জেনারেল রাইটিং ---- 💕 " ক্ষমা একটি মহৎ গুন " || আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
বন্ধুরা,প্রতিদিনের মত আজও আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। প্রতিদিন আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি পোস্টের ভিন্নতা এনে নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে।তাই আজ ঈদের দিনের আয়োজন নিয়ে একটি জেনারেল পোস্ট শেয়ার করছি।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগে।
ক্ষমা একটি মহৎ গুনঃ
বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগের বিষয়টি আপনারা এরই মাঝে জেনে গেছেন।আমি আজ ক্ষমা বিষয়টি নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে পোষণ করেছি।আশাকরি ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।সমাজ জীবনে চলতে গেলে আমরা আমাদের পরিবার,স্বজন ও বন্ধু -বান্ধব নিয়ে চলি।এদের নিয়েই আমাদের জীবন ও সমাজ গড়ে ওঠে। এসব কাছের মানুষগুলোই আমাদের আত্মার পরম ধন।এদেরকে নিয়েই জীবনের এই পথচলা।এই চলার পথে নানা রকম সময়ের মধ্যে দিয়ে আমাদের জীবন অতিবাহিত হয়।কখনো রোদ কখনো বৃষ্টি আমাদের জীবনের উত্থান-পতন ঘটায়।এর মধ্যে দিয়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখার নামই জীবন।
মানব জীবনের এই টানাপোড়েনে মানুষ নানা সমস্যায় হয়তো জড়িয়ে পরে।এই সমস্যা বা ঝামেলার সময় হয়তো আপনার কোন কাছের মানুষ এমন কোন কাজ বা কথা দিয়ে আপনার জীবনের আরো বেশি ক্ষতি করে ফেলে।তখন ওই মানুষটা আপনার কাছে শত্রু হিসেবে বিবেচিত হয়ে যায় ।সে হয়তো ক্ষমার অযোগ্য কাজটি আপনার সাথে করে ফেলেছে।কিন্তু পরক্ষনে সেই মানুষটি নিজের ভুল বুঝতে পেরে যখন ক্ষমা চাইতে আসবে,তখন আপনার তাকে ক্ষমা করে দেয়া উচিত।মানুষ মাত্রই ভুল করে।আর অনুতপ্ত হলে সেই ভুল ও ক্ষমার যোগ্য হয়।আর এছাড়াও আমাদের ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে,ক্ষমা একটি মহৎ গুন।ভুল করা মানুষকে ক্ষমা করে দেয়া একটি মহৎ গুন।এই ক্ষমা করে দেয়ার ফলে আল্লাহ আপনার ভুল-ত্রুটিগুলো ও ক্ষমা করে দেবেন ইনশা আল্লাহ।
জীবনে চলার পথটা সব সময় একইরকমভাবে কাটবে এমনটা নাও হতে পারে।আমরা অনেক সময় বুঝে না বুঝে অনেকের সাথে যেকোনো ভাবে ভুল করে ফেলি।খারাপ আচরন করে ফেলি,কটু কথা বলে ফেলি।যা কখনো উচিত নয়।তাই আমাদের উচিত যখন যার সাথে যেকোনো কিছু নিয়ে কোন বাজে অবস্থার সৃষ্টি হবে তৎক্ষনাৎ সেই মানুষটির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।মানুষ এই দুনিয়ায় ক্ষনিকের জন্য আসা অতিথি।কখন কার ডাক পরে যায় পরপারে কেউ তা জানে না।তাই ক্ষমা চেয়ে নেয়া সকলের এটা একটি মানবিক দায়িত্ব। আর এতে আল্লাহ ও খুশী হোন।
