রেসিপি পোস্ট -- 😋 " ভুনা খিচুড়ির রেসিপি " || আমার বাংলা ব্লগ
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি আজ একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।আমি আশাকরি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ভুনা খিচুড়ির রেসিপিঃ
বন্ধুরা, বর্ষাকালে বর্ষা নেই।শুধু রোদ আর রোদ।এতোটুকু মেঘের যেনো দেখা নেই।তাইতো খিচুড়ি খাওয়া হচ্ছে না।আসলে মেঘলা আকাশ দেখলেই মন ছুটে যায় খিচুড়ি খাওয়ার জন্য। কাল হাল্কা একটু বৃষ্টি হলো ঢাকায়। আজ ও সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এই ওয়েদারে ভুনা খিচুড়ি আর ভুনা মাংস আর সাথে টক আচার। উফফ,কি যে মজা খেতে তা বলে বোঝাতে পারবো না।আর তাইতো আজ আমি আপনাদের জন্য ময়ার এই ভুনা খিচুড়ির রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।আশাকরি আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।।তবে চলুন আগে রেসিপির উপকরনগুলো এক এক করে দেখে নেইঃ
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
১।পোলাওয়ের চাল - ২ কাপ
২। পেঁয়াজ কুচি -৩ টি
৩।ঘি - পরিমান মতো
৪। আদা পেস্ট - ১ চামচ
৫।গরম মসলা ও তেজপাতা -আন্দাজ মতো
৬। হলুদ গুঁড়া- ১ চামচ
৭। চিনি - সামান্য
৮। লবন
৯। কাঁচা মরিচ
১০। মুগ ডাল - ১ কাপ
খিচুড়ি রান্নার ধাপসমূহঃ
ধাপ - ১
প্রথমে মুগ ডাল ভেজে নিলাম।
ধাপ - ২
এরপর পোলাওয়ের চালের সাথে ডাল ধুয়ে ঝরা দিয়ে রেখে দিলাম।
ধাপ - ৩
এরপর চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে ঘি দিয়ে গরম মসলাগুলো দিয়ে ভেজে নিলাম।এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিলাম।
ধাপ - ৪
এরপর এক এক করে আদা পেস্ট, হলুদের গুঁড়া ও লবন দিয়ে ভালোমতো ভেজে নিলাম।
ধাপ - ৫
এরপর পোলাওয়ের চাল মসলার মধ্যে দিয়ে ভেজে পরিমান মতো পানি দিয়ে ঢেকে দিলাম।
ধাপ - ৬
এরপর কাঁচা মরিচ ও সামান্য চিনি দিয়ে আবার ঢেকে চুলার আঁচ কমিয়ে দিয়ে রান্না করে নিলাম।
পরিবেশন
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
আজ আর নয়। আশাকরি আমার রেসিপি আপনাদের কাছে খুব ভাল লেগেছে।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
আপু, পোলাওয়ের চাল ও মুগের ডাল দিয়ে আপনি খুব সুস্বাদু করে ভুনা খিচুড়ি তৈরি করেছেন, যা দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রন্ধন প্রণালী দেখে বেশ বুঝতে পারছি এই ভুনা খিচুড়ি খেতে খুবই মজার হয়েছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও।
Twitter link
আপু খিচুড়ি আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। বাসায় খিচুড়ি রান্না করলে সেদিন আর আমি অন্য কোন কিছু খাই না। খিচুড়ি আর ঘুনা মাংস ব্যাস আর কিছু লাগেনা। আপনি খুব সুন্দর ভাবে খিচুড়ি তৈরি করেছেন। আপনার রান্না খিচুড়ি দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। আর আমি এমনিতেই জানি আপনি রান্নায় খুবই পারদর্শী। এত সুন্দর একটি খিচুড়ি রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। খিচুড়ি আমার খুবই পছন্দের। গরম গরম খিচুড়ি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই ওয়েদারের সাথে খাবারের সেই বর্ণনাটা পড়েই তো ক্ষুধা পেয়ে গেল হাহাহা, বেশ সুন্দর এবং ঝরঝরা হয়েছে আপনার খিচুড়িটি, চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন সকলের পছন্দের একটা রেসিপি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ভুনা খিচুড়ি আমার অনেক পছন্দ। আপনার রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
একদিন বলেছিলেন আপু আপনার অনেক পছন্দ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভুনা খিচুড়ি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে ভুনা খিচুড়ির রেসিপি করেছেন। ঠিক বলেছেন বৃষ্টির সময় এ ধরনের খিচুড়ি গুলো খেতে অনেক মজা লাগে। যদিও খিচুড়ির সাথে একটু আচার হয় তাহলে তো আরো মজা লাগে খেতে। আর আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি। আসলে মুগডাল দিয়ে যদি ভুনা খিচুড়ি রান্না করা যায় এমনিতে খেতে সুস্বাদু লাগে। কিছুদিন আগে এই রেসিপি আমাদের ম্যাচে রান্না করেছিল আমিও বেশ মজা করে খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
সত্যি আপু এবার বর্ষাকালেও বর্ষা নেই। রোদ আর রোদ। আর এই রোদে খিচুড়ি রান্না করা হয়ে ওঠে না। তবে আপনি এত সুন্দর করে খিচুড়ি রান্না করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে আপু। অনেক সুন্দর ভাবে খিচুড়ি রান্না করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
ভুনা খিচুড়ি রান্নার দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। বৃষ্টির দিনে এই ধরনের খিচুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আজকে তো বৃষ্টি হল ভালো দিনেই দেখছি রান্না করেছেন।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।