বিদায় মুহুর্ত
যেহেতু এবার দীর্ঘ দশ দিনের বেশি সময় গ্রামে ছিলাম, তাই মোটামুটি এই কয়েকদিনে অনেকগুলো কাজ করতে হয়েছে এবং দেখতে দেখতে কিভাবে যে সময়গুলো চলে গেল বুঝে উঠতেই যেন পারলাম না।
আসলে বরাবরের মতো বিদায় মুহূর্ত অনেকটাই কষ্টদায়ক কারণ তখন একটু আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বিশেষ করে আমার গিন্নি আজকে বাসায় আসার সময় যে, কত প্রকার বাহানা করেছে তার হিসেব নেই।
যেহেতু আমরা আজকে বাসায় ফিরবো তাই গতরাতে মোটামুটি হ্যাংআউট শেষ হওয়ার পরে সব ব্যাগপত্র গুছিয়ে রেখেছিলাম। কারণ আমরা সকলের দিকে রওনা হবো এবং দ্রুত বাসায় যাব। এমনিতেই দীর্ঘদিন বাসায় ছিলাম না, বাসার অবস্থা যে কি হয়ে আছে, কে জানে তা। তবে সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরেই মোটামুটি আবহাওয়ার অবস্থা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে।
সকাল থেকেই প্রচুর আকাশ মেঘ করেছিল থেমে থেমেই বৃষ্টি হচ্ছিল। এই অবস্থাতে আরকি ছোট বাবুকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়াটা ঠিক হবে না । তাই আমরা অপেক্ষা করছিলাম বিকেলের দিকে বাসায় ফিরে আসার জন্য। তবে বিকেলের দিকেও আবহাওয়ার যেন তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। গ্রামে থাকাকালীন সময়ে চেয়েছিলাম একদিন ঝুম বৃষ্টিতে কাকভেজা হবো। সেই ইচ্ছে তো পূরণ ই হলো না বরং আজ যখন বাসায় ফিরব তখন যেন বৃষ্টির কোন কমতি নেই।
সারাদিন পরে মোটামুটি বিকেলের দিকে আকাশ একটু পরিষ্কার হয়েছিল এবং বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। অতঃপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যখন আমরা সকলে মিলে বাড়ি থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হব। আমার ছোট শালী ও শালার ছেলেরা বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছে। কারণ তারা দীর্ঘ এই কয়দিন শায়ান কে নিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ত ছিল। আর বাবুও তাদের পেয়ে একদম যেন এই কয়দিন বেশ ভালো ছিল।
যদিও প্রতিনিয়তই ভিডিও কলে কথা হয়, তারপরেও যেন বাসায় ফেরার সময় শুধুমাত্র ছোট বাচ্চাদের না আমার শাশুড়ি থেকে শুরু করে অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন সকলেরই যেন মুখটা একটু গম্ভীর ছিল। তবে বাস্তবতা বরাবরই কঠিন। অবশেষে সবার সঙ্গে কথা বলে হাসিমুখে বিদায় নিলাম।
আবারো সেই যান্ত্রিক শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা,যেখানে প্রতিটা সময় কাটবে যেন যন্ত্রের মত। আসলে কিছুই করার নেই, এটাই হয়তো জীবন। সর্বোপরি এবার গ্রামে থাকাকালীন পুরো সময়টাই বেশ ভালো কেটেছে এবং এই সুখস্মৃতি নিয়েই ফিরে গেলাম।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1687746278300819456?t=bUL2_e2mk0zm1MF5EsVIKw&s=19
আসলেই বিদায়ের মুহূর্তটা সত্যিই ভীষণ কষ্টের। যেহেতু গ্রামে অনেক বাচ্চারা ছিলো, শায়ান বাবু তাদের সাথে খেলাধুলা করে দারুণ সময় কাটিয়েছে। যান্ত্রিক শহরে ছুটতে ছুটতে আমরা যখন একেবারে ক্লান্ত হয়ে যাই,তখন মানসিক প্রশান্তির জন্য কিছুদিন গ্রাম থেকে ঘুরে আসলে,মনটা আসলেই চাঙ্গা হয়ে যায়। সবমিলিয়ে আপনারাও খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এটা সত্য কথা যে ওখান থেকে আসার সময় বেশ খারাপই লেগেছিল আমাদের। তবে ওখানে থাকাকালীন সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল।
বিদায় মূহুর্ত সত্যি ই খুব কষ্টের।আর তাছাড়া বেশীদিন থাকলে মায়াটা ও বৃদ্ধি পায়।তাইতো সবার মাঝে খারাপ লাগাটা একটু বেশীই ছিল।ছোট খাটো অনেক কাজ সারলে ও কাকভেজা হওয়ার ইচ্ছেটা অপূর্ণই রয়ে গেলো। বৃষ্টিতে গ্রামীন পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগলো। সবকিছু একেবারে সতেজ।অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ বৃষ্টিতে তো আর ভেজাই হয়ে উঠল না। যাইহোক পরবর্তী সময়ে গেলে হয়তো আবারও সেটা চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
বাহ ভাইয়া কয়েকদিন গ্রামে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন দেখছি । আসলে অনেকদিন পর গ্রামে গেলে বেশ ভালই লাগে । আবার ফিরে আসার সময় বেশ খারাপ লাগে ।আসলে গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে ।তবে বৃষ্টির দিনে গ্রামে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না । যাইহোক আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়ে আবার নিজ গন্তব্যে ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ।
শহর থেকে গ্রামের যখন আসা হয় তখন মনে হয় স্বর্গে আছি। আর অনেকদিন কোন জায়গাতে থাকলে সত্যি সেখান থেকে বিদায়ের সময় সবাই আবেগময় হয়ে ওঠে। শায়ান বাবু যেহেতু ছোট সেহেতু ছোটদের সাথে মিশতে পেরে খেলাধুলা করে তার ভালই সময় কেটেছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে গ্রামে এই দশ দিন ভালোই সময় কাটিয়েছেন দাদা।
এটা সত্য যে, আসলেই গ্রামে থাকাকালীন সময়টা বেশ ভালই কেটেছে আমার। ধন্যবাদ ভাই তোমার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।