প্রতিটি ধর্মের মানুষের উচিত ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলা। তাতে জীবন সুন্দর হবে।মানুষ মাত্রই ভুল করার প্রবৃত্তি থাকে।তবে এই ভুল নিয়ে বেঁচে থাকা কোন সুস্থ মানুষের কাম্য নয়।অনুশোচনা বোধ মানুষের মানবিক আচনের সামিল।যখন যে অবস্থায় আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ভুল হয়েছে সাথে সাথে ক্ষমা চেয়ে নেবেন।আর যার সাথে অন্যায়টি করেছেন তার ও উচিত ক্ষমা করে দেয়া।এতে সেই মানুষটি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে এবং আল্লাহ ও তার ভুলের জন্য তাকে ক্ষমা করে দিবেন।সমাজও পরিবারে আমরা এটা ও লক্ষ্য করি একজন মানুষ ক্ষমা চেয়েও সেই একই ভুল করে।তখন আসলে ক্ষমার অযোগ্য হয়ে যায় বিষয়টি।এমতাবস্থায় আমাদের উচিত হবে সেই মানুষটিকে এভোয়েড করে চলা।কেননা সেই মানুষটির মধ্যে মানবিক দিকের বড্ড অভাব।এমন মানুষের সংস্পর্শে না থাকাই ভালো হবে।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী থেকে আমরা দেখতে পাই আমাদের এই প্রিয় নবীর সাথে কতোই না অন্যায়,অবিচার ও জুলুম করা হয়েছিল।কিন্তু প্রিয় নবী সেই সকল মানুষদেরকে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিয়েছেন আর আল্লাহর কাছে তিনি হাত তুলে তাদের হেদায়েতের কথাই বলেছেন।সেই নবীর উম্মত হয়ে আমাদের মাঝেও এই মানবিক গুনটি থাকা উচিত।দুঃখ,কষ্ট ও না পাওয়ার মাঝে ও আমাদের একটাই কাজ করতে হবে সবাইকে ক্ষমা করে দিতে হবে।ক্ষমা হচ্ছে মহৎ একটি গুন।আর নবীর সুন্নাহ।এতেই আমাদের সুন্দর জীবন গড়ে উঠবে।আসুন,আমরা সকলে যার যার জায়গা থেকে মনের মধ্যে ক্ষমা করার দিকগুলো তুলে ধরি।
আজ আর নয়।সবাইকে আবারো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
Twitter link
ঠিক বলেছেন ক্ষমা হচ্ছে মহৎ একটি গুন। আপন মানুষ এবং আশেপাশে অনেক মানুষ আসে যেগুলোর সাথে চলার পথে অনেক বড় ঝামেলা হয়ে গেল। হয়তো এমনও চিন্তা করেছেন আজীবন তার সাথে আর কথা বলবো না। কিন্তু অপরাধী বা সেই লোকে যদি বোঝে তার অপরাধ হয়েছে। অন্যায় বোঝে যদি মাপ চাই তাহলে মাপ করে দেওয়া ভালো। তবে কিছু কিছু অন্যায় আছে যেগুলো মন থেকে ভোলা যায় না। তারপরও আমি নিজেও বলবো ক্ষমা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বেশি গুন। আজকে আপনার পোস্টটি পরে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
কিছু কিছু অপরাধ আছে যেগুলো ক্ষমার অযোগ্য। তারপরও ক্ষমা করা ভালো। আসলে ক্ষমার মধ্যে হচ্ছে মানুষের বড় গুণ। আপন মানুষ এবং পার্শ্ববর্তী কিছু মানুষ যেগুলো কষ্ট দিলে সহজে ভুলা যায় না। তারপরও অপরাধকারী অপরাধ বুঝে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করা সবচেয়ে উত্তম কাজ। আজকে খুব সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আজ আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার এই সুন্দর পোস্ট কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যেখানে আমাদের শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর বিশেষ বাণী তুলে ধরেছেন। আর এ মহৎ গুণটা আমাদের সকলের মধ্যে থাকা একান্ত প্রয়োজন। কারণ ক্ষমা করা এর চেয়ে মহৎ গুণ কোথাও নেই।