Better Life With Steem | | The Diary Game | | 18 May, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে সকালবেলা মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙেছে। খুব সকালবেলা ঘুম থেকে ডেকে তোলার কারণ হচ্ছে বাবাকে সময়মতো ইনজেকশন দিতে হবে। এজন্য তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে বাবাকে ইনজেকশন দিয়েছি। সবাই আইভি ইনজেকশন দিতে পারেনা।
যেহেতু আমি বাসাতেই আছি, এজন্য আমি নিজেই আইভি ইনজেকশন বাবাকে দিয়ে দিচ্ছি। বাবাকে ইনজেকশন দেওয়ার পর আবারো ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। এদিকে ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে কিন্তু ঘুম ভাঙেনি। পরে মা আমাকে জোর করে ডেকে তুলেছে।
ঘুম থেকে উঠে দেখতে পেলাম ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। পরে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। বাইরে বের হয়ে দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর ঠান্ডা বাতাস। মনে হচ্ছে প্রতিদিন যদি এরকম ঠান্ডা আবহাওয়া থাকতো কতই না ভালো হতো।
গতকালকে সকালবেলা মা আমার জন্য ডিম পরোটা বানিয়েছিল। আর পরোটার সাথে চিনি থাকতেই হবে। চিনি ছাড়া পরোটা খেলে আমার কেন জানি, পরোটা খাওয়া অসম্পূর্ণ মনে হয়। যাইহোক, সকালের নাস্তা খেয়েই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ হবে ল্যাবে প্রবেশ করেছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। শুক্রবারে ল্যাবে অনেক কাজ হয়, এজন্য সব ভাউচার জমা রাখতে হয়।
পরে সেগুলো অবসর সময় ভাউচার দেখে দেখে সবগুলো নোট খাতায় লিখে রাখতে হয়। এজন্য সকালবেলা ল্যাবে এসে ভাউচারগুলো দেখে দেখে নোট খাতায় তুলেছিলাম। পরে কাজ শেষ করে অবসর সময়ে আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছি।
বর্তমানে আমাদের গ্রামাঞ্চলে আমন ধান কাটার মৌসুম চলতেছে। বলতে গেলে প্রতিটি বাড়িতেই ধানের কাজ চলতেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে অনেকগুলো মানুষকে ধান নিয়ে যেতে দেখলাম। সত্যিই কৃষকরা কত কষ্ট করে ধান কাটে। তাদের এত কষ্ট দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো।
মোটামুটি দুপুর হয়ে গেলে খাবার খেয়ে নিয়েছি। গতকালকের আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা ছিল, এজন্য অনেক শান্তিতেই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। বিকেলের দিকে দেখতে পেলাম হালকা একটু রোদ উঠেছে। তবে এই সময়ের হালকা রোদের তাপমাত্রাই অনেক বেশি।
মাগরিবের দিকে ডাক্তার এসেছিলেন। ডাক্তার আসার পর এক এক করে রোগী দেখা শুরু হয়ে গেলে আমারও ল্যাবের কাজ শুরু হয়। তবে বর্তমানে একটু রোগীর চাপ কম। কারণ গ্রামের সবাই এখন ধানের কাজে অনেক ব্যস্ত।
সবগুলো কাজ শেষ করে মোটামুটি রাত ৮:০০টা নাগাদ ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছিলা। পরে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় যাওয়ার পথে পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নিয়েছি। কিন্তু গতকালকে তেল নেওয়ার সময় একটু ঝামেলা হয়েছিল। কারণ প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে মেট্রো পুলিশ থেকে নোটিশ এসেছে হেলমেট ছাড়া কেউ তেল নিতে পারবে না।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার সাথে হেলমেট ছিল না। এজন্য আমি এক ভাইয়ের কাছে হেলমেট কিছু সময়ের জন্য ধার নিয়ে তেল নিয়েছিলাম। পরে সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি। বাসায় গিয়ে বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে খেয়েছি। পরে একটু মোবাইল চালিয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
এখন প্রতিদিনই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বাবাকে আগে ইনজেকশন দিতে হয়।
পরোটার সাথে চিনি খেতে আমার খুব ভালো লাগে।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারেছি যে আপনার বাবাকে ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে প্রতিদিন। আমার কাছে পরোটা আর ডাল সব থেকে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেচেলার অবস্থায় প্রতিটি ছেলে সকালের ঘুম থেকে মার ডাকে ওঠে।। আর হ্যাঁ বাসায় যদি ডাক্তারের লাইনে পড়ার কেউ থাকে তাহলে অনেক সুবিধা হয় ।। ইনজেকশন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই সে করে থাকে।।
