বিয়ের দাওয়াত
গিন্নি কে রাস্তার ভিতরেই বলেছি, যেহেতু এত সকালবেলা আমাকে ঘুম থেকে টেনে তুলে নিয়ে গ্রামে যাচ্ছো,তো গ্রামে গিয়ে আমি কিন্তু বিয়ে বাড়ির কোন কাজ করতে পারবো না। আমি সোজা গিয়ে আগে ঘুম পারবো । তারপরে যদি ঘুম থেকে উঠে দেখি পরিস্থিতি সবকিছু স্বাভাবিক, তারপরে না হয় বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব।
আসলে বিয়েটা হচ্ছে আমার গিন্নির একদম কাছের বান্ধবীর। তাই ওর একটু অস্থিরতা বেশি ছিল এবং ওর দায়িত্বে কিছু কাজও ছিল।সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যখন আমরা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম, আমার তখনও মাথা ব্যথা করছিল,কারণ রাতে ঘুম হয়নি।
যাইহোক যখন মোটামুটি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছি তখন ঘড়িতে সকাল এগারোটার মতো বেজে গিয়েছিল। আমি মোটামুটি আমার কথা মতো সোজা গিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। যখন ঘুম থেকে উঠেছি তখন আনুমানিক বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে চারটার মত বাজে। উঠেই কোনরকম সবাইকে ডাকার চেষ্টা করলাম,তবে বাড়িতে কেউ ছিল না। আর এমনটা হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক। কারণ পাশের দুই বাড়ি পরেই যেহেতু বিয়ে হচ্ছে, তাই সকলেই সেখানে চলে গিয়েছে ।
মুঠোফোনের মারফতে গিন্নিকে ফোন দিয়ে ডাকার চেষ্টা করলাম এবং ঘুম থেকে উঠে মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য। আমি আসলে সাদাসিধে মানুষ, সহজ-সরল ভাবে চলতেই বেশ স্বাচ্ছন্দবোধ করি। তাই যে রকম ছিলাম, সেই ভাবেই চলে গেলাম বিয়ে বাড়িতে।
সকাল থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে কি কি হয়েছে তা দেখা আমার হয়নি । তবে গিন্নিকে বলে রেখেছিলাম, যদি সম্ভব হয় ভিডিও করে রেখো। পরে না হয় ভিডিও দেখে সব বুঝে নেব। অবশেষে যখন বিয়ে বাড়িতে গেলাম, তখন আমাকে দেখে অনেকেই বলতে লাগলো, এত দেরিতে কেন জামাই। কোন মত সবাইকে বুঝাতে পেরেছিলাম যে, আমি আসলে অনেক ক্লান্ত ছিলাম। তাই এসেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম ।
যেহেতু দুপুরে খাইনি, তাই মোটামুটি বেশ ভালোই ক্ষুধার্ত ছিলাম। আমি গিয়ে চেষ্টা করেছি, যে জায়গাটাতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে গিয়ে বসার জন্য। তাদের আপ্যায়নে কোন ত্রুটি ছিল না। তারা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছে ।
আর এই বিয়েকে কেন্দ্র করে পূর্বের অনেক ঘটনা ছিল। মূলত প্রেমের বিয়ে, তাই দীর্ঘদিন পরে বহু চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিয়ে অবশেষে বিয়েটা সম্পন্ন হলো। তাছাড়াও আমার গিন্নির বান্ধবী বেশ খুশি, তার জীবন সঙ্গীকে পেয়ে ।
আসলে যার যার জীবন তার তার কাছে। তাও আমি আমার জায়গা থেকে ওদের দুলাভাই হিসেবে যতটুকু করার করেছি এবং মন খুলে এখনো শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ওদের নতুন দাম্পত্য জীবন সুন্দর হোক এমনটাই প্রত্যাশা করি ।
চেষ্টা করেছি বিয়ে বাড়িতে যতটুকু সময় ছিলাম, ঠিক সেই সময়ে সকলের সঙ্গেই বেশ খোলামেলা ভাবেই কথাবার্তা বলেছি । গ্রামের মানুষগুলো কে আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ তারা ভীষণ সহজ-সরল আর তাদের ভিতর তেমন কোন জটিলতা মনোভাব নেই। যার কারণে মন খুলে কথা বলা যায় ।
যেহেতু আমি তাদের জামাই, তাই মোটামুটি সকলেই আমাকে বেশ ভালই সম্মান করে আর আমিও চেষ্টা করি তাদেরকে শ্রদ্ধা করার জন্য। দীর্ঘদিন পরে যেহেতু গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে, তাই মোটামুটি অনেক লোকজন এসেছে এবং সকলেই পরিচিত। বেশ ভালোই একটা সময় কেটেছে, তাদের সঙ্গে আমার ।
যাইহোক যেহেতু দীর্ঘদিন পরে বিয়ের দাওয়াত খেতে এসেছি, তাই সময়টাকে কাজে লাগানোই শ্রেয়। চেষ্টা করেছি এই বিয়েকে কেন্দ্র করে, কিছু মুহূর্ত মুঠোফোনে বন্দি করে রাখার জন্য। কারণ সেগুলো আপনাদের মাঝে ভাগ করে নেব, এই জন্য।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
