রেসিপি -- ২১ | | " শুঁটকি ভর্তা " বাঁটাবাঁটির ঝামেলা ছাড়া | |@shimulakter
আজ ২৬ শে শ্রাবন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১০ ই আগস্ট ২০২২ ইং
”আমার বাংলা ব্লগ “ এর ভারতীয় ও বাংলাদেশের সব ভাই ও বোনদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালবাসা । কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি সবাই অনেক বেশি ভাল আছেন । আমিও আপনাদের শুভকামনায় ভাল আছি । আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে @shimulakter আপনাদের মাঝে আছি । আমি আজ আমার একটা রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি । |
---|
বন্ধুরা , আপনারা নিশ্চয় ই ব্লগের টাইটেল দেখেই বুঝে গেছেন আমার আজকের ব্লগটি শুঁটকি ভর্তা নিয়ে ।এই বিষয়ে আমি সামান্য কিছু আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব । বন্ধুরা , আমার বাসায় কেউ শুঁটকি মাছ পছন্দ করে না ।কিন্তু আমি খুব পছন্দ করি । তাই এই শুঁটকি মাছের কোন আইটেম করতে গেলে , আমার অপেক্ষায় থাকতে হয় , কখন সবাই বাইরে যাবে ,আর আমি রান্নাটা করব । সবাই বাইরে গেলে , রান্না শেষ করে আমার দরজা ,জানালা খুলে দিতে হয় ,কেউ যাতে বুঝতে না পারে । আর খাবার টেবিলেও একা একা খেতে হয় । এজন্য খুব কম ই খাওয়া হয় ।
বন্ধুরা , আমি আজ বাঁটাবাঁটির ঝামেলা ছাড়া আপনাদের মাঝে “শুঁটকি ভর্তা” রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি । এই রেসিপির জন্য আমার যা যা উপকরন লাগবে তা এক এক তুলে ধরছি --
উপকরন | পরিমান |
---|---|
লইট্টা শুঁটকি | ৪/৫ পিস |
পেঁয়াজ | ৪ টি |
রসুন | পরিমান মত |
শুকনা মরিচ | যতটা ঝাল আপনার পছন্দ |
লবণ | স্বাদ মত |
তেল | ভাজার জন্য |
ধনিয়া পাতা | ইচ্ছে মত |
উপকরন ত হল, এবার আমি এর প্রস্তুত প্রণালীতে চলে যাব।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথম | ধাপ |
---|
প্রথমে আমি শুঁটকি মাছগুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়েছি । এরপর গরম পানিতে তা বেশ খানিক ক্ষন ভিজিয়ে রেখেছি ।
দ্বিতীয় | ধাপ |
---|
অন্যদিকে আমি পেঁয়াজ, রসুন ,ধনিয়া পাতা কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি ।
তৃতীয় | ধাপ |
---|
এবার শুঁটকি মাছ গুলো গরম পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নেব ।
চতুর্থ | ধাপ |
---|
এবার চুলায় একটি প্যান বসাবো । তাতে ধুয়ে রাখা শুঁটকিগুলো সামান্য তেল দিয়ে প্যানে ছেড়ে দেব।
পঞ্চম | ধাপ |
---|
এখন শুঁটকিগুলো অল্প তেলে আস্তে আস্তে ভেজে নেব ।ভাজা হলে একটি বাটিতে তুলে নেব ।
ষষ্ঠ | ধাপ |
---|
এবার প্যানে আবার অল্প তেল দেব ।শুকনা মরিচগুলো ভেজে নেব ।ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে তুলে নেব ।
সপ্তম | ধাপ |
---|
এবার প্যানে সামান্য তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচিগুলো হাল্কা ভেজে নেব ।ভাজা হলে পরে তা একটি পাত্রে নামিয়ে নেব ।
অষ্টম | ধাপ |
---|
এবার প্যানে আবার অল্প তেল দিয়ে রসুন কুচি গুলো ভেজে নেব ।রসুন হাল্কা ভাজা হলে পরে তাতে কুচি করে রাখা ধনিয়া পাতা গুলো হাল্কা ভেজে নিয়ে নামিয়ে নেব ।
নবম | ধাপ |
---|
আমার সব ভাজা ভাজির কাজ শেষ ।এবার মাখানোর পালা । আমি এক এক করে শুকনা মরিচ ,পেঁয়াজ ,ধনিয়া পাতা এক সাথে মাখিয়ে নেব খুব সুন্দরভাবে ।
দশম | ধাপ |
---|
সবকিছু সুন্দরভাবে মাখানো হলে পরে তাতে ভেজে রাখা শুঁটকি গুলো দিয়ে সুন্দর মত মাখিয়ে নেব ।
