস্থার শিকার হতে হয়, এটা নতুন করে বলার কিছুই নেই।
যাইহোক অবশেষে জরুরি বিভাগে গিয়ে যখন কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলাম এবং আমার সমস্যার কথা জানালাম তারা মূলত ফাইল খুঁজে রোগী কোথায় আছে সেই সন্ধানটা দেওয়ার চেষ্টা করল। আমিও ঠিক সেই মোতাবেক খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম আমার রোগীকে।
কাছে গিয়ে যা জানতে পারলাম তা মোটামুটি কিছুটা দুঃখজনক। হঠাৎ করেই ওর পাতলা পায়খানা, সঙ্গে পেট ব্যথা আর গায়ে হালকা জ্বর ও বমি আছেই। ব্যাপারটা বেশ দুঃখজনক। কারণ সমসাময়িক অবস্থাতে ডেঙ্গু যে হারে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে আসলে কখন কার কি হয়ে যায় তা বলা মুশকিল। তারপরেও চেষ্টা করলাম আমার বোনের সঙ্গে কথা বলার জন্য এবং শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার জন্য।
যারা গ্রাম থেকে ওর সঙ্গে এসেছে, তাদেরকে বললাম আমি মূলত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং যে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে তা মোটামুটি ঠিকই আছে। তবে হসপিটালের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের অবস্থা খুবই নাজুক। যেহেতু ওর চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত সুস্থ পরিবেশের দরকার, তাই আমি ওর সঙ্গে আসা স্বজনদেরকে বললাম, যদি সম্ভব হয় অন্যত্র কোন প্রাইভেট ক্লিনিক বা বাড়িতে রেখে ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য। কারণ এই পরিবেশের ভিতরে থাকলে, ও আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে।
হয়তো আমাদের এখানকার লোকজনের চিকিৎসা সেবার ব্যাপারে ভোগান্তি কিছুটা কমবে নতুন ভবনের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে গেলে। যেহেতু পুরনো ভবনের মাঝে গাদাগাদি করে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে, তাই ব্যাপারটা একটু হিজিবিজি হয়ে গিয়েছে।
তারপরেও বোনটার জন্য একটু খারাপ লাগছে। অ্যান্টিবায়োটিক আর ক্রমাগত স্যালাইন চলছে আশা করা যায় এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1688112981295726592?t=h9tTUKOFe_kUGayR84c2Qg&s=19
জী এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন অসুস্থ হলেই খুব ভয় কাজ করে যে হারে ডেঙহুর প্রকপ বারছে জানিনা কি হয়।আশা করি আপনার বোন দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে দোয়া রইলো আপনার বোনের জন্য।
এটা সত্য যে, এখন অসুস্থতার খবর শুনলেই বেশ ভীতি কাজ করছে সকলের মাঝেই। তারপরেও বলবো সকলের সচেতনতা দরকার।
আসলে ভাইয়া এখন পরিবেশ পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে যে, যে কোন সময় আমরা যে কেউই আক্রান্ত হয়ে যেতে পারি । সেটা ডেঙ্গু বা নরমাল জ্বর বা অন্য কিছু হোক না কেন । তাই প্রয়োজন সবাইকে অনেক বেশি নিরাপদে থাকার । আপনার বোনের অবস্থা জেনে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো । দ্রুত ওনার সুস্থতা কামনা করছি । আর আপনারা সবাই নিরাপদে থাকবেন । আর বাবু কেউ অনেক বেশি নিরাপদে রাখবেন । ধন্যবাদ ।
আপনাদের পরিবারের অসুস্থতার খবরটাও ভাইয়ার কাছ থেকে শুনলাম, বেশ ব্যথিত হয়েছি আপনাদের খবরটা শুনে। হ্যাঁ আসলেই এখন সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। আপনারা নিজেরাও নিরাপদে থাকুন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
সরকারি হাসপাতালের ভিতরের অবস্থা এমনিতেই শোচনীয়। চারিদিকে অসুস্থতার হার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার বোনকে প্রাইভেট কোনো হসপিটালে ভর্তি করা উচিত। নয়তো অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে। আপনার বোনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, পরবর্তীতে প্রাইভেট ক্লিনিকেই ভর্তি করানো হয়েছে।
এই সময়ে কেউ অসুস্থ শুনলে ভেতরটা কেমন যেন আঁতকে ওঠে। গত দু'দিন থেকে আমার মেয়ে ঈলমার ভীষণ জ্বর, তাই ডেঙ্গু টেস্ট করতে দিয়েছি। আসলে পরিস্থিতি চারিদিকে ভালো নয়, আর হাসপাতালের অবস্থা বেশ নাজুক। আপনার বোনের জন্য দোয়া রইল ভাই, উপর ওয়ালা সুস্থ করুন তাড়াতাড়ি।
আপনার মেয়ের অসুস্থতার বিষয়টা শুনে বেশ ব্যথিত হলাম ভাই।
ভাইয়া আপনার বোনের অসুস্থতার কথা জেনে সত্যিই খারাপ লাগছে। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান দিনে দিনে অনেক খারাপ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিকর পরিবেশ হচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলোতে। অনেকে বাধ্য হয়ে সেখানে যায়। তবে যাই হোক আপনার বোন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে এই দোয়া করি।
চিকিৎসার মান মোটামুটি আছে, তবে হসপিটালের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ খুব একটা ভালো না আপু। যেটা অনেকটাই ভোগান্তিকর।
বর্তমান সময়ে মানুষের খুব ডেঙ্গু জ্বর সহ স্বাভাবিক জ্বর প্রচন্ড পরিমাণ হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে আমাদের সকলের সাবধানে থাকা উচিত এবং আপনজনদের সাবধানে রাখা উচিত দোয়া করি আপনার ছোট বোন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। সরকারি হাসপাতাল গুলোর কথা কি বলবো ভাইজান এ সমস্ত স্থানে সার্ভিস নিওয়ার চেয়ে না নেয়ায় বেটার। আশাকরি নিজ দায়িত্বে চেষ্টা করবেন এমন পরিস্থিতিতে আপনার বোনকে দেখাশোনা করা।