প্রথমেই নতুন দম্পতির জন্য শুভকামনা রইল। যেহেতু তারা একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেছে আশা করছি সেই বিয়ে পর্যন্ত আসার পেছনে অনেক গল্প ছিল। হয়তো অনেক বাধা পেরিয়ে তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে। আসলে ভালোবাসা পূর্ণতা পেলে দেখতে ভালই লাগে। যাই হোক আপনি আপনার ব্যস্ততার মাঝেও গ্রামে গিয়েছেন এবং তাদেরকে সময় দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপনি কি কাজের ফাঁকেবাজ ভাইয়া, এসেই ঘুমিয়ে পড়লেন। তাও একেবারে বিকেল সাড়ে তিনটায় উঠলেন। ততক্ষণে তো অর্ধেক বিয়ে শেষ। তবে বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার আলাদা একটা অনুভূতি হয়ে থাকে। সবার সাথে দেখা হওয়া, খাওয়া দাওয়া সবকিছুই বেশ ভালো লাগে। আপনার আর আপুর একসাথে ছবিগুলো ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে আপুর বান্ধবীর প্রেমের বিয়েটা শেষ পর্যন্ত মিটলো এটাই ভালো লাগলো।
আসলে বিয়েটা হওয়াতে, আমি নিজেও বেশ খুশি। কারণ প্রেমের বিয়ের বলে কথা।
অনেক ভাল লাগলো পড়ে। যাক গিয়েই ঘুমিয়ে নিয়েছেন তাই ক্লান্তি মুখে বা শরীরে এখন নেই।ফ্রেশ লাগলো ফটোগ্রাফিতে।নিজের সুস্থতা আগে তারপর সবকিছু। এক জায়গায় গিয়ে যদি ভালোই না লাগে তবে গিয়ে কি হবে?? ঘুমিয়ে নিলেন, তাই সবার সাথে কথা বলতেও ভাল লেগেছে, ছবিও তুলেছেন অনেক। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। নব দম্পতিদের সুন্দর জীবন কামনা করি।
ভাইয়া আপনি তো দোতারা বাজাতেই এখন বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাই রাতের ঘুমও হারাম হয়ে গেছে।রাতে ঘুম না পেরে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা সত্যিই অনেক কষ্টদায়ক কিন্তু তারপরও উঠতে হবে কারন গিন্নীর বান্ধবীর বিয়ে বলে কথা।আমিও দাওয়াত পেয়েছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় যাওয়া হয়নি। সবাইকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। নবদম্পতির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।🧡
আপনি আমাদের সঙ্গে গেলে ভালোই হতো বৌদি। তবে দোতারাটা পেয়ে বেশ ব্যস্ততা সময় যাচ্ছে, এইটা একদম সত্যি।
আপনি গেছেন বিয়ে খেতে ঘুমিয়ে সারাটা দুপুর পার করে দিলেন বিকেলবেলা আপনাকে যে খাবার দিয়েছে এটাই বড় কথা। আর প্রেমের বিয়ে তাহলে তো দুজনেরই খুশি থাকার কথা, মেয়ে যে খুশি তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কাছের বান্ধবীর বিয়ে বলে কথা এজন্য ভাবিকে একটু ব্যস্ত থাকতেই হয়েছে। ভালোই বিয়েটা উপভোগ করেছেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এবং সুন্দর কিছু ছবিও তুলেছেন যেটা আমরা একটু দেখতে পারলাম।
হাহাহা, আসলে যেহেতু জামাই আমি, তাই হয়তো তারা তেমন কিছু করে নি। তবে বেশ ভালোই খাতির যত্ন করেছে। আপনার মন্তব্যটা বেশ ভালোই ছিল আপু।
প্রথমেই তাদের এই বিবাহিত নতুন জীবনের শুভকামনা ও দোয়া রইলো। এই জীবনটা যেন আনন্দময় এবং সুখের হয়ে ওঠে সত্যি। বিয়ের দাওয়ার খাওয়ার মুহূর্তগুলো অসাধারণ। বিয়ের দাওয়াতে আপনাকে উপস্থিত দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আশা করি অনেক আনন্দের সাথে সময়টা উপভোগ করেছেন।
আসলেই রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে পরের দিন প্রচুর মাথা ব্যথা করে ৷ এ জন্য রাতের ঘুমটা ঠিকঠাক দেওয়ার প্রয়োজন ৷ যাই হোক বিয়ে বাড়িতে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ তবে এটা ঠিক বলেছেন যে গ্রামের মানুষ গুলো সব সময় সহজ সরল হয় ৷
জামাই দের আসলে আরাম করতে দেয়াই উচিৎ। আর আপনার সাদাসিধে ভাবটাই ভাল লাগে। তবে বিয়ে বাড়িতে যেতে একটু দেরি হয়ে গেল। প্রেমের বিয়ে শুনলে আমার ভালই লাগে। বড় কনেকে দেখে বেশ খুশিই মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাই ভাবির একটি পোষ্টে আপনার পিক দেখি নাই,হি হি হি। যায়হোক ঘুম হলো মেইন। ঠিক ভাবে ঘুম না হলে শরীর মন কিছুই ভাল থাকে না। নতুন জামাই বউকে দেখে ভালই লাগলো। আমিও আপনার মত আশীর্বাদ করি। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক। ধন্যবাদ ভাইয়া।