🥰 বিশেষ দিনের বিশেষ ইবাদত ও বিশেষ কিছু খাবার | | [ ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য ]
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
বিশেষ দিনের বিশেষ ইবাদত ও বিশেষ কিছু খাবারঃ
আমি @shimulakter, আমি একজন বাংলাদেশী।"আমার বাংলা ব্লগ" এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আমাদের মুসলিম সমাজের পবিত্র শবে বরাতপালিত হয়েছে।আপনারা সবাই জানেন এই দিনটির কতটা তাৎপর্য রয়েছে।এই দিনটিতে মুসলিম সমাজ সারারাত আল্লাহ্র ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকে। সারারাত নফল নামাজ,কুরআন তেলাওয়াত করা,তসবিহ পড়ে আল্লাহর কাছে নিজের ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে সারারাত আল্লাহর কাছে পানা চেয়ে থাকে।মুসলিম সমাজের জন্য এই রাতটি খুবই বরকতময় রাত।
এই দিনটিকে ঘিরে ছেলেবালা অনেক বেশি আনন্দ কাজ করতো। আমরা দুই বোন ছেলেবেলা আম্মুর সাথে রোজা রাখতাম।রোজা রেখে দিনের বেলা আম্মুর সাথে রুটি,হালুয়া করতাম। আম্মু মজার মজার রান্না করতো।আম্মু যেভাবে বলতো আমি সেভাবে ট্রেতে সব খাবার গুছিয়ে দিতাম।আমার ছোট ভাই চাচা,ফুপুর বাসায় দিয়ে আসতো। কি যে এক আনন্দ কাজ করতো তা লিখে বুঝাতে পারব না। এরপর সন্ধ্যায় ইফতার করে আবার গোসল করে নামাজ পড়তে শুরু করতাম।আম্মু বলতো গোসল করে নামাজ পড়লে বেশী সওয়াব হবে।তখন তাই ই করতাম সওয়াবের আশায়।তখন কে কত বেশি নামাজ পড়তে পারি সেটাই চেষ্টা করতাম।সেই দিনগুলো সত্যিই অনেক মধুর ছিল।
আমাদের মত আনন্দ উত্তেজনা এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে দেখা যায় না।আমি সেদিন ইবাদতের মধ্যে দিয়েই রাত কাটিয়েছি আর রোজা ও ছিলাম।আর অনেক বেশি ঝামেলার মধ্যে ছিলাম তাই সেদিন বিশেষ এই খাবারগুলো রান্না করতে পারিনি।সেই খাবার কাল করেছি।তাই আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এলাম। সত্যি কথা বলতে ছেলেবেলা থেকে একই ভাবে দেখে এসেছি তাই যত খাবারই করি না কেন হালুয়া রুটি না খেলে আসলে ভালো লাগে না।এজন্য আমি বুটের হালুয়া ,গাজরের লাড্ডু,মুরগির ঝোল ও রুটি করেছিলাম।সবাই খুব মজা করে খেয়ে নিয়েছে। আমি বুটের হালুয়া খুব পছন্দ করি।তাই মাঝে মধ্যে বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দেই। তারপর আস্তে আস্তে খেতে খুব ভালো লাগে।আসলে আমি মিষ্টি খাবার তেমন একটা পছন্দ করি না।মাঝে মাঝে করি আর কি।বিশেষ করে বিকেলে মাঝে মাঝে খুব মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করে।
বিশেষ দিনগুলোর প্রতি অনুভূতি আজও একই রকমই আছে।সময়ের সাথে সাথে কোন পরিবর্তন আসেনি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ও ঠিক ভাবে ইবাদত করার তৌফিক দান করুন।আমি আমার বিশেষ দিনটি ও সেই দিনটির বিশেষ কিছু খাবার দাবার আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে।ভাল লেগে থাকলেই আমার এই ব্লগটি লেখা সার্থক হবে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হব।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
| শ্রেনি | লাইফ স্টাইল পোস্ট |
|---|---|
| ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
| ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
| স্থান | ঢাকা |
💜 অনুচ্ছেদটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।💜
আমি শিমুল আক্তার।আমার ইউজার আইডি @shimulakter,আমি একজন বাঙালী।বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি বলে,অনেক বেশি গর্ববোধ করি।আমি একজন গৃহিনী।আমি পড়তে, লিখতে ও শুনতে ভালবাসি।নিজেকে সব জায়গাতে অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।সব সময় চেষ্টা করি আলাদা কিছু উপস্থাপন করতে। গতানুগতিক কোন কিছুতে আমাকে টানে না।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।মানুষকে ভালোবাসি।তাই সব সময় চেষ্টা করি অন্যের উপকার হয় ,এমন কিছু করতে।বাংলাকে ভালোবেসে " আমার বাংলা ব্লগ " এর সাথে আজীবন থাকতে চাই।


.jpeg)
.jpeg)

.jpeg)




ঠিকই বলেছেন বিশেষ দিনে বিশেষ খাবার গুলো খেতে ভালো লাগে। আমাদের বাসায় ও মাংস রুটি হালুয়া আরো বিভিন্ন ধরনের আইটেম রান্না করে। সবাই সবার বাসায় হালুয়া রুটি দিয়ে আসে। ঐদিন একটা আনন্দের দিন মনে হয় যা আমার কাছে ভালই লাগে। রোজা রেখে ইবাদাত বন্দেগী করে এবং সারারাত জেগে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ চায়। যাই হোক আপনি তো শবেবরাতের অনেক কিছুই রান্না করেছেন। দেখে লোভনীয় লাগছে। বিশেষ দিনে বিশেষ কিছু খাবারের মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে ও।
শবে বরাতের দিনের আপনার আয়োজন নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। শবেবরাত আমাদের জন্য বেশ মহত্বপূর্ন একটি রাত ছিল, আমরা সাধ্যমতো ইবাদত করার চেষ্টা করেছি। তাছাড়াও গুনাহ মাফের দোয়া করেছি।
সত্যিই আপু ছোটবেলার শবেবরাতে বেশ অন্যরকম অনুভুতি হতো, এখন অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে।
হে ভাইয়া সময়ের সাথে সাথে খুব পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।