ইতিম দের বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ,
হিন্দু ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জন্য আদাব,
এবং অন্যান্য ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জন্য শুভকামনা রইল।
আশা করি সকলেই ভাল আছেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
দিনের প্রচন্ড গরম এর ক্লান্তি শেষে ক্লান্ত শরীরে জুম্মার নামাজ শেষ করেন বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর খুবই ক্লান্ত শরীর নিয়ে লিখতে বসলাম। আজকের দিনে প্রচন্ড তাপমাত্রা । প্রচণ্ড তাপমাত্রার মধ্যে খুবই খারাপ একটা দিন কেটেছে আজকে সে কারণেই শরীরটা প্রচুর ক্লান্ত নিজেকে নিস্তেজ নিস্তের লাগতেছে তবুও লিখতে বসলাম। তারপরেও খুবই আনন্দিত লাগতেছে কারণ আজকের রোজা শেষ হবে। আজকে চাঁদ দেখা যাবে কালকে সকালে ঈদের দিন সেই ঈদের আনন্দ নিয়েই খুব আনন্দিত মানে লিখতে বসলাম।
প্রতিদিন এর মতো আজকেও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগ পোস্ট নিয়ে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের সংগঠনের সহযোগিতায় সার্বিক তত্ত্বাবধানে কিছু সংখ্যক মাদ্রাসায় পড়ুয়া এতিম শিশুদের বিনামূল্যে ইফতার করানো ও দোয়া মাহফিল এর অভিজ্ঞতা। গত ১৮ তারিখ রোজ মঙ্গলবার ২৬ শে রমজান আমরা প্রায় চারশতাধিক মাদ্রাসা পড়ুয়া এতিম শিশুদের বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করি এবং তাদের যাতায়াত ভাড়াসহ সমস্ত দায়ভার আমরা বহন করি। আমি একটা স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সাথে কাজ করি সংগঠনের নাম "ডোনেট ফর ভুরুঙ্গামারি"
আমরা সেই সংগঠনের প্রতিটি সদস্য সকাল ১০ টার দিকে আমাদের স্পর্ট এ উপস্থিত হয় এবং সারাদিনের কার্যক্রম শুরু করি। সকাল থেকে আমরা সকালে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেইসব এতিম বাচ্চাদের জন্য খাবার ইফতার খেজুর শসা ও শরবত তৈরি করে।
সবাই নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে নেয় কেউ আগুনের পারে রান্নার দায়িত্ব নেয়, কেউ শসা কাটার দায়িত্ব, কেউ খেজুর ধোয়া দায়িত্ব নেয়, কেউ চাল ধোয়ার দায়িত্ব নেয়, কেও মাংস দেওয়ার দায়িত্ব নেয়, কেউ পেঁয়াজ কাটার দায়িত্ব নেয়, আবার কেউ কেউ সব জিনিসগুলো এগিয়ে দেয়া দায়িত্ব নেয়।
এই ভাবেই সবাই একসাথে কাজ করতে করতে আছর আযান দেয় আযানের পর আমরা নামাজ আদায় করে সবাই একটু বিশ্রাম করে সেইসব মাদ্রাসা পড়ুয়া এতিম বাচ্চাদের হুজুরদের নাম্বারে কল করে তাদেরকে নিয়ে আসতে বলা হয় এর কিছুক্ষণ পরেই সকল মাদ্রাসাগুলো থেকে তারা আসতে শুরু করে
আমরা আমাদের তৈরি ইফতার গুলো সাজিয়ে রাখি তাদের জন্য তারা আসলে তাদেরকে একে একে সেই জায়গায় বসিয়ে দেই দেখতে পারছেন আমাদের প্রত্যেকটা ছেশ্রা সেবক তাদের খাবারগুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারপর ইফতারের আগে সবাই
মিলে দোয়া করি ইফতার শেষ করি আসলে ইফতার করার সময় এতটাই ভাল লাগছিল সবাই একসাথে ইফতার করতেছিলাম মনে হচ্ছিল এতিম বাচ্চাগুলোর হাসির মাঝে নিজের আনন্দ খুঁজে পেলাম। ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে ছবি যেন কথা বলে প্রতিটি ছবির নিচে ছবির বিবরণ উল্লেখ করে দিলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আর বেশি কিছু লিখছি না
সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি
আসলেই এটি একটি ভালো উদ্দ্যেগ অনেক এতিম বাচ্চা আপনাদের থেকে ইফতার পাবে তারা হয়তো অনেক খুশি ৷ আপনারা অনেক কষ্ট করে তাদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছেন এটা যে কত ভালো কাজ যারা করে তারাই বুঝে ৷ আমাদের গ্রামের পাশেই এই ধরনের ইফতার আয়োজন করে অনেক মানুষকে বিতরন করেছেন ৷ এভাবে মানুষ নানুষের পাশে দাড়াবে এটাই তো স্বাভাবিক ৷
যাই হোক ভাই আপনাদের উদ্দ্যেগ টা আসলেই অনেক ভালো ছিল ৷ আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ ভালো থাকবেন ৷
#miwcc
আজকে দেখছি আপনারা খুব ভালো একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন! আসলে বর্তমান সময়ে এই জিনিসগুলো! সচরাচর দেখা যায় না! তবে অনেকেই এই জিনিসগুলো করতে,, বেশ পছন্দ করে।
কারণ রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস! আর এই মাসে আমরা এক টাকা যদি দান করি! সত্তর টাকার সওয়াব পাওয়া যায়! তাহলে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এতিম শিশুদের পাশে একটু দাঁড়ানো! আজকে আপনার পোস্টে দেখলাম,,,, আপনারা তাদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা সমাজ সেবামূলক কাজ করার জন্য! আপনার মূল্যবান সময়টুকু দিয়ে আমাদের সাথে কথাগুলো শেয়ার করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,,,,,ভালো থাকবেন।
#miwcc