আপনার বাবার কি হয়েছে আমার জানা নেই?? কারণ অনেকদিন হয় আমি পোস্ট পরতে পারিনা সেই সাথে কমেন্ট।। দোয়া রইল আঙ্কেলের জন্য খুব তাড়াতাড়ি সৃষ্টিকর্তা তাকে সুস্থ করুক।
আর হ্যাঁ আমাদের এখানেও ধানের কাজ চলছে কিন্তু আমাদের শেষ।।
আমার বাবার ব্লাড টেস্ট করার পর টাইফয়েড ধরা পড়েছে। পরে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এখন ইনজেকশন দিতে বলেছে।
যেহেতু আমি বাসায় আছি এজন্য আমি নিজেই বাবাকে ইনজেকশন দিয়ে দিতেছি।
আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার একটি জানা ছিল না দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়।।
আপনার বাবার সুস্থতা কামনা করছি। আপনি যেহেতু ল্যাবে কাজ করছেন তাই আপনার বাবার সেবা যন্ত খুব ভালো ভাবে নিতে পারছেন।সকালে উঠে তাকে আইভি ইনজেকশন দিলেন ।
ডিম পরোটার সাথে চিনি খাবার অন্যরকম স্বাদ আছে ।আমিও মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি । গ্রামের প্রতিটির ঘরে ঘরে এখন নতুন সোনালী রঙের ধানে উঠান ভরে গেছে ।
কৃষকেরা অনেক কঠিন পরিশ্রম করে মাটির বুকে চাষ করে সোনালী ধান উৎপন্ন করে ।তাদের অনেক পরিশ্রম এবং ধৈর্যের ফলে আমরা খুব সহজে মার্কেট থেকে চাল কিনতে পারি কিন্তু এর পিছনে অনেক পরিশ্রম দিতে হয় তাদের ।
আজকে আপনার দিনলিপি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পরবর্তি পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ।
কপাল ভালো এই সময়টা আমি বাড়িতেই আছি। এজন্য ইনজেকশনগুলো আমি নিজেই বাড়িতে দিচ্ছি। কারণ বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ইনজেকশন দেওয়া খুব কষ্টকর হয়ে যেত।
পরোটার সাথে চিনি না থাকলে আমার কেন জানি পরোটা খেতে ভালো লাগে না।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো।।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথাই বলেছেন,, কৃষক ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জমি থেকে ধান নিয়ে আসে বাড়িতে।
শুক্রবার সবকিছু বন্ধ থাকলেও কিন্তু আপনার ল্যাব বন্ধ হয় না সেদিন আরও বেশি কাজ থাকে, আর সেজন্যই অনেক বেশি কাজ করতে হয় আপনাকে।
যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার সাপ্তাহিক কোন ছুটি নেই সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন এই ডিউটি করা লাগে।
হ্যাঁ আপনি একদম ঠিক বলেছেন কৃষকেরা অনেক কষ্ট করে ধান বাড়িতে নিয়ে আসে। বলতে গেলে আমাদের ধান চাষের পুরো অংশটা জুড়ে রয়েছে কৃষকের।
আপনার মন্তব্য পরে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
যেকোনো কাজেই যদি বিরত পাওয়া যায় তাহলে ওই কাজের উপরে অনেক উৎসাহ বারে আমার মনে হয়।
তবে যেহেতু কোন ছুটি সুযোগ নেই সেহেতু আপনাকে কাজ করেই যেতে হবে ,,,
ধন্যবাদ কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি আপনার বাবাকে আইভি ইঞ্জেকশন দিয়েছেন। ল্যানে কাজ করার জন্য আপনার জন্য কাজটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
এর পর আবারও ঘুমিয়ে পরেছিলেন।উঠে পরোটা আর চিনি দিয়ে নাস্তা করেছেন। আপনার মতো অনেকেই আছে যাদের কাছে পরোটার সাথে চিনি থাকতেই হবে। আমার নিজের মাকেও দেখতাম আপনারই মতো চিনি দিয়ে পরোটা খেতে।
এরপর ল্যাবে চলে যান।গ্রামগুলিতে যে ধানকাটা লেগেছে এটা আমি কয়েকদিন আগে গাজিপুরে গিয়ে দেখে এসেছি।গ্রামের একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে যা আপনার তোলা প্রতিটি ছবিতে ফুটে উঠেছে। ঢাকতেও হেলমেট ছাড়া তেল নেয়া নিষিদ্ধ।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
পরোটার সাথে চিনি না খেলে আমার কেন জানি পরোটা খাওয়া অসম্পূর্ণই মনে হয়। হ্যাঁ আপনি একদম ঠিক বলেছেন বর্তমানে গ্রাম এলাকায় বর্তমানে ধান কাটার মৌসুম চলতেছে।
আপনার মন্তব্য পরে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
এই সময় অধিকাংশ কৃষকের ঘরে বিশেষ গ্রামাঞ্চলে আমন ধান কাটার মৌসুম । আর এই ধানগুলো কৃষক অনেক যত্ন করেই সারা বছরে খোরাকি বের করে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে ধান কাটার মৌসুম চলতেছে। স্বাভাবিকের তুলনায় দক্ষিণ অঞ্চলে ধান কাটা আগেই হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের উত্তরবঙ্গে একটু দেরিতে হয়।
হ্যাঁ ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন কৃষকরা এই ধান কাটার সময় কাজ করে সারা বছরের উপার্জন করে।
কৃষকরা খুব কষ্ট করে ধান কেটে থাকে। বলতে গেলে একমুঠো ধানের পিছনে একজন কৃষকের অগাদ পরিশ্রম রয়েছে।
আপনার মন্তব্য পরে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