এই মাখানো দেখে আপনার জিভে পানি চলে আসবে । কিন্তু কি আর করার খেতে ত আর পারবেন না । তাই অবশ্যই এই রেসিপি দেখে বানিয়ে গরম ভাতের সাথে খেয়ে দেখবেন ।
একাদশ | ধাপ |
---|
এই ধাপে এসে আমার হাতে বানানো শুঁটকি ভর্তা আমার পুরোপুরি রেডি । এখন শুধু খাওয়ার পালা ।
আমার রেসিপির সব তথ্য আমি নীচে তুলে ধরছি -
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | নিজের বাসা |
আজ এ পর্যন্তই ।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভাল থাকবেন । আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হব ।
শুটকি মাছ ভর্তা আমার খুবই প্রিয়।। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে।। আপনার রান্না করার প্রক্রিয়াটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
খুব সুন্দর করে ভিন্ন রকম ভাবে শুটকি ভর্তা রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি ইউনিক ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। পাশে থেকে সাপোর্ট করার জন্য।
শুঁটকি ভর্তা রেসিপি টা আসলেই অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়। আপনি সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন যে কিভাবে ঝামেলা ছাড়াই শুঁটকি ভর্তা রেসিপি করা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুঁটকির ভর্তা আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। আমি খুব পছন্দ করি। সব সময় তো খাওয়া যায় না তবে সময় আর সুযোগে হয় তখন হাত ছাড়া করি না। আপনার আজকের শুটকি ভর্তা রেসিপিটি অন্যরকম ছিল। কোন বাতাবাটির দরকার পড়ে নি।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুটকি ভর্তা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে শুটকি ভর্তা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে এখন শুটকি ভর্তা খেতে মন চাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। ব্লগটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য দেয়ার জন্য।
বাটাবাটি ঝামেলা ছাড়া শুটকি ভর্তা রেসিপি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন। এভাবে আমিও বাসায় তৈরি করেছি। খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
বাটাবাটির ঝামেলা ছাড়া শুটকির ভর্তা।রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে দেখে অসাধারণ হয়েছে শুটকি ভর্তা আমার অনেক পছন্দ আপনার তৈরি শুটকি ভর্তা রেসিপি দেখে অনেক ভালো লেগেছে।এই ধরনের শুটকি ভর্তা গুলো গরম ভাতের সাথে জাস্ট ফাটাফাটি হয়ে থাকে খেতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর করে মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
আসলে যারা শুটকি খায় না তাদের শুটকির গন্ধ পছন্দ হয়না। তবে আমার কাছে শুটকি বেশ ভালো লাগে। আপনার দারুণভাবে শুটকি ভর্তা রেসিপি দিয়েছেন। বাটাবাটির ঝামেলা নাই। ধন্যবাদ
আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ও।
খুবই সুস্বাদু মজাদার এবং লোভনীয় একটি খাবার প্রস্তুত করেছেন শুটকি ভর্তা আমারও খুব ফেভারেট মাঝে মাঝেই খাওয়া হয় স্পেশালি সরিষার তেল এবং শুকনা মরিচ দিয়ে ভর্তা করলে খেতে সবথেকে বেশি মজা লাগে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আমাদের এখানে শুটকি মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। তাই শুটকি মাছ খুবই কম খাওয়া হয়েছে। এভাবে শুটকি মাছের ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি খুবই চমৎকারভাবে শুটকি মাছের ভর্তা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।